নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের একটি শ্রম আদালতের দেয়া ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় চ্যালেঞ্জ করে, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিস্তারিত শুনানির জন্য আদালত আপিল গ্রহণ করে এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জামিন মাঞ্জুর করে আদেশ দেয়।“প্রাথমিক শুনানির পর, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে এবং এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রম আদালতের নথি তলব করেছে;” জানান ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, তাদের জামিন দিয়েছে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
আরো পড়ুন:উত্তরাঞ্চলে তী ব্র শৈত্য প্রবাহ, বাড়বে দিনের তাপ মাত্রা
ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন বলে জানান দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান যে রায় বাতিল করে, অভিযোগ থেকে দণ্ডপ্রাপ্তদের খালাস দাবি করে আবেদন করা হয়েছে।ড. ইউনূস ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অপর ৩ জন হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আপিল আবেদন
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসসহ ৪ জন বিবাদী রবিবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন এবং স্থায়ী জামিন প্রার্থণা করেন।”
এর আগে, ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলো একই আদালত।একই সঙ্গে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে জামিন দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলায় কী ছিল?
গত ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রম ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় ৯ নভেম্বর। আর, যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয় ২৪ ডিসেম্বর।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি।
গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেয়া হয়নি।