১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতিচারণ ও স্কুল জীবনের গল্প

স্কুল জীবনের গল্প

print news -

স্কুল নিয়ে স্মৃতিচারণ ও স্কুল জীবনের গল্প

স্কুল জীবনের গল্প: স্কুল জীবন ছিল বলেই তাদের এত সুন্দর একটা মধুর স্মৃতি রয়েছে। যেহেতু স্কুল থেকে আমাদের প্রধান ভিত গড়ে ওঠে সেহেতু আমরা স্কুলকে কখনোই ভুলি না এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্কুলকে মিস করতে থাকি। আমাদের যখন নির্দিষ্ট বয়স হয় তখন আমরা আমাদের পিতা/মাতাদের সাথে এসে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই। সেখান থেকেই শুরু হয় আমাদের জীবন। সেই আসা নিয়ে বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুল জীবনের স্মৃতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে চাই। যাহা আপনার জীবনে ঘঠে গিয়েছে । সেই প্রতিবেদন যেন আপনি/আপনার জীবনে একটি টুকরো স্মৃতি হয়ে থাকে।  আপনার স্কুল জীবনের স্মৃতি / স্কুল জীবনে ঘঠে যাওয়া বিশেষ কল্প কাহিনীর লেখা পাঠাতে আমার ব্যক্তিগত মেসেঞ্জারে  অথবা ইমেইল এ  পাঠানোর অনুরোধ করছি।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনের স্কুল একটি মধুময় জায়গা। তবে একজন শিক্ষার্থী যখন স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় থাকে তখন স্কুল তার কাছে একটি প্যারা দায়ক ব্যাপার হলেও যখন স্কুল থেকে বের হয়ে যায়, তখন সেই ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলকে অনেক মিস করতে থাকে। এটা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটে থাকে কমবেশি। স্কুলের দিনগুলোতে অর্থাৎ স্কুলের ক্লাসে এবং খেলার মাঠে যে সকল দিন কাটিয়েছে সেগুলো কখনোই ভোলার নয়। কারণ এখানে বন্ধুত্ব যেমন ছিল নির্ভেজাল তেমনি এখানকার মানুষ গুলো ছিল সবাই আদর্শ মানুষ।

প্রত্যেকটি শিক্ষকের বকাঝকা একটা সময়ে সে একজন ছাত্র বা ছাত্রী মিস করতে থাকে। তখন মনে হতে থাকে শিক্ষকদের সেই সকল বকাঝকা তাদের বর্তমান জীবনে অন্যদিকে নিশ্চিত করেছে। পারিবারিক গণ্ডি পেরিয়ে যখন আমরা একটি উন্মুক্ত পরিবেশে এসে পড়ি তখন এখানে আমাদের সাথে পরিচয় ঘটে অনেক অচেনা মানুষের সঙ্গে। পরবর্তীতে এ সকল অচেনা মানুষ আমাদের অনেক পরিচিত হয়ে যায় এবং অচেনা শিক্ষক হয়ে যায় প্রিয় শিক্ষক।

সময়ের সাথে সাথে সকল কিছু পরিবর্তন হতে থাকে এবং আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ বিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়। প্রাইমারি বিদ্যালয়ের অনেক বন্ধু-বান্ধব আমাদের সাথে উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হয় এবং সেখানে নতুন কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে তাদের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে যায়। স্কুল জীবনে এসে বন্ধুদের সংস্পর্শে আমাদের জীবনে অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়।

শ্রেণিকক্ষে মজা করা, শ্রেণিকক্ষে ঠিক ভাবে পড়া প্রদান করা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সঙ্গে বিভিন্ন দিবসে একত্রিত হয়ে সেই দিবস পালন করা এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে খুনসুটি চলতে থাকে। একটা সময় পরে যখন আমরা এ বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যায় এবং উচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা করি তখন আমাদের কাছে মনে, আগের দিনগুলো আমাদের কাছে কতটা মধুময় ছিল।

তাই প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটা কথা খুব মিলে যায়। সেটি হল, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানুষই যদি তার অতীত খুঁজে তাহলে তার কাছে মনে হবে যে তার অতীত অনেক সুন্দর ছিল এবং মধুময় ছিল। সেই ব্যক্তি সবসময়ই কামনা করে যে, তার যদি ওদের জীবন আবার ফিরে আসতো তাহলে কতই না ভালো হতো।

স্কুল জীবনের গল্প, যখন আমরা পড়াশোনা করি তখন মনে হয় কবে এই স্কুল জীবন ছেড়ে আমরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব। আবার যখন কলেজ জীবনে বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করি তখন আমাদের কাছে মনে হয় এ স্কুল জীবন ফিরে আসলে অনেক ভালো হতো। আসলে মানুষ সব সময় তার স্মৃতিকে খুঁজে বেড়ায় এবং তার কাছে মনে হয় তারা অতীত স্মৃতি অনেক সুন্দর ছিল। যখন বন্ধুদের সঙ্গে একই সাথে ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া যেত এবং অনেক আনন্দ ও মজা করা যেত এবং বিকেল বেলা হলে খেলার মাঠে একসাথে খেলা হতো, সেই সময়টার কথা আমরা সব সময় মনে করতে থাকি।

কিন্তু মানুষ যত বড় হয় তত তার ভেতরে যান্ত্রিকতা চলে আসে এবং কর্মব্যস্ততার কারণে মানুষ তার অতীত বন্ধুদের পাশাপাশি অতীত স্মৃতি ভুলে যেতে থাকে। তবে এই অতীত স্মৃতি তাকে অনেক নাড়া দেয়। সব সময় মনে হয় এই অতীত স্মৃতি জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ছিল। এই অতীত স্মৃতি ছিল বলেই আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। আপনি যদি স্কুলের স্মৃতি চারণ শুরু করেন তাহলে আপনার কাছে বিভিন্ন ঘটনা মনে হতে পারে।

কোন বন্ধুর সঙ্গে কবে আপনি মারামারি করেছেন বা মজা করেছেন, কোন শিক্ষক আপনাকে পড়া না পারার কারণে মেরেছে, কোন বই আপনার হারিয়ে গেছে, কোন পড়া আপনি করে যাননি এবং অন্যান্য অনেক ঘটনার সমাহার আমাদের মনে পড়তে থাকে পরবর্তীতে। এইযে স্মৃতিচারণ এটা আপনাকে সব সময় এক অনাবিল আনন্দ প্রদান করে। আপনি যখন এসব কথা মনে করবেন তখন নিজের অজান্তেই হয়তো হাসবেন। কারণ সেই দিনগুলোর ঘটনা আপনার কাছে মনে হবে কতটাই ছেলে খেলা ছিল।

তাছাড়া অনেক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আপনারা আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছেন এবং নিজের অজান্তেই হয়তো আপনার বিদ্যালয় কেঁদে ফেলেছেন। তাছাড়া হাজারো অভিজ্ঞতার এবং ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন আপনি আপনার স্কুল জীবনে। মানুষ যেহেতু তার স্মৃতিকে মনে রাখে এবং উল্লেখযোগ্য স্মৃতি বিশেষভাবে আমাদের আজীবন মনে থেকে যায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

বিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতিচারণ ও স্কুল জীবনের গল্প

প্রকাশিত হয়েছেঃ ১১:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
print news -

স্কুল নিয়ে স্মৃতিচারণ ও স্কুল জীবনের গল্প

স্কুল জীবনের গল্প: স্কুল জীবন ছিল বলেই তাদের এত সুন্দর একটা মধুর স্মৃতি রয়েছে। যেহেতু স্কুল থেকে আমাদের প্রধান ভিত গড়ে ওঠে সেহেতু আমরা স্কুলকে কখনোই ভুলি না এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্কুলকে মিস করতে থাকি। আমাদের যখন নির্দিষ্ট বয়স হয় তখন আমরা আমাদের পিতা/মাতাদের সাথে এসে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই। সেখান থেকেই শুরু হয় আমাদের জীবন। সেই আসা নিয়ে বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুল জীবনের স্মৃতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে চাই। যাহা আপনার জীবনে ঘঠে গিয়েছে । সেই প্রতিবেদন যেন আপনি/আপনার জীবনে একটি টুকরো স্মৃতি হয়ে থাকে।  আপনার স্কুল জীবনের স্মৃতি / স্কুল জীবনে ঘঠে যাওয়া বিশেষ কল্প কাহিনীর লেখা পাঠাতে আমার ব্যক্তিগত মেসেঞ্জারে  অথবা ইমেইল এ  পাঠানোর অনুরোধ করছি।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনের স্কুল একটি মধুময় জায়গা। তবে একজন শিক্ষার্থী যখন স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় থাকে তখন স্কুল তার কাছে একটি প্যারা দায়ক ব্যাপার হলেও যখন স্কুল থেকে বের হয়ে যায়, তখন সেই ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলকে অনেক মিস করতে থাকে। এটা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ঘটে থাকে কমবেশি। স্কুলের দিনগুলোতে অর্থাৎ স্কুলের ক্লাসে এবং খেলার মাঠে যে সকল দিন কাটিয়েছে সেগুলো কখনোই ভোলার নয়। কারণ এখানে বন্ধুত্ব যেমন ছিল নির্ভেজাল তেমনি এখানকার মানুষ গুলো ছিল সবাই আদর্শ মানুষ।

প্রত্যেকটি শিক্ষকের বকাঝকা একটা সময়ে সে একজন ছাত্র বা ছাত্রী মিস করতে থাকে। তখন মনে হতে থাকে শিক্ষকদের সেই সকল বকাঝকা তাদের বর্তমান জীবনে অন্যদিকে নিশ্চিত করেছে। পারিবারিক গণ্ডি পেরিয়ে যখন আমরা একটি উন্মুক্ত পরিবেশে এসে পড়ি তখন এখানে আমাদের সাথে পরিচয় ঘটে অনেক অচেনা মানুষের সঙ্গে। পরবর্তীতে এ সকল অচেনা মানুষ আমাদের অনেক পরিচিত হয়ে যায় এবং অচেনা শিক্ষক হয়ে যায় প্রিয় শিক্ষক।

সময়ের সাথে সাথে সকল কিছু পরিবর্তন হতে থাকে এবং আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ বিদ্যালয় উত্তীর্ণ হয়। প্রাইমারি বিদ্যালয়ের অনেক বন্ধু-বান্ধব আমাদের সাথে উচ্চ বিদ্যালয় ভর্তি হয় এবং সেখানে নতুন কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে তাদের সঙ্গেও আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে যায়। স্কুল জীবনে এসে বন্ধুদের সংস্পর্শে আমাদের জীবনে অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়।

শ্রেণিকক্ষে মজা করা, শ্রেণিকক্ষে ঠিক ভাবে পড়া প্রদান করা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সঙ্গে বিভিন্ন দিবসে একত্রিত হয়ে সেই দিবস পালন করা এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে খুনসুটি চলতে থাকে। একটা সময় পরে যখন আমরা এ বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যায় এবং উচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা করি তখন আমাদের কাছে মনে, আগের দিনগুলো আমাদের কাছে কতটা মধুময় ছিল।

তাই প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটা কথা খুব মিলে যায়। সেটি হল, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানুষই যদি তার অতীত খুঁজে তাহলে তার কাছে মনে হবে যে তার অতীত অনেক সুন্দর ছিল এবং মধুময় ছিল। সেই ব্যক্তি সবসময়ই কামনা করে যে, তার যদি ওদের জীবন আবার ফিরে আসতো তাহলে কতই না ভালো হতো।

স্কুল জীবনের গল্প, যখন আমরা পড়াশোনা করি তখন মনে হয় কবে এই স্কুল জীবন ছেড়ে আমরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব। আবার যখন কলেজ জীবনে বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ করি তখন আমাদের কাছে মনে হয় এ স্কুল জীবন ফিরে আসলে অনেক ভালো হতো। আসলে মানুষ সব সময় তার স্মৃতিকে খুঁজে বেড়ায় এবং তার কাছে মনে হয় তারা অতীত স্মৃতি অনেক সুন্দর ছিল। যখন বন্ধুদের সঙ্গে একই সাথে ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া যেত এবং অনেক আনন্দ ও মজা করা যেত এবং বিকেল বেলা হলে খেলার মাঠে একসাথে খেলা হতো, সেই সময়টার কথা আমরা সব সময় মনে করতে থাকি।

কিন্তু মানুষ যত বড় হয় তত তার ভেতরে যান্ত্রিকতা চলে আসে এবং কর্মব্যস্ততার কারণে মানুষ তার অতীত বন্ধুদের পাশাপাশি অতীত স্মৃতি ভুলে যেতে থাকে। তবে এই অতীত স্মৃতি তাকে অনেক নাড়া দেয়। সব সময় মনে হয় এই অতীত স্মৃতি জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ছিল। এই অতীত স্মৃতি ছিল বলেই আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। আপনি যদি স্কুলের স্মৃতি চারণ শুরু করেন তাহলে আপনার কাছে বিভিন্ন ঘটনা মনে হতে পারে।

কোন বন্ধুর সঙ্গে কবে আপনি মারামারি করেছেন বা মজা করেছেন, কোন শিক্ষক আপনাকে পড়া না পারার কারণে মেরেছে, কোন বই আপনার হারিয়ে গেছে, কোন পড়া আপনি করে যাননি এবং অন্যান্য অনেক ঘটনার সমাহার আমাদের মনে পড়তে থাকে পরবর্তীতে। এইযে স্মৃতিচারণ এটা আপনাকে সব সময় এক অনাবিল আনন্দ প্রদান করে। আপনি যখন এসব কথা মনে করবেন তখন নিজের অজান্তেই হয়তো হাসবেন। কারণ সেই দিনগুলোর ঘটনা আপনার কাছে মনে হবে কতটাই ছেলে খেলা ছিল।

তাছাড়া অনেক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আপনারা আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছেন এবং নিজের অজান্তেই হয়তো আপনার বিদ্যালয় কেঁদে ফেলেছেন। তাছাড়া হাজারো অভিজ্ঞতার এবং ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন আপনি আপনার স্কুল জীবনে। মানুষ যেহেতু তার স্মৃতিকে মনে রাখে এবং উল্লেখযোগ্য স্মৃতি বিশেষভাবে আমাদের আজীবন মনে থেকে যায়।