০২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশে স্ত্রী-সন্তান নিতে এসেছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে এক সঙ্গে ৫ জনের মৃ*ত্যু

বেইলি রোডে আগুন: তরুণ সাংবাদিক অভিশ্রুতির মৃত্যু,

print news -

নিউজ ডেস্ক; রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্ব না দেওয়ার ভাষা খুঁ জে পাচ্ছেন না স্বজ ন ও স্থানীয় রা।

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। সেখানে আগুনে পুড়ে সবাই মারা যান। মুহূর্তের মধ্যে সংসার শেষ।

আরো পড়ুন: মা–দুই শিশুসহ নোয়াখালীর ৫ জনের মৃত্যু

নিহতের স্বজনরা জানান, শাহবাজপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার (৪২) দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে ব্যবসা করে আসছেন। মাসখানেক আগে বাড়িতে আসেন। ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন (সবুজ কার্ড)। সম্প্রতি সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সবার ভিসা হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ইতালিতে যাননি। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান মোবারক।

এদিকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাজপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

মা হেলেনা বেগম জানান, মোবারক সবাইকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফি ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। আগুনে সবাই মারা গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

স্বপ্নার বড় বোন পলি আক্তার জানান, আগুনে ছোট বোন, বোনের স্বামী ও সন্তানসহ পুরো পরিবার মারা গেছে। মৃত্যুর আগে তারা মোবাইল ফোনে কল করে বাঁচার জন্য চিৎকার করছিল। আমরা তাদের বাঁচাতে পারিনি। এই বলে তিনি কাঁদতে লাগলেন।

আরো পড়ুন:বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুনের ঝুঁকি জেনেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি

শাহবাজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজী বলেন, একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেষকৃত্যের ব্যবস্থায় তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে পৌঁছায়নি। বাদ আসর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোবারক হোসেন কাউছার দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবা র রাত ১০ টার দিকে বেইলি রোডে র একটি বহুত ল ভবনে আ গু ন লাগে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃ ত্যু হয়েছে।

 

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

বিদেশে স্ত্রী-সন্তান নিতে এসেছেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে এক সঙ্গে ৫ জনের মৃ*ত্যু

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৪:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
print news -

নিউজ ডেস্ক; রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম। শোকাহত পরিবারকে সান্ত্ব না দেওয়ার ভাষা খুঁ জে পাচ্ছেন না স্বজ ন ও স্থানীয় রা।

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মগবাজারে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফিয়া ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। সেখানে আগুনে পুড়ে সবাই মারা যান। মুহূর্তের মধ্যে সংসার শেষ।

আরো পড়ুন: মা–দুই শিশুসহ নোয়াখালীর ৫ জনের মৃত্যু

নিহতের স্বজনরা জানান, শাহবাজপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউছার (৪২) দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে ব্যবসা করে আসছেন। মাসখানেক আগে বাড়িতে আসেন। ইতালিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পেয়েছেন (সবুজ কার্ড)। সম্প্রতি সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সবার ভিসা হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ইতালিতে যাননি। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান মোবারক।

এদিকে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শাহবাজপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

মা হেলেনা বেগম জানান, মোবারক সবাইকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী স্বপ্না, দুই মেয়ে সৈয়দা কাশফি ও সৈয়দা নূর এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আবদুল্লাহ। আগুনে সবাই মারা গেছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

স্বপ্নার বড় বোন পলি আক্তার জানান, আগুনে ছোট বোন, বোনের স্বামী ও সন্তানসহ পুরো পরিবার মারা গেছে। মৃত্যুর আগে তারা মোবাইল ফোনে কল করে বাঁচার জন্য চিৎকার করছিল। আমরা তাদের বাঁচাতে পারিনি। এই বলে তিনি কাঁদতে লাগলেন।

আরো পড়ুন:বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুনের ঝুঁকি জেনেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি

শাহবাজপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজী বলেন, একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেষকৃত্যের ব্যবস্থায় তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

এদিকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে পৌঁছায়নি। বাদ আসর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোবারক হোসেন কাউছার দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবা র রাত ১০ টার দিকে বেইলি রোডে র একটি বহুত ল ভবনে আ গু ন লাগে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃ ত্যু হয়েছে।