০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউল শাহ আবদুল করিম এর গান থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়্যালিটি পেল তার পরিবার

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম

print news -

প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর গানের রয়্যালিটি হিসেবে তার পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশী কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। তিনি বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি পাঁচশো-এর উপরে সংগীত রচনা করেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁকে “বাউল সম্রাট” হিসাবে সম্বোধন করা হয়। প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর গানের রয়্যালিটি হিসেবে তার পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার।

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ২০২১ সালের ডিসেম্বর এ ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস, সেই গানগুলো থেকে গত এক বছরে এই সম্মানী পেল তার পরিবার।  ব্যাংকে ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ধরলে বাংলাদেশের মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া মরমী সাধক হাছন রাজা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান সংরক্ষণের উদ্যোগও নিয়েছে কপিরাইট অফিস। তিন এ কীর্তিমানের গান সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। এ প্রক্রিয়ায় এখন থেকে শিল্পী ও তাদের উত্তরাধিকাররা নিয়মিত রয়্যালটি পাবেন।

শনিবার সকালে ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ছেলে শাহ নূর জালালের হাতে রয়্যালটির চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ। প্রতীকী চেক পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নূর জালাল বলেন, “বাবা জানতেন না, যে তার গান থেকে কখনও টাকা পাওয়া যাবে। কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগটি বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন। “বাবা অর্থ কষ্টে দিন যাপন করেছেন। বাবার চোখের সামনে আমার মা চিকিৎসার অভাবে মারা যান,”বলেন তিনি।

বাবা ছেলেকে আশ্বস্ত করেছিলেন উল্লেখ করে নূর জালাল বলেন, আমার জন্য বাবা দোয়া করে গেছেন। বাবা বলতেন, ‘তুমি আমার কবরের পাশে বসে থাকলেও ভাতের কষ্ট থাকবে না’।তার বাবার গানগুলো সঠিক সুরে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগের ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে আরও ভালো থাকবেন। কপিরাইট আইনও সংশোধন করে যুগপযোগী করা হচ্ছে। ফলে শিল্পীদের অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে৷ তাছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিল্পীদের সহায়তার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি ট্রাস্ট গঠন করেছে।” এতে অংশ নিয়ে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পঞ্চবানীকে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এখনও নিজেকে তৈরি করতে পারেননি তিনি। এজন্য নিজেকে ‘ব্যাকডেটেড’ ভাবেন।

“আমাদের সময় রেডিও, টেলিভিশন কিংবা গান রেকর্ড করাটা এত সহজ ছিল না। অনেক বাছাইয়ের ব্যাপার ছিল। এখন খুব সহজেই গান রেকর্ড করে ফেলা যায়। প্রযুক্তির কারণে এখন গান সংরক্ষণ অনেক সহজ হয়েছে। কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এমন সুন্দর একটি কাজ করার জন্য।” হাছন রাজার প্রৌপুত্র সামারীন দেওয়ান পঞ্চবানীকে বলেন, ১০০ বছর আগে ১৯২২ সালে হাছন রাজা মারা যান। তেমন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও পাননি। এই ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে সরকার থেকে প্রথম একটি স্বীকৃতি দেওয়া হল।

হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী হিসেবে সম্বোধন করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অনেকেই হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী সম্বোধন করেন। কিন্তু তিনি কখনোই বাউল ছিলেন না। তিনি গানে বাউলা বলতেন, ‘বাউলা মন’ আর বাউল এক নয়। অনেক পার্থক্য আছে।” তার নামের বানানও অনেকে ভুল লেখেন দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকেই হাছন রাজাকে ‘হাসন রাজা’ লেখেন। গানেও অনেকে ‘হাসন রাজা’ বলেন। এটা ঠিক নয়। নামটি হবে ‘হাছন রাজা’।”

কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রিয়াংকা দেবী পাল, খুরশীদ আলম, মনির খান, সুজিত মুস্তাফা, জুয়েল মোর্শেদ ও কবি মারুফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল মোর্শেদ বলেন, শাহ আবদুল করিমের ৪৭২টি গানের কপিরাইট সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই গানগুলো এখন কেউ বিনা অনুমতিতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। এদিকে গত জুলাইয়ে শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) থেকেই ৩ লাখ টাকার একটি চেক গ্রহণ করেছে শাহ আবদুল করিমের পরিবার। করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল পঞ্চবানীকে বলেন, “প্রথম দফায় আমাকে ৩ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছে। বিটিভি থেকে আমাকে জানিয়েছে, এখন থেকে নিয়মিত পাব।”

প্রথমবার রয়্যালিটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত করিমের একমাত্র ছেলে বলেন, “বেশ আগে থেকেই আমি বাবার গানের রয়্যালিটির বিষয় নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলাম। কিন্তু কোনোভাবেই সুফল পাইনি। পরে বিটিভির জি এম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে আন্তরিকতার সহিত সাহায্য করেছেন কপিরাইট অফিসের তৎকালীন রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী স্যার। যারা এই রয়্যালিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

এর আগে ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর থেকে কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটাই ছিল কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় কপিরাইট সংরক্ষণের প্রথম উদ্যোগ। এর পর শাহ আবদুল করিমের ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শাহ আবদুল করিম এর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সোমবার সুনামগঞ্জের উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান শাহ নূর জালাল। তিনি বলেন, “হাওরে এখনও বন্যার পানি থাকার কারণে বড় করে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও বাবার ভক্তরা অনেকেই আসছেন। তাদের নিয়ে বাবা-মায়ের কবরে দোয়া করা হবে। এরপর সারা রাত বাবার গানগুলো তার শিষ্যরা গাইবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

বাউল শাহ আবদুল করিম এর গান থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়্যালিটি পেল তার পরিবার

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০২:০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
print news -

প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর গানের রয়্যালিটি হিসেবে তার পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশী কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। তিনি বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি পাঁচশো-এর উপরে সংগীত রচনা করেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁকে “বাউল সম্রাট” হিসাবে সম্বোধন করা হয়। প্রায় দেড় হাজার গানের স্রষ্টা প্রয়াত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর গানের রয়্যালিটি হিসেবে তার পরিবার পেয়েছে ১০ হাজার ডলার।

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ২০২১ সালের ডিসেম্বর এ ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় কপিরাইট অফিস, সেই গানগুলো থেকে গত এক বছরে এই সম্মানী পেল তার পরিবার।  ব্যাংকে ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ধরলে বাংলাদেশের মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া মরমী সাধক হাছন রাজা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান সংরক্ষণের উদ্যোগও নিয়েছে কপিরাইট অফিস। তিন এ কীর্তিমানের গান সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। এ প্রক্রিয়ায় এখন থেকে শিল্পী ও তাদের উত্তরাধিকাররা নিয়মিত রয়্যালটি পাবেন।

শনিবার সকালে ওয়েবসাইট উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিসের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ছেলে শাহ নূর জালালের হাতে রয়্যালটির চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ। প্রতীকী চেক পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নূর জালাল বলেন, “বাবা জানতেন না, যে তার গান থেকে কখনও টাকা পাওয়া যাবে। কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগটি বাবা দেখে যেতে পারলে অনেক খুশি হতেন। “বাবা অর্থ কষ্টে দিন যাপন করেছেন। বাবার চোখের সামনে আমার মা চিকিৎসার অভাবে মারা যান,”বলেন তিনি।

বাবা ছেলেকে আশ্বস্ত করেছিলেন উল্লেখ করে নূর জালাল বলেন, আমার জন্য বাবা দোয়া করে গেছেন। বাবা বলতেন, ‘তুমি আমার কবরের পাশে বসে থাকলেও ভাতের কষ্ট থাকবে না’।তার বাবার গানগুলো সঠিক সুরে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কপিরাইট অফিসের এই উদ্যোগের ফলে শিল্পীরা আর্থিকভাবে আরও ভালো থাকবেন। কপিরাইট আইনও সংশোধন করে যুগপযোগী করা হচ্ছে। ফলে শিল্পীদের অধিকার আরও সুরক্ষিত হবে৷ তাছাড়া আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিল্পীদের সহায়তার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি ট্রাস্ট গঠন করেছে।” এতে অংশ নিয়ে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা পঞ্চবানীকে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এখনও নিজেকে তৈরি করতে পারেননি তিনি। এজন্য নিজেকে ‘ব্যাকডেটেড’ ভাবেন।

“আমাদের সময় রেডিও, টেলিভিশন কিংবা গান রেকর্ড করাটা এত সহজ ছিল না। অনেক বাছাইয়ের ব্যাপার ছিল। এখন খুব সহজেই গান রেকর্ড করে ফেলা যায়। প্রযুক্তির কারণে এখন গান সংরক্ষণ অনেক সহজ হয়েছে। কপিরাইট অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, এমন সুন্দর একটি কাজ করার জন্য।” হাছন রাজার প্রৌপুত্র সামারীন দেওয়ান পঞ্চবানীকে বলেন, ১০০ বছর আগে ১৯২২ সালে হাছন রাজা মারা যান। তেমন কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও পাননি। এই ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে সরকার থেকে প্রথম একটি স্বীকৃতি দেওয়া হল।

হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী হিসেবে সম্বোধন করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অনেকেই হাছন রাজাকে বাউল শিল্পী সম্বোধন করেন। কিন্তু তিনি কখনোই বাউল ছিলেন না। তিনি গানে বাউলা বলতেন, ‘বাউলা মন’ আর বাউল এক নয়। অনেক পার্থক্য আছে।” তার নামের বানানও অনেকে ভুল লেখেন দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকেই হাছন রাজাকে ‘হাসন রাজা’ লেখেন। গানেও অনেকে ‘হাসন রাজা’ বলেন। এটা ঠিক নয়। নামটি হবে ‘হাছন রাজা’।”

কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার দাউদ মিয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রিয়াংকা দেবী পাল, খুরশীদ আলম, মনির খান, সুজিত মুস্তাফা, জুয়েল মোর্শেদ ও কবি মারুফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জুয়েল মোর্শেদ বলেন, শাহ আবদুল করিমের ৪৭২টি গানের কপিরাইট সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই গানগুলো এখন কেউ বিনা অনুমতিতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। এদিকে গত জুলাইয়ে শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) থেকেই ৩ লাখ টাকার একটি চেক গ্রহণ করেছে শাহ আবদুল করিমের পরিবার। করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল পঞ্চবানীকে বলেন, “প্রথম দফায় আমাকে ৩ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছে। বিটিভি থেকে আমাকে জানিয়েছে, এখন থেকে নিয়মিত পাব।”

প্রথমবার রয়্যালিটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত করিমের একমাত্র ছেলে বলেন, “বেশ আগে থেকেই আমি বাবার গানের রয়্যালিটির বিষয় নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলাম। কিন্তু কোনোভাবেই সুফল পাইনি। পরে বিটিভির জি এম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে আন্তরিকতার সহিত সাহায্য করেছেন কপিরাইট অফিসের তৎকালীন রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী স্যার। যারা এই রয়্যালিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

এর আগে ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর থেকে কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটাই ছিল কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় কপিরাইট সংরক্ষণের প্রথম উদ্যোগ। এর পর শাহ আবদুল করিমের ৪৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শাহ আবদুল করিম এর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সোমবার সুনামগঞ্জের উজানধল গ্রামে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান শাহ নূর জালাল। তিনি বলেন, “হাওরে এখনও বন্যার পানি থাকার কারণে বড় করে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও বাবার ভক্তরা অনেকেই আসছেন। তাদের নিয়ে বাবা-মায়ের কবরে দোয়া করা হবে। এরপর সারা রাত বাবার গানগুলো তার শিষ্যরা গাইবে।”