পল্লী বাউল লোক সঙ্গীতালয়ের ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগী বাজার হাজী আলকাছ আলী ম্যানশন এ অবস্থিত পল্লী বাউল লোক সংগীতালয় কার্যালয়ে কেক কর্তনের মাধ্যমে এ অনু্ষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শাহ আব্দুল করিম স্মৃতি পরিষদ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীত প্রশিক্ষক এস এম মানিক এর সভাপতিত্বে, ইউনিভার্সেল কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক জাহেদ আহমদ ও বৈরাগী বাজার আইডিয়াল কলেজের উচ্চমান সহকারি মাহবুবুল আলম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ৫নং কুড়ার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মুহাম্মদ জাকারিয়া আহমদ, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক কৃতি ফুটবলার সাইদুর রহমান, উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আঞ্চলিক গানের রচয়িতা গীতিকার ও সুরকার আয়াজ বাঙালী, উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানী বাজার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি এম. এ ওমর।
এসময় সৌদি প্রবাসি বিশিষ্ট- সমাজ সেবক জাহাঙ্গীর আলমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি তুতিউর রহমান তুতা সংঘঠনের ২০ বছর পুর্তিতে সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, মানবিক বিকাশের ক্ষেত্রে সঙ্গীত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। পল্লী বাউল সঙ্গীতালয় শুধু সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি মানবতাবাদী সংগঠনও বটে। তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীর সুন্দর মন-মানসিকতা সৃষ্টি করে সুন্দর সৃষ্টিশীল সমাজ বিনির্মাণে নিয়োজিত থেকে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরো শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করা। যেখানে থাকবে সুন্দর ব্যবহার, শ্রদ্ধাবোধ, সঠিক অনুশীলন, সময়জ্ঞান ও দেশপ্রেম।
সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে সঠিক গুণাবলী বিকাশে সঙ্গীতের ইতিবাচক অবদান রয়েছে। শুদ্ধ সঙ্গীতের চর্চা সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য সঙ্গীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এস এম মানিক দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। ছাত্রছাত্রীদের ২০ বছর শুদ্ধ সঙ্গীত অনুশীলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরো প্রসারিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, ২০ বছর থেকে এই সঙ্গীতালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত অনুশীলন করে আসছে। তাদের কোন ফি দিতে হয় না, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংগীত চর্চা করে আসছেন তারা। এমনকি উক্ত সঙ্গীতালয়ের একজন ছাত্র প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় উক্ত প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান প্রাপ্ত হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যাতে করে সরকারিভাবে অত্র প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়। সঙ্গীতালয়ের সৃজনশীল সকল কর্মকাণ্ড আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা জরুরি।
অন্যান্যদের মধ্যো বক্তব্য প্রদান করেন, শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার আয়াজ বাঙালি, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন,সদস্য রুহুল আমিন,মাহবুবুল আলম,বকুল মালালাকার,জাহেদ আহমদ প্রমুখ : বক্তারা সংঘঠনের ২০ বছরের সাফল্য তুলে দরেন।
পরে সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি অনু্ষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।