নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর পৌরসভা, সদর ও সেনবাগ উপজেলার ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একই পরিবারের এক মা ও দুই শিশু রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।
আল জামিয়াতুল মুস্তাফা কন্ট্রাক্টর বাড়ির আশিক আহমেদের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার (৩১), ছেলে আয়ান (৮) ও আয়াতের (৫) মরদেহ জুমার নামাজের পর আল জামিয়াতুল কবরস্থানে দাফন করা হয়। নোয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড মাইজদীর ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ।
অপর নিহতরা হলেন জেলার সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দত্তর গ্রামের তারেক আহমেদের স্ত্রী মেহরান কবির দৌলা (২৮) ও সেনবাগ উপজেলার দামুরুয়া ইউনিয়নের দর্জিপাড়ার তাকিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মোহাম্মদ আসিফ (২৪)।
https://youtube.com/shorts/KYhP-OjI_zU?feature=share
নিহতরা একই পরিবারের তিনজন আত্মীয়। রাসেল জানান, ব্যবসার সুবাদে ১৫-১৬ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন আশিক। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বেইলি রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। কিছুদিন আগে আশিকের দুই বন্ধু মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাজিয়া আক্তার দুই শিশুসহ মোট ৬ জনকে নিয়ে বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় যান। আশিকের তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আগুন না হওয়া পর্যন্ত তা হয়নি। পরে ফিনল্যান্ড থেকে আমাদের এক আত্মীয় বিষয়টি জানালে আমরা আশিক ও নাজিয়ার মোবাইল নম্বরে অনেকবার ফোন করলেও তারা কোনো সাড়া পাননি। পরে আগুনে নাজিয়া ও তার দুই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছিলাম।
তারেক আহমেদের স্বজন দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের মো. শামীম বলেন, তারেক ঢাকায় ব্যবসা করেন। তার স্ত্রী মেহরান কবির দৌলা আইএফআইসি ব্যাংকের আইটি বিভাগে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছোট বোন মাহি ও এক বন্ধুকে নিয়ে বেইলি রোডের একটি রেস্তোরাঁয় যান দৌলা। আগুন লাগার পর ছোট বোনের বান্ধবী ভবনের জানালা থেকে লাফ দিতে পারলেও দৌলা ও মাহি আগুনে দগ্ধ হন। মাহির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।
অপরদিকে, নোয়াখালীর সেনবাগের আসিফ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে কাজ করেন। ভবনটিতে আগুন লাগলে তিনি দগ্ধ হন।