লক্ষণ: শৈশব থেকেই অটিজমের লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে শুরু করে। শিশুরা এক বছর বয়সে অর্থবহ অঙ্গভঙ্গি করতে পারে, ১৬ মাস বয়স থেকে একটি শব্দ বলতে পারে এবং ২ বছর বয়সে ২ শব্দের বাক্য বলতে পারে কিন্তু অটিজম আক্রান্ত শিশুর মধ্যে এ সব আচরণ দেখা যায় না। অটিজম শিশুরা তার সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না।
অনেক শিশু ৩ বছর বয়স পর্যন্ত খেলাধুলা কথাবার্তা সব ঠিক থাকে কিন্তু হঠাৎ করে কথা বলা ও সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এটাকে বলা হয় রিগ্রেসিভ অটিজম। নাম ধরে ডাকলে সাধারণত শিশুরা সাড়া দেয়, কিন্তু অটিজমে আক্রান্ত শিশুর নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয় না। এ ধরনের শিশু আপন মনে থাকতে পছন্দ করে। সবচেয়ে বড় কথা- এরা কারও চোখের দিকে তাকায় না।
কারও দিকে তাকিয়ে হাসে না কিংবা আদর করলেও ততটা সাড়া দেয় না। সাধারণভাবে অটিস্টিক শিশুরা একই কথা বারবার বলে এবং একই কাজ বারবার করতে পছন্দ করে। অনেক অটিস্টিক শিশুর কিছু মানসিক সমস্যা যেমন- অতি চঞ্চলতা, অতিরিক্ত ভীতি, মনোযোগের সমস্যা, ঘন ঘন মনের অবস্থা পরিবর্তন হওয়া, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি থাকে। সুচিকিৎসা না হলে অটিস্টিক শিশুরা বড় হয়েও স্বাভাবিকভাবে জীবন চালাতে পারে না।
অটিজমে কী ঘটে?
অটিজম শিশুর নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বা মনোবিকাশের সমস্যা হয়। ব্রেনের নিউরোনসমূহ সঠিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান করতে না পারায় শিশুর আচরণ, কথা-বার্তা ও বুদ্ধিবৃত্তি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না।
হামিওপ্যাথিক ওষুধের কার্যকারিতা: হোমিওপ্যাথিতে অটিজম শিশুদের চিকিৎসায় ভালো মানের ওষুধ রয়েছে। সুনির্বাচিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে অটিজম শিশুদের বুদ্ধি, ধৈর্য, আই-কন্টাক্ট, আচরণ, কথা বলা ইত্যাদি বিষয়ে উন্নতি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত চঞ্চল শিশুদের আচরণও স্বাভাবিক হয়।
অটিজম শিশুদের সমস্যা যেহেতু ‘নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’ সেহেতু প্রয়োজন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার’ চিকিৎসায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। চিকিৎসা শুরুর পর শিশুর মানসিক উন্নতি হলে, আগের তুলনায় মনোযোগী এবং নিজের কাজ নিজে করার আগ্রহ তৈরি হলে বুঝতে হবে চিকিৎসা সঠিক হচ্ছে। তবে, এ কথা স্মরণ রাখতে হবে এই পরিবর্তন প্রথম দিকে ধীরে-ধীরে হয়। অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সফলতা অভিভাবকদের নিকট আশার আলো যুগিয়েছে।
[youtube-feed feed=1]