সুইজারল্যান্ডে রঙ ছড়াচ্ছে প্রবাসীদের দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

সুইজারল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৭ বছর ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন। প্রতি বছরই তারা দেশীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উৎসবটি আয়োজন করেন।
দেশটিতে বাংলাদেশিদের আয়োজনে নিয়মিত দুর্গাপূজা শুরু হয় ২০০৮ সালে। জুরিখসহ বিভিন্ন শহরের প্রবাসীরা মন্দিরে এসে প্রতিমা দর্শন ও অঞ্জলি দেন।
এবারের পূজার জন্য মন্দিরে রাখা হয়েছে গত বছরের প্রতিমা, যা কলকাতা থেকে আনা হয়েছে। শোলার মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার অমরনাথ ঘোষ অ্যান্ড সন্সের শিল্পী কৌশিক ঘোষ। উৎসব আয়োজন করছে ‘সর্বজনীন দুর্গাপূজা, সুইজারল্যান্ড কমিটি’। সদস্যদের মধ্যে আছেন এ আর দাস রবি, সুজিত দাস, তপন চক্রবর্তী, সুবাস সরকার, জয় রায়, অঞ্জন দেবনাথ, সনজিৎ চক্রবর্তী, বিপ্লব চৌধুরী, অঞ্জন দত্ত, নিরঞ্জন দাস, পিন্টু পাল, বিজয় পাল, রনো দেব, অনিমেষ চন্দ্র দে ও অনির্বান চ্যাটার্জি।
আয়োজকরা জানান, এবারের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে জুরিখের ১৬২ কাশলাইস্ট্রাসে। তিথিমতো পূজার দিনগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।
শাস্ত্রীয় ক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস ২৮ সেপ্টেম্বর, সপ্তমী ২৯ সেপ্টেম্বর, মহাষ্টমী ৩০ সেপ্টেম্বর, মহানবমী ১ অক্টোবর এবং বিজয়া দশমী ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়া দশমীর দিনে সিঁদুর খেলা, একে অপরকে আলিঙ্গন ও মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপন করা হবে।
দূর বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পূজার অন্যতম আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১ অক্টোবর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় গানের সুর ও নৃত্যের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজার চারদিন দুইবেলা বিনামূল্যে নিরামিষ খাবার এবং বিজয়া দশমীতে আমিষ খাবার পরিবেশিত হবে। ভোগে রয়েছে ভাত, পঞ্চব্যঞ্জন, বিভিন্ন ভাজা, তরকারি, খিচুড়ি, পায়েস, লুচি, সন্দেশ, নাড়ু, মিষ্টি, দই ও ফল।
আয়োজকরা জানান, প্রবাসে থেকেও দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এটি শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, বরং সর্বজনীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।