সিএইচসিপি’দের বেতন-ভাতা ইএফটির মাধ্যমে প্রদান শুরু: মোঃ আখতারুজ্জামান

কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) বেতন-ভাতা প্রদানে নতুন যুগের সূচনা হলো। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন-ভাতা জমা দেওয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২২ আগস্ট) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতিতে সিএইচসিপিদের বেতন-ভাতা প্রদান চালু হয়েছে। এর ফলে পূর্বের জটিলতা দূর হয়ে সহজে ও স্বচ্ছভাবে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে বেতন পৌঁছে যাবে।
এমডি আরও জানান, বেতন ছাড়াও সরকার প্রদত্ত যে কোনো প্রণোদনা বা পারিতোষিক চলতি মাস থেকে বিকাশের মাধ্যমে প্রদান শুরু হয়েছে। এতে আর্থিক লেনদেনে সিস্টেম লস শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে সিএইচসিপিদের চাকরি প্রকল্পভিত্তিক ছিল এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ সেক্টর প্রোগ্রামের অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) আওতায় তাদের বেতন দেওয়া হতো। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিএইচসিপিদের চাকরি ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৬তম গ্রেডের এই স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়।
ট্রাস্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪২৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৩৬৩টিতে সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। নতুন করে আরও ৫১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেন, বছরে যা দাঁড়ায় প্রায় ১৬ কোটিতে।
অন্যদিকে সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা সারা বাংলাদেশের সিএইচসিপিদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই উদ্যোগ আমাদের জীবনে স্বস্তি এনেছে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান আরও একধাপ এগিয়ে নেবে, ইনশাআল্লাহ।