বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

পশুর হাটে যাওয়ার আগে যেসব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:২২ পিএম
পশুর হাটে যাওয়ার আগে যেসব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে

ঈদ-উল-আযহা বা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসে গেছে ইতোমধ্যেই। কোরবানির জন্য পছন্দের পশুটি কিনতে প্রতি বছর হাটে যান হাজারো মুসলমান। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রথমবারের মতো পশুর হাটে যান। ছোটবেলায় অনেকেই অভিভাককের হাত ধরে হাটে গিয়েছেন হয়তো। কিন্তু ঘুরতে যাওয়া আর পশু কেনার দায়িত্বসহ যাওয়া কিন্তু এক কথা না। প্রথমবার পশু কিনতে যাওয়ার এই অভিজ্ঞতা নতুনদের জন্য রোমাঞ্চকর হলেও ছোট্ট কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা সর্তকতার অভাবে নানান বিপদে পড়ার শঙ্কা থাকে। তাই প্রথমবার কোরবানির পশুর হাটে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি-

১. বাজেট নির্ধারণ করুন

কোরবানির হাটে যাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট বাজেট নির্ধারণ করে নিন। যার ফলে আপনি বাড়তি খরচে না গিয়ে উপযুক্ত পশু কিনতে পারবেন। পকেটমার ও ছিনতাইকারীর কারণে টাকা অবশ্যই সাবধানে রাখবেন। টাকা সরাসরি পকেটে না রেখে আলাদা ব্যাগে নিবেন।

২. অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিন

প্রতি বছরই কোরবানির পশুর হাটে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা দালালের খপ্পরে পড়েন। তারা উভয়ের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিয়ে নেন। তাই আপনাকে আগে থেকেই দালাল চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য প্রথমবার হাটে সময় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নেন। এতে তিনি দর কষাকষিতেও সহায়তা করবে এবং প্রতারণার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।

৩. স্বাস্থ্য সুরক্ষা

হাটের পরিবেশ অনেক নোংরা থাকে। চারপাশে পশুর মল-মূত্র ছড়িয়ে থাকে। হাটে ধুলাবালি, দুর্গন্ধ ও নানা জীবাণু থাকে। তাই হাটে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। তবে কথাবার্তা বলার সময় অনেকেই নাকের ওপর থেকে মাস্ক সরিয়ে ফেলে। কেউ আবার নাক-মুখ খোলা রেখে থুতনির ওপর মাস্ক পরেন। সঠিকভাবে মাস্ক না পড়লে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া হাটে প্রচণ্ড গরম থাকার কারণে পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করুন। দীর্ঘ সময় গরমের মাঝে অবস্থান করলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই বাসা থেকে বোতলে করে প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানি, শরবত ও স্যালাইন সঙ্গে নেন।

৪. পায়ের যত্ন নিন

গোবর, চোনা, কাদা একাকার হয়ে পুরো হাট নোংরা হয়ে থাকে। তাই সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই চলাচল করতে হবে। যাদের পায়ের ক্ষত রয়েছে কিংবা যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা হাটে না যাওয়াই ভালো। হাটে গিয়ে পা থেঁতলে বা কেটে পিয়ে কাদা, গোবর ইত্যাদি লাগলে অবশ্যই সাবান দিয়ে পা ধুয়ে অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগাতে হবে।

৫. ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে না নেওয়া

পশুর হাটে সাধারণত অনেক ভিড় থাকে। এতে ছোট বাচ্চারা সহজেই হারিয়ে যেতে পারে বা ধাক্কাধাক্কিতে আহত হতে পারে। হুট করে এত পশুর ডাক বা আচরণেও তারা ভয় পেতে পারে। এ ছাড়া পশুর অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের সময় বাচ্চারা আহত হতে পারে, এতে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। হাটে ধুলাবালি ও মল-মূত্রের গন্ধে শিশু অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনাও থাকে। তাই তাদের সঙ্গে না নেওয়াই উত্তম। এরপরও নিলে সঙ্গে একজন আলাদা ব্যক্তিকে নেন। যিনি শিশুকে নিরাপদে রাখবেন। এ ছাড়া বৃদ্ধ কিংবা পরিবারের অসুস্থ কোনো সদস্যকে নিয়ে যাবেন না।

৬. কোরবানির পশু নির্বাচন

হাটে গিয়ে সঠিক ও স্বাস্থ্যবান পশু নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ পশু কোরবানির অন্যতম শর্ত। তাই পশু কেনার সময় যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে। পশুর শরীরের গঠন, অঙ্গ এবং শক্তি কেমন তা দেখে নিতে হবে। পশুটি কেমন হাঁটে বা দৌড়ায় খেয়াল করুন, খুব দুর্বল বা নিস্তেজ পশু কিনবেন না। এ ছাড়া মেডিসিনের মাধ্যমে মোটা ও বড় করা হয়েছে কিনা চেক করে নিন। এ জন্য হাটে থাকা পশুর ডাক্তারদের সহায়তা নেন।

৭. পশুর দরদাম

পশুর হাটে যাওয়ার আগে আশপাশের হাটে পশুর গড় দাম কেমন, তা জেনে নিন। পশুর শারিরীক গঠন ও স্বাস্থ্য কেমন, সেই হিসেবে দাম করতে হবে। পশু পছন্দ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে হুট করে দাম করবেন না, আগে বিক্রেতার কাছ থেকে দাম শুনুন। দরদামের সময় ধৈর্য হারাবেন না। বিক্রেতার মুখের কথা বা ভিড়ের চাপে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকা অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহায়তা নিন। তবে বিক্রেতা যদি দাম নিয়ে বেশি গড়িমসি করে বা সন্দেহজনক আচরণ করে, তাহলে সেই জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো। এ ছাড়া একটা পশু দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে একাধিক পশু ঘুরে ঘুরে দেখে তুলনা করুন, এতে দরদাম সহজ হবে। দাম চূড়ান্ত হওয়ার আগে টাকা লেনদেন করবেন না। আর টাকা লেনদেনের সময় অবশ্যই হাট কতৃপক্ষের রসিদ সংগ্রহ করবেন।

৮. পশুর পরিবহন ব্যবস্থা

পশু কেনার পর তা নিরাপদে বাড়ি নেওয়ার জন্য পরিবহন ব্যবস্থা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাটে গিয়ে অনেক সময় ভালো গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই পশু কেনার আগেই পরিচিতজন, নির্ভরযোগ্য কোনো পরিবহন সংস্থা বা গাড়িচালকদের নম্বর রাখুন। পশুর আকার অনুযায়ী পিকআপ, ট্রাক বা ভ্যান নির্বাচন করুন। বড় গরুর জন্য খোলা ও প্রশস্ত ট্রাক ভালো, এতে পশু আঘাত পাবে না। এ ছাড়া পশুকে রাখার জন্য বাসা-বাড়িতে জায়গা প্রস্তুত রাখুন।

৯. পশুর জন্য খাবার

কোরবানির পশু কেনার পর তার যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক খাবার দেওয়া। সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার পশুকে সুস্থ, সতেজ রাখতে সহায়তা করবে। তাই পশু কেনার সময় সঙ্গে খাবারও কিনে নিন। তবে এ বিষয়ে আগে মালিকের থেকে জেনে নিবেন আপনার কেনা পশুটি কোন ধরনের খাবার খায়। প্রয়োজনে পশু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে হাটে গেলে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোরবানির পশু কিনতে পারবেন। একইসঙ্গে বড় ধরনের সমস্যার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন।

কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

কানাইঘাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪০ এম
কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কানাইঘাটের স্বনামধন্য সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ মহতী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ও ঐতিহ্যবাহী বামজঙ্গা কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মানিক লাল দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাইঘাট পৌর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মিলন কান্তি দাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি শ্রী দূর্গা কুমার দাস এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার সলিল চন্দ্র দাস।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন লাবন্য সিতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, প্রতাপ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান চৌধুরী ও সুকান্ত চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন নিজ চাউরা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মাস্টার দয়াময় দাস। অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন সনজিত চন্দ্র দাস।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাসের মানবকল্যাণমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঞ্চালক মিলন কান্তি দাসও ফাউন্ডেশনের পূর্ববর্তী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস বলেন—
“মানুষের কল্যাণে আমি আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। অবহেলিত ও বঞ্চিত কানাইঘাটবাসীর সেবা আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।”

অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে উপস্থিত পূণ্যার্থীদের মাঝে শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন পূঁজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপির রাজনীতি হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যার মূল লক্ষ্য হলো এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। বিএনপির কাছে বিদেশি নীতির কোনও স্থান নেই। এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে সাম্য, সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে—এটাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।”

শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে এম এ মতীন উপজেলার বিষ্ণুপুর, কসব,কাঁশোপাড়া,মৈনম ইউনিয়নের বিভিন্ন পূঁজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন এবং আয়োজক ও স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাদল, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ কুমারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতা এম এ মতীন বলেন, “বিগত ১৭ বছরে যেসব ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, জমি দখল করেছে, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় সজাগ থেকেছে। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে এবং যে কোনও হামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমরা মাঠ ছাড়িনি, কারণ এটা নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য।”

বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মতীন বলেন, “আমাদের সবার দায়িত্ব হলো—যাতে এই দেশে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিজ ধর্ম পালন করতে গিয়ে আতঙ্কে না থাকে। সবাই যেন উৎসব উদযাপন করতে পারে নিরাপদে, আনন্দে, সম্মানের সঙ্গে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সব ধর্মের মানুষের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।”

বিএনপি নেতাদের এই শুভেচ্ছা সফরকে স্বাগত জানায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভক্তরা। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতাকেও ধন্যবাদ জানান।

স্থানীয় পূঁজা উদযাপন পরিষদের একজন সদস্য বলেন, “বিএনপি নেতারা প্রতিবছর পূঁজায় আমাদের পাশে থাকেন। এবারও তারা এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, অনুদান দিয়েছেন—আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।”

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

মশিউর রহমান রাজশাহী ব্যুরো: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৯ পিএম
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

“Don’t Miss a Beat — প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।

সকাল ৯টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ফ্রি-চিকিৎসা সেবায় ৩০০-এর অধিক হৃদরোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ আতাহার আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন।

মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ রইছ উদ্দিন।

এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ. এস. এম. সায়েম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত হোসেন বাবু ও মোঃ হাসেন আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রফেসর মোঃ হবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন (সেলিম), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ শামসুল হুদা, দপ্তর সম্পাদক এ. কে. মাসুদসহ নির্বাহী ও আজীবন সদস্যবৃন্দ।

সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য মোঃ এনামুল হক এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিসা লুবাবা নদী

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।