বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

রাজশাহীতে অভিযানের নামে নির্যাতন শেষে ডিএনসি’র ভুল স্বীকার

রাজশাহী ব্যুরো: প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ পিএম
রাজশাহীতে অভিযানের নামে নির্যাতন শেষে ডিএনসি’র ভুল স্বীকার

গোদাগাড়ী উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে প্লট ব্যবসায়ীর বাসায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। মাসিক মাসোহারা নিতে নাহিদ নামে এক দালালের কথা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বাসা তল্লাশি নামে রাতভর হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হয়। শিশু বাচ্চা, নারী, বয়স্ক প্রতিবেশিসহ অনেকই এ নির্যাতনে শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপরাধ দমনে সরকার যখন নিরপেক্ষ তখনই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আওয়ামী সরকারের আমলে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতায় ফেঁসেছেন অনেক নিরপরাধ মানুষ। প্রশাসন সেই একই পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছেন নিরপেক্ষ সরকারের আমলেও। এমনই এক ঘটনার স্বাক্ষী হলো গোদাগাড়ীবাসী।
২৪ জুলাই ( বৃহস্পতিবার ) রাত আনুমানিক ১২ টা। গোদাগাড়ী ১ নং ইউনিয়নের পরমানন্দপুর এলাকায় প্লট ব্যবসায়ী পিয়ারুলের বাড়িতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ( ডিএনসি) রাজশাহী জেলা শাখা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাড়িতে থাকা শিশু ও মহিলাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তাদের হাতে থাকা মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর শুরু করেন মারধর। প্রথমে পিয়ারুলের স্ত্রী গোলাপি বেগমকে (৩৫) একটি ঘরে ঢুকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন। তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন আর বলেন, তোর স্বামী কোথায় বল?
এসময় গোলাপি বলেন, আমার স্বামী আমাদের জমি চাষাবাদ করতে চর এলাকায় গেছেন। তারপরও তাকে একেরপর এক আঘাত করতে থাকেন। এরপর পিয়ারুলের মেয়ে রুপালি খাতুন (১৩) কে ঘরে নিয়ে যান তারা। রুপালিকেও মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিশু রুপালি কান্নায় ভেঙে পড়ে। তারপরও তাকে মারতে থাকেন তারা। সেভেন পড়ুয়া রুপালী এক পর্যায়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অসুস্থ হন।
পাশেই খুপড়ি ঘরে শুয়ে ছিলেন প্রতিবেশি পাতান নামের এক বৃদ্ধ। তাকে জোরজবরদস্তি ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পিয়ারুলের বাড়িতে। এসময় পিয়ারুলের তথ্য দিতে না পারায় তাকেও চড় থাপ্পড় মারেন। প্রতিবাদ করলে তাকে আরও মারধর করেন।
ঐ এলাকার যুবক মোজাহার চেচামেচি দেখে এগিয়ে আসেন। তার কাছে চাওয়া হয় পিয়ারুলের ফোন নাম্বার কিন্তু মোজাহারের কাছে নাম্বার না থাকায় দিতে পারেননি। এরপর তাকেও মারেন চড় থাপ্পড়। এভাবেই গণহারে মারছিলেন সবাইকে। কেউ এগিয়ে আসতে পারেনি তাঁদের নিকট।
বাড়িতে অভিযানের সময় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি অথবা গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করার নিয়ম থাকলেও ডিএনসি তার তোয়াক্কাও করেননি। বরং এলাকার কেউ এগিয়ে গেলেই হয়েছেন মারধরের শিকার।
রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বাড়ির বিছানা, বালিশ, বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ করে খুঁজেও মেলেনি কোন মাদক। পরে তারা বলেন আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের ভুল হয়েছে। কিছু মনে করো না। আমাদের চা খাওয়াও। ভয়ে পিয়ারুলের মেয়ে রুপালি খাতুন তাদের চা রেডি করে দেন। এরপর বিরিয়ানি খাওয়াতে বলেন। কিন্তু তাদের ঘরে বিরিয়ানির কোন ব্যবস্থা না থাকায় তা দিতে পারেন নি। এভাবে ছয় ঘন্টায় দুবার চা, বিস্কুট ও মুড়ি তৈরি করে দিতে বাধ্য করেন বলে জানান গোলাপি বেগম।
গোলাপি বেগম বলেন, আমার স্বামী যদি কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন, তাহলে বিচার বিভাগ আছে তার শাস্তির ব্যবস্থা দাবি করছি। কিন্তু আমরা কোন অপরাধ না করেও রাতের অন্ধকারে যা খুশি তাই করতে পারে না প্রশাসন। বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ ছিল না। তারা এলাকার কোন মানুষকে সাথে নিয়েও আসেনি।তারা ডাকাতের মত আচরণ করে গেছেন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ডিএনসির এই অবৈধ আভিযানিক টিমের শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা আরও বলেন, কেল্লাবারুইপাড়া এলাকার এলতাস মেম্বারের ছেলে দালাল নাহিদ নেতা প্রশাসনের সাথে যোগসাজশ করে পরিবারটিকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছে। নাহিদ আমার স্বামীর নাম্বার না পেয়ে আমার বাড়িতে অভিযান করিয়েছে। এরা প্রশাসনের সাথে হাত মিলিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করে। চাঁদাবাজির এক নতুন ফন্দি নিয়ে কাজ করছে এই চক্রটি। এদের শাস্তি হওয়া উচিত। অভিযান পরিচালনাকারীরা ওই সময় তাঁদের পরিচয় গোপন রাখেন। তবে অভিযানে ডিএনসি’র বিপ্পব, রিপন, হাফিজা খাতুন নামে কয়েকজন ছিলো বলে স্থানীয়রা কয়েকজন জানান।
অভিযান পরিচালনাকারী পরিদর্শক রায়হান বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি সঠিক নয়। তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করেন নাহিদ। তিনি বলেন স্থানীয়রা কে কি বললো সেটা আমি জানি না। এর সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত না।
জানতে চাইলে রাজশাহীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জেনে পরে বিষয়টি আপনাকে জানাবো। অভিযান পরিচালনা করতেই পারে তাঁরা। তবে কাউকে বিনাদোষে মারধর করার এখতিয়ার রাখে না তারা। যদি এমনটি করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

কানাইঘাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪০ এম
কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কানাইঘাটের স্বনামধন্য সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ মহতী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ও ঐতিহ্যবাহী বামজঙ্গা কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মানিক লাল দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাইঘাট পৌর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মিলন কান্তি দাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি শ্রী দূর্গা কুমার দাস এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার সলিল চন্দ্র দাস।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন লাবন্য সিতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, প্রতাপ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান চৌধুরী ও সুকান্ত চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন নিজ চাউরা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মাস্টার দয়াময় দাস। অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন সনজিত চন্দ্র দাস।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাসের মানবকল্যাণমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঞ্চালক মিলন কান্তি দাসও ফাউন্ডেশনের পূর্ববর্তী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস বলেন—
“মানুষের কল্যাণে আমি আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। অবহেলিত ও বঞ্চিত কানাইঘাটবাসীর সেবা আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।”

অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে উপস্থিত পূণ্যার্থীদের মাঝে শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন পূঁজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপির রাজনীতি হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যার মূল লক্ষ্য হলো এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। বিএনপির কাছে বিদেশি নীতির কোনও স্থান নেই। এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে সাম্য, সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে—এটাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।”

শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে এম এ মতীন উপজেলার বিষ্ণুপুর, কসব,কাঁশোপাড়া,মৈনম ইউনিয়নের বিভিন্ন পূঁজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন এবং আয়োজক ও স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাদল, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ কুমারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতা এম এ মতীন বলেন, “বিগত ১৭ বছরে যেসব ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, জমি দখল করেছে, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় সজাগ থেকেছে। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে এবং যে কোনও হামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমরা মাঠ ছাড়িনি, কারণ এটা নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য।”

বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মতীন বলেন, “আমাদের সবার দায়িত্ব হলো—যাতে এই দেশে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিজ ধর্ম পালন করতে গিয়ে আতঙ্কে না থাকে। সবাই যেন উৎসব উদযাপন করতে পারে নিরাপদে, আনন্দে, সম্মানের সঙ্গে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সব ধর্মের মানুষের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।”

বিএনপি নেতাদের এই শুভেচ্ছা সফরকে স্বাগত জানায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভক্তরা। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতাকেও ধন্যবাদ জানান।

স্থানীয় পূঁজা উদযাপন পরিষদের একজন সদস্য বলেন, “বিএনপি নেতারা প্রতিবছর পূঁজায় আমাদের পাশে থাকেন। এবারও তারা এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, অনুদান দিয়েছেন—আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।”

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

মশিউর রহমান রাজশাহী ব্যুরো: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৯ পিএম
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

“Don’t Miss a Beat — প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।

সকাল ৯টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ফ্রি-চিকিৎসা সেবায় ৩০০-এর অধিক হৃদরোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ আতাহার আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন।

মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ রইছ উদ্দিন।

এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ. এস. এম. সায়েম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত হোসেন বাবু ও মোঃ হাসেন আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রফেসর মোঃ হবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন (সেলিম), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ শামসুল হুদা, দপ্তর সম্পাদক এ. কে. মাসুদসহ নির্বাহী ও আজীবন সদস্যবৃন্দ।

সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য মোঃ এনামুল হক এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিসা লুবাবা নদী

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।