সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ: ময়মনসিংহে আনোয়ারা বেগম প্রতারণার শিকার

সরকারি ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক নারী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোছাঃ আনোয়ারা বেগম এই ঘটনায় চরম অসহায়ত্বের শিকার হয়েছেন। তিনি তার টাকা ফেরত পেতে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ
আনোয়ারা বেগম (স্বামী: বাবুল মিয়া), সাং: চরঈশ্বরদী, থানা: কোতোয়ালী, ময়মনসিংহ, জানান যে তার স্বামী বাবুল মিয়া, মনোয়ারা বেগম (পিতা: নাগর আলী) থেকে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।বাবুল মিয়া মিয়া তার পরিবার সমেত সেখানে দীর্ঘকাল বসবাস করে আসতেছিলেন। এখানে তার একটি আধা পাকা ঘর টিউবওয়েল গাছপালা ও বৈদ্যুতিক মিটার ছিল।
আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ, প্রতারক মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে এবাদুল ইসলাম বিভিন্ন ভয়ভীতি ও অস্ত্রের মুখে তার স্বামী বাবুল মিয়াকে জিম্মি করে সেই জমির একটি বায়নাপত্র দলিল করিয়ে নেন। আনোয়ারা বেগম
এই ভিত্তিকর অবস্থার জন্য তার স্বামীর বাবুল মিয়া আনোয়ারা বেগমকে সম্পত্তি রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। পরবর্তীতে আনোয়ারা বেগম নামজারি খতিয়ান করে উন্নয়ন কর পরিষদ করেন। এখনো সেই নাম জারি করতে হয় বহাল আছে। এমত অবস্থায় সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ ৪ নং এল কেস চালু হলে। ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী জমিতে বসবাসকারী আনোয়ারা বেগমের দলিল পত্র নামজারি খতিয়ান বহাল থাকার কারণে। অধিগ্রহণ কার্যক্রম ৭ নং ও ৮ নং ধারায় আনোয়ারা বেগমের নামে লিপিবদ্ধ হয়। ৮ নং ধারায় ভূমি স্থাপনা ও গাছ পালার জন্য ৫৬৪৮৪০ ক্ষতিপূরণ বাবদ এওয়ার্ড ভুক্ত হয়।
এমতাবস্থায় প্রতারক মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে এবাদুল ইসলাম বায়না পত্র দলিল মূলে আদালতে মামলা করে রায় ডিগ্রী অর্জন করে। আনোয়ারা বেগমকে উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদ মামলার মাধ্যমে উচ্ছেদ করেন এবং মনোয়ারা বেগম উক্ত জমির দখল বুঝে পায়। কিন্তু উক্ত জমি পূর্বেই আনোয়ারা বেগমের নামে এল এ স্থাপনা এবং জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। দুটি বিষয় সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে এল এ শাখা মনোয়ারা বেগম ও আনোয়ারা বেগম একত্রিত করে শুনানির মাধ্যমে মীমাংসা করে জমির টাকা মনোয়ারা বেগমকে এবং স্থাপনার টাকা আনোয়ারা বেগমকে প্রদান করতে বলেন।মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে এবাদুল ইসলাম উক্ত টাকা আনোয়ারা বেগমকে প্রদান করবেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়ে আসেন। কিন্তু সে পরবর্তীতে বিভিন্ন কুচক্রী মহলের মাধ্যমে মাধ্যমে প্রদান করতে অস্বীকার করেন। বিভিন্ন ভয়ভীতির মাধ্যমে এলে শাখা থেকে উক্ত টাকা প্রতারণা করে নিজ নামে নিয়ে যায়। এখন ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি কোন টাকা প্রদান করবেন না বলেদেন।
আইনি পদক্ষেপ আনোয়ারা বেগম এই গুরুতর প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার শেষ সম্বলটুকু হারিয়েছি। যারা এই অন্যায় করেছে, আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।”
এই ঘটনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে যেন তারা সরকারি ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত লেনদেনের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেন।