বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমির হামজা

একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে আলোচনায় আসা ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে রাজনৈতিক বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা তাকে জানিয়েছেন, মাহফিলে যেন তিনি কেবল কোরআনের তাফসির নিয়েই কথা বলেন এবং রাজনৈতিক বা বিতর্কিত প্রসঙ্গে আর বক্তব্য না দেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির হামজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে বিতর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া যাবে না। দুজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল আমাকে জানিয়েছেন, মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোরআনের তাফসিরের বাইরে কিছু বলব না।”
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলকে ঘিরে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের জেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি স্বীকার করেন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম বলতে গিয়ে ভুল করে মুহসিন হলের নাম বলে ফেলেছেন। হামজা বলেন, “এটা মুখ ফসকে হয়েছে। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে ছাত্রলীগের আমলে ওই হলে যে জুলুম-অত্যাচার হয়েছিল, সে সম্পর্কে ছাত্রদের কাছ থেকেই শুনেছি। কিন্তু আমার এভাবে বলা উচিত হয়নি। আগামীতে আমি সতর্ক থাকব।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নিয়ে দেওয়া বক্তব্য নিয়েও তিনি ব্যাখ্যা দেন। হামজা জানান, “আমি জাহাঙ্গীরনগরে ছিলাম। ক্যাম্পাসে কী হতো, সবাই জানে। আমি বলেছিলাম মদের বোতল ছিল, এখন বলা হচ্ছে ওই বোতলে পানি খেত। যদি তাই হয়, আমি দুঃখিত। ওয়াজ করতে গেলে তুলনা করতে হয়, এতে ভুল হয়। আমি ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।”
এ ছাড়া ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে নিয়ে মন্তব্য করার জন্যও তিনি ক্ষমা চান। তার ভাষ্য, “মা হাওয়ার সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ওই মন্তব্য করেছিলাম। এজন্য মাফ চেয়েছি, আর কখনো এমন বলব না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
মুফতি আমির হামজা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের আমলে তাকে জেলখানায় নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন, ফলে বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়।