কমিউনিটি ক্লিনিক এর মানোন্নয়নে দিনাজপুরে সেমিনার

প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: আক্তারুজ্জামান।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো: আক্তারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে স্বাস্থ্য খাতের যুগান্তকারী সংস্কার হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। ওয়ার্ড লেভেলে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়ে যাওয়া একটি বড় সংস্কার। আরো একটি বড় সংস্কার হলো অধিদপ্তরের ন্যায় ট্রাস্ট গঠন। ৭০ টি দেশে এই কমিউনিটি ক্লিনিক সমাদৃত হয়েছে, বান কি মুন এদেশে এসেছিলেন প্রান্তিক এই স্বাস্থ্য কাঠামো দেখতে। তিনি বলেন, এই সরকারের বড় একটি সাফল্য হলো ১৪ হাজার সিএইচসিপির চাকরী সরকারী করা হয়েছে। তাদের বেতন Ibass ++ এ দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভাতাদি বিকাশের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা: আসিফ ফেরদৌস বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারিতে সিএইচসিপিদের অবদান প্রশংসনীয়।” তিনি সকল সেক্টরের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম বলেন, “সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ, জেলার অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, দিনাজপুর জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ-সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম ভরসা। সরকারের এ অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। তারা সেবার মান উন্নয়ন, পরিকাঠামোগত সহায়তা, জনবল প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সিএইচসিপিরা দারুণ উৎসাহ প্রকাশ করেন। উপস্থিত সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
সেমিনার শেষে এক উজ্জীবনী পরিবেশে উপস্থিত সকলে নতুন উদ্যমে প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।