কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার
শীঘ্রই সারাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছাবে ওষুধ-আক্তারুজ্জামান

পট পরিবর্তনের পর গত ১ বছর বাজেট না থাকায় দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য কোনো ওষুধ ক্রয় করা হয়নি। তবে নতুন বাজেট অনুমোদনের পর স্বাস্থ্য খাতে আবারও গতি ফিরেছে। ইতোমধ্যে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এসব ওষুধ সারাদেশের সব উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য মো. আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে গত ৫৪ বছরের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। আজ তা গ্রামীণ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেট সংকটের কারণে গত ১ বছরে কোনো ওষুধ ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন বাজেট এসেছে। আমরা এখন ওষুধ
ক্রয় শুরু করেছি। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের সার্বিক তদারকি চলবে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব নাসির উদ্দিন, উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক শুধু ওষুধ সরবরাহ নয়, সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, টিকাদান কর্মসূচি এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কারণে প্রান্তিক ও গ্রামের সাধারণ মানুষ সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।
সেমিনারে বক্তারা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে একজন সিএইচসিপি এককভাবে ১০০টি নর্মাল ডেলিভারির রেকর্ড স্থাপন করায় তাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও ডিডিএলজি কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক আমাদের স্বাস্থ্যসেবার প্রাণকেন্দ্র। মাঠপর্যায়ে এই সেবার মান বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’