লক্ষ্মীপুরে ১৯ জন গুনি শিল্পীকে সম্মাননা দিয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমী

লক্ষ্মীপুরে ১৯ জন গুণী শিল্পী কে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দিয়েছেন শিল্পকলা একাডেমী। ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় টাউন হল মিলনায়তনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং লক্ষীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলার সকল সাংস্কৃতিক সংগঠক সাংস্কৃতিক কর্মী এবং বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে
এ সম্মাননা দওেয়া হয়। সম্মাননা প্রদানের পর জেলা শিল্পকলা একাডমেীর শিল্পীদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অতরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সম্রাট খীসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।
আয়োজকদের ভাষ্যমতে , জেলা শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণী শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। হঠাৎ করেই ২০১৮ সাল থেকে এই গুণী শিল্পী সম্মাননা প্রদান টি থেমে যায়। এর আগে অনেক গুনি শিল্পীরা সম্মাননা প্রাপ্তির আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গুণী শিল্পীর পরিবার এবং জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে এই ধরনের একটি চাপা কষ্ট দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে অনেক জেলা প্রশাসন আসলেও তারা উদ্যোগ নিয়ে আবার অদৃশ্য কারণে থেমে যায়। কিন্তু বর্তমান জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মনিরুজ্জামান মনির সাথে আলাপ করে ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যে সকল গুণী শিল্পীদেরকে সম্মাননার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে অতি দ্রুত তাদেরকে সম্মাননা প্রদানের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলেনতারই সূত্র ধরে ১২ সেপ্টেম্বর গুণী শিল্পীর সম্মাননার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সাল যে সকল গুণী শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে কন্ঠ সংগীত নাট্যকলা, আবৃতি, যন্ত্রসংগীত, লোকসংগীত, যাত্রাশিল্প, চারুকলাসহ বেশ একটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক অত্যন্ত মানবিক একজন জেলা প্রশাসক সেই সাথে তিনি শিল্পকলা শিল্প সংস্কৃতিকে নিজের মনের মধ্যে লালন করেন।
তিনি মনে করেন একটি জেলার শিল্প সংস্কৃতি যদি থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ে ওই জেলার উন্য়নন সম্ভব। জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তার বক্তব্য বলেন, শিল্পীদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা এটা এক ধরনের বড় অপরাধ। আমরা চাই না এই ধরনের অপবাদের বোঝা আমাদের উপরে নিতে। তিনি বলেন প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এভাবেই গুণী শিল্পীরা তাদের সম্মাননা পাবে। আর আমি চাই প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণার্থী শিল্পীরা সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী শিল্পীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টিকে থাকবে জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং উৎসাহিত হবে নবপ্রজন্ম এমনটাই প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা কালচারাল অফিসার মনিরুজ্জামান মনির সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরচিালক জসীম উদ্দিন, অতরিক্ত পুলি সুপার (সদর সার্কেল) মোহম্মদ রেজাউল হক প্রমুখ