বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন

ঢাকার দুপুর মানেই ভ্যাপসা গরম আর আর্দ্রতার চাপা যন্ত্রণা। মাথার ওপরে সূর্যের খরতাপ, গলিতে বাতাস নেই বললেই চলে, চারপাশ ঘোলাটে হয়ে ওঠে উত্তাপে। এমন দিনে বাইরে বের হওয়া যেন প্রতিদিনের এক যুদ্ধ। অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ, কেউই রেহাই পান না এই গরমের দাপট থেকে। আর এই ভ্যাপসা গরম শুধু অস্বস্তি নয়, বরং শরীরের জন্য এক মারাত্মক ঝুঁকি। পানিশূন্যতা, হিট এক্সেশন কিংবা প্রাণঘাতী হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা যে কারও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষের জন্য এই সময়টা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমে শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাম ঝরায়। কিন্তু বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেশি হলে সেই ঘাম দ্রুত শুকায় না, ফলে শরীর ঠাণ্ডা হতে পারে না। এতে তাপ জমে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলেই দেখা দেয় হিট হিট এক্সেশনের লক্ষণ, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশিতে খিঁচুনি এবং দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস। আর যদি তা দ্রুত সামলানো না যায়, তবে তা পরিণত হয় প্রাণঘাতী হিট স্ট্রোকে। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা এত দ্রুত বাড়ে যে মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভারসহ একে একে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে পড়া, অস্বাভাবিক আচরণ কিংবা ত্বক শুকনো ও গরম হয়ে যাওয়া হলো হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ। তাহলে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় প্রতিরোধই সবচেয়ে বড় ওষুধ। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (ইন্টারনাল মেডিসিন) ডা. নিখাত শাহলা আফসার গরমে সুস্থ থাকার বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন-

১. সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

২. তৃষ্ণা না পেলেও বারবার পানি পান করুন। যারা চিকিৎসকের পরামর্শে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করছেন, তারা নির্দেশ অনুযায়ী পানি পান করবেন।

৩. হালকা, ঢিলেঢালা, সুতি ও হালকা রঙের পোশাক পরুন। বাইরে গেলে সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, ছাতা বা টুপি এবং আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন।

৪. প্রচণ্ড গরমে ভারী কাজ বা ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।

৫. বাইরে যাওয়া অনিবার্য হলে ছায়ায় থাকুন এবং সঙ্গে পানি রাখুন।

৬. অ্যালকোহল, চা, কফি এবং কার্বনেটেড সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।

৭. অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার এবং বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন।

৮. ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন বা পা ভিজিয়ে রাখুন।

৯. শিশু বা পোষা প্রাণীকে কখনোই গরম গাড়িতে রেখে যাবেন না।

১০. অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

যদি হিট এক্সশনের উপসর্গ দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। অপ্রয়োজনীয় পোশাক খুলে দিয়ে ঠাণ্ডা পানি বা রিহাইড্রেশন ড্রিঙ্ক খাওয়াতে হবে। ভিজে কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দেওয়া বা বরফপ্যাক ব্যবহার করাও কার্যকর। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে, বিশেষ করে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে, সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই জরুরি। কারণ হিট স্ট্রোক একবার শুরু হলে তা সামলানো কঠিন, আর দেরি মানেই মারাত্মক ঝুঁকি। শিশু ও গর্ভবতী নারীদের জন্য এই গরমের ঝুঁকি আরও বেশি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনিসেফের সহযোগিতায় শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় জাতীয় নির্দেশিকা চালু করেছে। সেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চার ধাপের সচেতনতায়। এগুলো হলো ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকা, লক্ষণ দ্রুত চিহ্নিত করা, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া এবং গুরুতর হলে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে শুধু শিশু বা মা নয়, পরিবারের সবাইকেই সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব। এছাড়া গরমের দিনে কিছু বাড়তি সতর্কতাও জরুরি। যেমন রান্নাঘরের ভেতরের তাপমাত্রা অনেক সময় ঘরের অন্য কক্ষের চেয়ে বেশি থাকে, তাই রান্নার সময়ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। আবার শিশু বা পোষা প্রাণীকে কখনোই গরম গাড়ির ভেতরে রেখে যাওয়া উচিত নয়। ভ্যাপসা গরমকে আমরা থামাতে পারি না, কিন্তু একটু সচেতন হলেই এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেদের ও প্রিয়জনকে রক্ষা করা সম্ভব। তৃষ্ণা মেটানো, হালকা পোশাক, সঠিক সময়ে বাইরে যাওয়া আর প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হ‌ওয়া এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই, ভ্যাপসা গরমের দিনগুলো অনেকটা স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠবে।

কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

কানাইঘাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪০ এম
কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কানাইঘাটের স্বনামধন্য সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ মহতী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ও ঐতিহ্যবাহী বামজঙ্গা কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মানিক লাল দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাইঘাট পৌর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মিলন কান্তি দাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি শ্রী দূর্গা কুমার দাস এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার সলিল চন্দ্র দাস।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন লাবন্য সিতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, প্রতাপ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান চৌধুরী ও সুকান্ত চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন নিজ চাউরা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মাস্টার দয়াময় দাস। অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন সনজিত চন্দ্র দাস।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাসের মানবকল্যাণমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঞ্চালক মিলন কান্তি দাসও ফাউন্ডেশনের পূর্ববর্তী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস বলেন—
“মানুষের কল্যাণে আমি আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। অবহেলিত ও বঞ্চিত কানাইঘাটবাসীর সেবা আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।”

অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে উপস্থিত পূণ্যার্থীদের মাঝে শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন পূঁজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপির রাজনীতি হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যার মূল লক্ষ্য হলো এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। বিএনপির কাছে বিদেশি নীতির কোনও স্থান নেই। এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে সাম্য, সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে—এটাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।”

শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে এম এ মতীন উপজেলার বিষ্ণুপুর, কসব,কাঁশোপাড়া,মৈনম ইউনিয়নের বিভিন্ন পূঁজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন এবং আয়োজক ও স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাদল, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ কুমারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতা এম এ মতীন বলেন, “বিগত ১৭ বছরে যেসব ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, জমি দখল করেছে, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় সজাগ থেকেছে। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে এবং যে কোনও হামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমরা মাঠ ছাড়িনি, কারণ এটা নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য।”

বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মতীন বলেন, “আমাদের সবার দায়িত্ব হলো—যাতে এই দেশে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিজ ধর্ম পালন করতে গিয়ে আতঙ্কে না থাকে। সবাই যেন উৎসব উদযাপন করতে পারে নিরাপদে, আনন্দে, সম্মানের সঙ্গে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সব ধর্মের মানুষের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।”

বিএনপি নেতাদের এই শুভেচ্ছা সফরকে স্বাগত জানায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভক্তরা। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতাকেও ধন্যবাদ জানান।

স্থানীয় পূঁজা উদযাপন পরিষদের একজন সদস্য বলেন, “বিএনপি নেতারা প্রতিবছর পূঁজায় আমাদের পাশে থাকেন। এবারও তারা এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, অনুদান দিয়েছেন—আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।”

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

মশিউর রহমান রাজশাহী ব্যুরো: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৯ পিএম
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

“Don’t Miss a Beat — প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।

সকাল ৯টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ফ্রি-চিকিৎসা সেবায় ৩০০-এর অধিক হৃদরোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ আতাহার আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন।

মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ রইছ উদ্দিন।

এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ. এস. এম. সায়েম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত হোসেন বাবু ও মোঃ হাসেন আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রফেসর মোঃ হবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন (সেলিম), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ শামসুল হুদা, দপ্তর সম্পাদক এ. কে. মাসুদসহ নির্বাহী ও আজীবন সদস্যবৃন্দ।

সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য মোঃ এনামুল হক এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিসা লুবাবা নদী

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।