সরকারি জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ নিয়ে অপপ্রচার: স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নওগাঁর মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি হাটে সরকারি জমিতে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে ‘অপপ্রচার’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি একাধিক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয় যে, কাপড়পট্টি এলাকায় সরকারি জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে এবং এতে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধির নাম জড়িয়ে দেয়া হয়। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি হাটের ডিসিআর বা জায়গা লিজ প্রদানে কোনোভাবেই জড়িত নই। যারা নিজেদের স্বার্থে জায়গা দখল করতে পারেনি, তারাই এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্যভিত্তিক।’
একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও দপ্তরের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস। তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনিক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। কোনো প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন বা লিজ সংক্রান্ত কার্যক্রমে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।’
তৎকালীন ইউএনও শাহ আলম মিয়ার স্বাক্ষর থাকা ডিসিআর ইস্যুর বিষয়ে বর্তমান ইউএনও আখতার জাহান সাথী জানান, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি এবং একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত ছাড়া কাউকে দায়ী করার সুযোগ নেই। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিয়ম মেনে কিছু দোকানঘর নির্মাণে ডিসিআর দেওয়া হয়েছিল। এতে রাজস্ব আদায়ও হয়েছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। হঠাৎ করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন একাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে স্থানীয় একজন হাট ব্যবসায়ী বলেন, ‘হাটের জায়গায় দোকানঘর হচ্ছে, এটা এলাকাবাসীর জন্য ভালো দিক। যারা নিজেদের জায়গা পাননি, তারাই এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে।’
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, দেলুয়াবাড়ি হাট এলাকার উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। তবে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। সঠিক তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে বলেই তাদের প্রত্যাশা