বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বেতন গ্রেড ১২টি করার প্রস্তাব ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বেতন গ্রেড ১২টি করার প্রস্তাব ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বা নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন । গত ২৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে ফেডারেশনের একটি জরুরি সভায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি চূড়ান্ত করা হয়েছে-এই দাবিগুলো অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে -বেতন গ্রেড ১২টি করার প্রস্তাব ২০২৫

বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন কি চাওয়া হয়েছে? ফেডারেশন ২০টি গ্রেড থেকে কমিয়ে ১২টি গ্রেডে বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। তাদের প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ১,৪০,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে । এই বেতন ১:৪ অনুপাতে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে । বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে । যেমন- বাড়ি ভাড়া ভাতা ঢাকা মহানগরে মূল বেতনের ৮০%, বিভাগীয় শহরে ৭০%, জেলা শহরে ৬৫% এবং উপজেলা/থানা শহরে ৬০% করার দাবি করা হয়েছে । 

চিকিৎসা ভাতা কত দাবী করা হয়েছে? বর্তমানের চিকিৎসা ফি এবং পরীক্ষার খরচ বিবেচনা করে চিকিৎসা ভাতা ১০,০০০ টাকা করার দাবি করা হয়েছে । শিক্ষা ভাতা এক সন্তানের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং দুই সন্তানের জন্য ৬,০০০ টাকা শিক্ষা ভাতা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে । যাতায়াত ভাতা ৩,০০০ টাকা, টিফিন/লাঞ্চ ভাতা প্রতিদিন ১৫০ টাকা, এবং ধোলাই ভাতা ৬০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে । পেনশনের হার ৯০% থেকে বাড়িয়ে ১০০% এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করার দাবি করা হয়েছে ।

ইনক্রিমেন্ট কত শতাংশ দাবী? অবসরের বয়সসীমা চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬২ বছর করার দাবি জানানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে । বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫% এর পরিবর্তে ২০% করার প্রস্তাব করা হয়েছে । গৃহ ঋণ ফ্ল্যাট ক্রয় বা গৃহ নির্মাণের জন্য সহজ শর্তে ০২% সুদে গ্রেডভিত্তিক ৪০-৮০ লক্ষ টাকা গৃহ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করার দাবি করা হয়েছে । ফেডারেশন তাদের এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।

প্রস্তাবিত পে স্কেল ২০২৫ / ফেডারেশন কর্তৃক গঠিত কমিটি এটি প্রস্তুত করেছে যা সংশোধন সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে

✅ কর্মচারীরা লাভবান হবে কি? হ্যাঁ, কর্মচারীরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবে। সর্বনিম্ন বেতন (৩৫,০০০ টাকা) আগের তুলনায় অনেক বেশি, যা নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য বড় সুবিধা। সর্বোচ্চ বেতনও বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি অনেক বেশি (৪ গুণ)। ইনক্রিমেন্ট ধাপগুলো আরও যৌক্তিক করা হলে (যেমন সমান পার্থক্য বা প্রোপোরশনাল বৃদ্ধি), কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য আরও কমবে। সহজভাবে বললে, প্রস্তাবিত পে-স্কেল ২০১৫ সালের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক, তবে গ্রেড পার্থক্যের ধাপ সমান বা অনুপাতে রাখা হলে কর্মচারীদের সন্তুষ্টি আরও বাড়বে।

প্রস্তাবিত গ্রেডভিত্তিক বেতন কাঠামো ২০২৫ । এটি কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় ফেডারেশন সংশোধন করে পেশ করবে

  • ১ম গ্রেড – ১,৪০,০০০ টাকা
  • ২য় গ্রেড – ১,২৫,০০০ টাকা
  • ৩য় গ্রেড – ১,১০,০০০ টাকা
  • ৪র্থ গ্রেড – ৯৫,০০০ টাকা
  • ৫ম গ্রেড – ৮০,০০০ টাকা
  • ৬ষ্ঠ গ্রেড – ৭৫,০০০ টাকা
  • ৭ম গ্রেড – ৭০,০০০ টাকা
  • ৮ম গ্রেড – ৬৫,০০০ টাকা
  • ৯ম গ্রেড – ৬০,০০০ টাকা
  • ১০ম গ্রেড – ৫০,০০০ টাকা
  • ১১তম গ্রেড – ৪২,০০০ টাকা
  • ১২তম গ্রেড – ৩৫,০০০ টাকা

প্রস্তাবিত পে স্কেলে গ্রেড পার্থক্য কি ঠিক আছে?

হ্যাঁ।  প্রস্তাবিত গ্রেডভিত্তিক বেতন পার্থক্য ১ম গ্রেড থেকে ২য় গ্রেড পার্থক্য: ১৫,০০০ টাকা,  ২য় গ্রেড থেকে ৩য় গ্রেড পার্থক্য: ১৫,০০০ টাকা, ৩য় গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেড পার্থক্য: ১৫,০০০ টাকা, ৪র্থ গ্রেড থেকে ৫ম গ্রেড পার্থক্য: ১৫,000 টাকা ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ, ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম, ৭ম থেকে ৮ম, ৮ম থেকে ৯ম: ধাপে ধাপে ৫,০০০ টাকা করে কমছে, ৯ম থেকে ১০ম গ্রেড পার্থক্য: ১০,০০০ টাকা, ১০ম থেকে ১১তম গ্রেড পার্থক্য: ৮,০০০ টাকা, ১১তম থেকে ১২তম গ্রেড পার্থক্য: ৭,০০০ টাকা। দেখা যাচ্ছে, উচ্চ গ্রেডে (১-৫) বেতন পার্থক্য ১৫,০০০ টাকা, আর মধ্য ও নিম্ন গ্রেডে ধাপে ধাপে কমে ৫,০০০–১০,০০০ টাকা পার্থক্য রাখা হয়েছে। ২০১৫ সালের পে-স্কেল এর সাথে তুলনা করলে  ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ছিল ৮,২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮,০০০ টাকা। এবার প্রস্তাবিত স্কেলে সর্বনিম্ন ৩৫,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১,৪০,০০০ টাকা অর্থাৎ— সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোচ্চ বেতন প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৫ বনাম ২০২৫ প্রস্তাবিত পে-স্কেল তুলনা । 👉 দেখা যাচ্ছে, উচ্চ গ্রেডে প্রবৃদ্ধি ৭০–৯৬% এর মধ্যে কিন্তু নিম্ন গ্রেডে প্রবৃদ্ধি ১০০% থেকে ৩২৪% পর্যন্ত — অর্থাৎ নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।

গ্রেড ২০১৫ সালের বেতন (আনুমানিক) ২০২৫ প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধি (টাকা) প্রবৃদ্ধি (%)
১ম ৭৮,০০০ টাকা ১,৪০,০০০ টাকা ৬২,০০০ টাকা ৭৯.৫%
২য় ৬৬,০০০ টাকা ১,২৫,০০০ টাকা ৫৯,০০০ টাকা ৮৯.৪%
৩য় ৫৬,০০০ টাকা ১,১০,০০০ টাকা ৫৪,০০০ টাকা ৯৬.৪%
৪র্থ ৫০,০০০ টাকা ৯৫,০০০ টাকা ৪৫,০০০ টাকা ৯০.০%
৫ম ৪৩,০০০ টাকা ৮০,০০০ টাকা ৩৭,০০০ টাকা ৮৬.০%
৬ষ্ঠ ৩৮,০০০ টাকা ৭৫,০০০ টাকা ৩৭,০০০ টাকা ৯৭.৪%
৭ম ৩৫,০০০ টাকা ৭০,০০০ টাকা ৩৫,০০০ টাকা ১০০.০%
৮ম ৩০,০০০ টাকা ৬৫,০০০ টাকা ৩৫,০০০ টাকা ১১৬.৭%
৯ম ২৫,০০০ টাকা ৬০,০০০ টাকা ৩৫,০০০ টাকা ১৪০.০%
১০ম ২০,০০০ টাকা ৫০,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকা ১৫০.০%
১১তম ১৫,০০০ টাকা ৪২,০০০ টাকা ২৭,০০০ টাকা ১৮০.০%
১২তম ৮,২৫০ টাকা ৩৫,০০০ টাকা ২৬,৭৫০ টাকা ৩২৪.২%

 

কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

কানাইঘাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪০ এম
কানাইঘাটে লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশনের শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কানাইঘাটের স্বনামধন্য সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান লাবণ্য সিতি ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ পূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ মহতী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ও ঐতিহ্যবাহী বামজঙ্গা কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মানিক লাল দাস। সঞ্চালনায় ছিলেন কানাইঘাট পৌর পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মিলন কান্তি দাস।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি শ্রী দূর্গা কুমার দাস এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার সলিল চন্দ্র দাস।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন লাবন্য সিতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, প্রতাপ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান চৌধুরী ও সুকান্ত চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন নিজ চাউরা পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মাস্টার দয়াময় দাস। অনুষ্ঠানে গীতা পাঠ করেন সনজিত চন্দ্র দাস।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাসের মানবকল্যাণমূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঞ্চালক মিলন কান্তি দাসও ফাউন্ডেশনের পূর্ববর্তী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে চিত্রশিল্পী ভানু লাল দাস বলেন—
“মানুষের কল্যাণে আমি আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। অবহেলিত ও বঞ্চিত কানাইঘাটবাসীর সেবা আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।”

অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে উপস্থিত পূণ্যার্থীদের মাঝে শারদীয় উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:২১ পিএম
“হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে বিএনপি ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে” — এম এ মতীন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে কাজ করে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীন।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন পূঁজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপির রাজনীতি হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যার মূল লক্ষ্য হলো এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা। বিএনপির কাছে বিদেশি নীতির কোনও স্থান নেই। এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে সাম্য, সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করবে—এটাই বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন।”

শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে এম এ মতীন উপজেলার বিষ্ণুপুর, কসব,কাঁশোপাড়া,মৈনম ইউনিয়নের বিভিন্ন পূঁজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মণ্ডপে নগদ অর্থ অনুদান প্রদান করেন এবং আয়োজক ও স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাদল, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ কুমারসহ বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি নেতা এম এ মতীন বলেন, “বিগত ১৭ বছরে যেসব ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে, জমি দখল করেছে, নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। কিন্তু বিএনপি সবসময় সজাগ থেকেছে। দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে এবং যে কোনও হামলা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও আমরা মাঠ ছাড়িনি, কারণ এটা নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য।”

বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মতীন বলেন, “আমাদের সবার দায়িত্ব হলো—যাতে এই দেশে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিজ ধর্ম পালন করতে গিয়ে আতঙ্কে না থাকে। সবাই যেন উৎসব উদযাপন করতে পারে নিরাপদে, আনন্দে, সম্মানের সঙ্গে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সব ধর্মের মানুষের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।”

বিএনপি নেতাদের এই শুভেচ্ছা সফরকে স্বাগত জানায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ ভক্তরা। তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতাকেও ধন্যবাদ জানান।

স্থানীয় পূঁজা উদযাপন পরিষদের একজন সদস্য বলেন, “বিএনপি নেতারা প্রতিবছর পূঁজায় আমাদের পাশে থাকেন। এবারও তারা এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, অনুদান দিয়েছেন—আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।”

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

মশিউর রহমান রাজশাহী ব্যুরো: প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৯ পিএম
রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত

“Don’t Miss a Beat — প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, রাজশাহীর উদ্যোগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।

সকাল ৯টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ফ্রি-চিকিৎসা সেবায় ৩০০-এর অধিক হৃদরোগীকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, দেশবরেণ্য কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ আতাহার আলী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন।

মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডাঃ মোঃ রইছ উদ্দিন।

এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ. এস. এম. সায়েম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত হোসেন বাবু ও মোঃ হাসেন আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রফেসর মোঃ হবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন (সেলিম), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ শামসুল হুদা, দপ্তর সম্পাদক এ. কে. মাসুদসহ নির্বাহী ও আজীবন সদস্যবৃন্দ।

সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য মোঃ এনামুল হক এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিসা লুবাবা নদী

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।