তাহিরপুরে শিক্ষা কর্মকর্তাকে হয়রানির অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোলেমান মিয়াকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানির অভিযোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। জানা যায়, গত ১১ আগস্ট তাহিরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ঘটে যাওয়া ঘটনার সূত্র ধরে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান অভিযোগটি সম্পুন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত এবং ভুল তথ্য দিয়ে শিক্ষকদের উস্কে দেয়া হচ্ছে।উপজেলার ভ্রাম্মনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ বিহারী দাস বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো শিক্ষককে অপমান করে কথা বলেননি। ‘এক পা পাড়া দিয়ে ধরে আরেক পা টেনে ছিঁড়ে ফেলবো’ এসব কথা তিনি বলেননি, মুলত তিনি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যেন কোনো শিক্ষককে কেউ অযথা হেনন্তা বা অপমান করে। কিন্তু এ বিষয়টি সম্পুন্ন উল্টো ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন- স্যার যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিবর্তন এসেছে। বড়ছড়া বুরুঙ্গা ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো শিক্ষককে তিনি এসব কথা বলেননি। পুরানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার এবং দিগলবাগ সরকারি প্রামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, এই কথাগুলো আমরা শুনিনি।
মাহারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা নার্গিস বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের খুব ভালোবাসেন। তিনি সবসময় শিক্ষকদের পক্ষে কথা বলেন, তিনি কোনো শিক্ষককে অপমান করেননি কখনো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোলেমান মিয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমি তাহিরপুর উপজেলায় আসার পর থেকে শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে উস্কে দিয়ে একটি কিছু কু-চক্রি মহল আমার পিছনে লেগেছে তাদের সার্থ হাসিল করার জন্য। যে বিষয়টি ইস্যু করা হয়েছে এটি মুলত গত (১১ আগস্ট) এর আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম ‘ কোনো শিক্ষককে যেন কেউ অযথা হেনন্তা বা অপমান না করা হয়। কিন্তু এবিষয়টি সম্পুন্ন উল্টো ভাবে (২১ আগস্ট) আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে নিউজ প্রচার করা হয়েছে। এটি সম্পুন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। আমি যদি এসব কথাই বলতাম তখন কিন্তু শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ সহ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেন। কোন শিক্ষক আমার প্রতি অসন্তোষ্ট না, খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন। তিনি আরো বলেন-তাহিরপুর উপজেলা একটি দুর্গম এলাকা তার পরেও শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠাদান করান আমিও সব সময় তাদের খোঁজ রাখি