১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হ‌বিগ‌ঞ্জে এ ক কে‌জির বে‌শি পেঁয়াজ কেনা যা‌বে না

print news -

নিউজ ডেস্ক: হ‌বিগ‌ঞ্জে হুট করে পেঁয়াজের বেড়ে যাওয়া দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসন। কোনো ক্রেতা এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসনের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত প‌রিচালনা করা হয় শহ‌রে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা, খুচরা ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয় সভায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এক–দুই বস্তার বেশি পেঁয়াজ একসঙ্গে বিক্রি করতে পারবেন না। খুচরা বিক্রেতারাও এক কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন না। এসব সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশাদুল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সাহা ও জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এন এম রেজাউল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংকটের সময়ের আগে যে পেঁয়াজ মজুত ছিল, তা পাইকারি বিক্রি হবে ১২০ টাকায়, খুচরা বিক্রি হবে ১২৫ টাকা দরে। পাইকারি দুই বস্তার বেশি ও খুচরা এক কেজির বেশি বিক্রি করতে পারবেন না। এর কম ক্রয় করা যা‌বে, ত‌বে কোনোভা‌বেই এর বে‌শি ক্রয় করা যা‌বে না। একজন খুচরা ক্রেতা এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেবী চন্দ ব‌লেন, স্থানীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ কর‌তে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নি‌তে পা‌রে। তা ছাড়া ব‌্যবসায়ীরাও বিষয়‌টি‌ ভালোভা‌বে নি‌য়ে‌ছেন।

এদিকে প্রশাসনের বেধে দেওয়া দাম নিশ্চিতে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালতের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে দ্রুত পেঁয়াজ সরিয়ে নেন।

সামছুল হক নামের এক ব্যবসায়ী ক্রেতার কাছে ১৬০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরা পড়েন। তাঁর কাছে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির কারণ জানতে চান আদালত।

এ সময় ওই ব্যবসায়ী দাবি করেন, বেশি দামে ক্রয় করায় তাঁকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ধরে ক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এ সুয়োগে অনেক ক্রেতা প্রশাসনের নির্ধারণ করা মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করেন।

তবে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত চৌধুরী বাজার থেকে আসার পর পরই নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দেন তাঁদের কাছে কোনো পেঁয়াজ নেই।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মুনমুন নাহার আশা। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহাসহ অনেকে।

পরে তাঁরা হবিগঞ্জসদর উপজেলার চাষী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তাঁরা । তাঁদের উপস্থিতির সময় ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বেচা–কেনা করেন। তাঁরা বাজার থেকে চলে আসার পর পরই ব্যবসায়ীদের ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

।ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুনুর মনোনয়ন বৈধ ; প্রতীক বরাদ্দ যেকোনো সময়!

হ‌বিগ‌ঞ্জে এ ক কে‌জির বে‌শি পেঁয়াজ কেনা যা‌বে না

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০২:৩৪:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
print news -

নিউজ ডেস্ক: হ‌বিগ‌ঞ্জে হুট করে পেঁয়াজের বেড়ে যাওয়া দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসন। কোনো ক্রেতা এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসনের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত প‌রিচালনা করা হয় শহ‌রে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা, খুচরা ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয় সভায়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এক–দুই বস্তার বেশি পেঁয়াজ একসঙ্গে বিক্রি করতে পারবেন না। খুচরা বিক্রেতারাও এক কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন না। এসব সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশাদুল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সাহা ও জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এন এম রেজাউল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সভায় আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংকটের সময়ের আগে যে পেঁয়াজ মজুত ছিল, তা পাইকারি বিক্রি হবে ১২০ টাকায়, খুচরা বিক্রি হবে ১২৫ টাকা দরে। পাইকারি দুই বস্তার বেশি ও খুচরা এক কেজির বেশি বিক্রি করতে পারবেন না। এর কম ক্রয় করা যা‌বে, ত‌বে কোনোভা‌বেই এর বে‌শি ক্রয় করা যা‌বে না। একজন খুচরা ক্রেতা এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে দেবী চন্দ ব‌লেন, স্থানীয় বাজার নিয়ন্ত্রণ কর‌তে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নি‌তে পা‌রে। তা ছাড়া ব‌্যবসায়ীরাও বিষয়‌টি‌ ভালোভা‌বে নি‌য়ে‌ছেন।

এদিকে প্রশাসনের বেধে দেওয়া দাম নিশ্চিতে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালতের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে দ্রুত পেঁয়াজ সরিয়ে নেন।

সামছুল হক নামের এক ব্যবসায়ী ক্রেতার কাছে ১৬০ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরা পড়েন। তাঁর কাছে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির কারণ জানতে চান আদালত।

এ সময় ওই ব্যবসায়ী দাবি করেন, বেশি দামে ক্রয় করায় তাঁকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ধরে ক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এ সুয়োগে অনেক ক্রেতা প্রশাসনের নির্ধারণ করা মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করেন।

তবে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত চৌধুরী বাজার থেকে আসার পর পরই নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দেন তাঁদের কাছে কোনো পেঁয়াজ নেই।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মুনমুন নাহার আশা। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহাসহ অনেকে।

পরে তাঁরা হবিগঞ্জসদর উপজেলার চাষী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তাঁরা । তাঁদের উপস্থিতির সময় ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বেচা–কেনা করেন। তাঁরা বাজার থেকে চলে আসার পর পরই ব্যবসায়ীদের ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়।