০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপারফুড মুলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

print news -

ডেস্ক:  মুলা শীতকালীন একটি সবজি। অনেকেই এই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মূলাকে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাদ্যতালিকায় কেন মুলা যোগ করবেন তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টিতে ভরপুর: মুলা আকারে ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ভিটামিন সি-এর একটি বড় উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও মূলা অন্যান্য ভিটামিন যেমন বি ভিটামিন, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ।

ফাইবার: মুলা ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। নিয়িমিত মুলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

ওজন কমায় : এই সবজিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, এ কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই সবজি দারুন উপকারী। মুলার মধ্যে থাকা ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে, ফলে ক্ষুধা হ্রাস হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে : মুলাতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এসব উপাদান কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো : হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মুলা যোগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। মুলায় থাকা পটাসিয়াম, রক্তচাপের মাত্রা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : মুলার মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। মূলায় থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।

সর্বোপরি মুলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। মুলায় থাকা পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীর ডিটক্সিফাইং করে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

।ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুনুর মনোনয়ন বৈধ ; প্রতীক বরাদ্দ যেকোনো সময়!

সুপারফুড মুলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৫:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
print news -

ডেস্ক:  মুলা শীতকালীন একটি সবজি। অনেকেই এই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মূলাকে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খাদ্যতালিকায় কেন মুলা যোগ করবেন তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টিতে ভরপুর: মুলা আকারে ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ভিটামিন সি-এর একটি বড় উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও মূলা অন্যান্য ভিটামিন যেমন বি ভিটামিন, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ।

ফাইবার: মুলা ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস। নিয়িমিত মুলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

ওজন কমায় : এই সবজিতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, এ কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই সবজি দারুন উপকারী। মুলার মধ্যে থাকা ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে, ফলে ক্ষুধা হ্রাস হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে : মুলাতে গ্লুকোসিনোলেটস নামক যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এসব উপাদান কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো : হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মুলা যোগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। মুলায় থাকা পটাসিয়াম, রক্তচাপের মাত্রা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : মুলার মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। মূলায় থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।

সর্বোপরি মুলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। মুলায় থাকা পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীর ডিটক্সিফাইং করে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়।