নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় গড়ে দ্বিগুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে । ১৯৪৮ সালে, কানাডায় প্রথম জাতীয় তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল । এরপর থেকে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস । আর উত্তরাঞ্চলে তা বেড়েছে২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
যতদূর চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ । রেকর্ড বরফে ঢাকা পূর্ব কানাডা । অন্যদিকে, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা আশ্চর্যজনকভাবে কম । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবই জলবায়ু পরিবর্তনের খেলা ।
এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে শুধুমাত্র অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হতো । এখন এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো উন্নত দেশেও রয়েছে । কানাডা মার্কিন সরকারের চেয়ে পরিবেশ রক্ষার জন্য আরও বেশি কিছু করছে, কিন্তু তারা গলিত মেরু বরফের ক্যাপগুলি ধরে রাখতে লড়াই করছে ।
একই দেশে শীতকালে বিভিন্ন আবহাওয়া দেখা যায় । স্থানীয়রা বলছেন, এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয় । কারণ জীবনের এই দুর্বিষহ অবস্থায় তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় ।
দেশটির আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মেহেদী হাসান রবিন বলেন,’ প্রতি বছর বা দুই বছর এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ ঘটবে, যা এখানকার অবস্থান বা আবহাওয়া অনুযায়ী খুবই অস্বাভাবিক । কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এসব ঘটনা ঘটছে এবং সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে ।’
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় গড়ে দ্বিগুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে । 1948 সালে, কানাডায় প্রথম জাতীয় তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল । এরপর থেকে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস । আর উত্তরাঞ্চলে তা বেড়েছে২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত । তুষারপাত এবং সমুদ্রের বরফ কমছে । সৌর বিকিরণের শোষণ বাড়ছে এবং পৃষ্ঠ উষ্ণ হচ্ছে । শুধু কানাডাকেই ক্ষতির খেসারত দিতে হবে না, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বাংলাদেশের মতো দেশে ভূমি তলিয়ে যাওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে ।