০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবাগত নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব

print news -

বিশেষ প্রতিনিধি নেত্রকোণাঃ মিছবাহ উদ্দিন খান আছাদ

নবাগত নারী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ’কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে ‘জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, নেত্রকোণা’র সদস্যরা।

নেত্রকোণা জেলা ঘোষনার পরে এই প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অপোসহীন অঞ্জনা খান মজলিশ। এর আগে তিনি সততা এবং সাহসীকতার সহিত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২জুন) বিকেলে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব নামের এই সাংবাদিক সংগঠনটি।

এসময় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, নেত্রকোণা এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট দেলোয়ারা বেগম ও প্রস্তাবিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক কে.এম সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গজনবী বিপ্লব, যুগ্ম আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম বিপ্লব, সদস্য সচিব রাজীব সরকার, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সোলায়মান হোসাইন রুবেল, হামিদুর রহমান অভি, পাপ্পু মজুমদার ও সুলতান আহমেদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, খায়রুল ইসলাম ও মোনায়েম খানসহ অনান্যরা।

উল্লেখ্য, অঞ্জনা খান মজলিশ ১৯৭৭ সালের ০৯ অক্টোবর ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সম্ভ্রান্ত “খান মজলিশ” পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রেজাউর রহমান খান মজলিশ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) এবং মাতা শামীমা খান মজলিশ (গৃহিনী)। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন।

তিনি সাভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯২ সালে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এস.এস.সি পাশ করেন ।

১৯৯৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ হতে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি পাস করেন একইসাথে উক্ত কলেজে মেধার স্বাক্ষর রাখার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের নিকট হতে উপচার্য পুরস্কার লাভ করেন।

পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০৩ সালে বি.সি.এস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন।

প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর থেকে তিনি অত্যন্ত সততা, সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বগুড়া ও চট্টগ্রাম জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমলী আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এ সময় তিনি জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন প্রশাসনে কাজ করার বাস্তব দক্ষতা অর্জন করেন।

ফটিকছড়ি উপজেলায় কর্মকালীন সময়ে তিনি নবগঠিত ফটিকছড়ি পৌরসভায় ১ম পৌর প্রশাসক ছিলেন। তার সময়ই ফটিকছড়ি পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণসহ সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে উপসচিব হিসেবে প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। অতঃপর উপসচিব হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি গত ০৩ জানুয়ার ২০২১ তারিখ থেকে ৩১ মে ২০২২ তারিখ পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি ০১ জুন ২০২২ নেত্রকোণা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেছেন। বাংলাদেশের যে এলাকায় তিনি কাজ করেছেন সেই এলাকার জন-মানুষের মনে তিনি সততা ও উদার মানবিকবোধ সম্পন্ন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তিনি দেশে ও দেশের বাইরে (জাপান,চীন ও ভারত) প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত কাজে থাইল্যান্ড, চীন, জাপান, ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনিশয়া ও সৌদিআরব ভ্রমন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিতা। তার স্বামী আবুল কাশেম মুহাম্মদ জহুরুল হক একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি দু’সন্তানের জননী। তার একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

ট্যাগঃ

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

নবাগত নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৮:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুন ২০২২
print news -

বিশেষ প্রতিনিধি নেত্রকোণাঃ মিছবাহ উদ্দিন খান আছাদ

নবাগত নারী জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ’কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে ‘জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, নেত্রকোণা’র সদস্যরা।

নেত্রকোণা জেলা ঘোষনার পরে এই প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অপোসহীন অঞ্জনা খান মজলিশ। এর আগে তিনি সততা এবং সাহসীকতার সহিত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২জুন) বিকেলে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব নামের এই সাংবাদিক সংগঠনটি।

এসময় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, নেত্রকোণা এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট দেলোয়ারা বেগম ও প্রস্তাবিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক কে.এম সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গজনবী বিপ্লব, যুগ্ম আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম বিপ্লব, সদস্য সচিব রাজীব সরকার, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সোলায়মান হোসাইন রুবেল, হামিদুর রহমান অভি, পাপ্পু মজুমদার ও সুলতান আহমেদ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, খায়রুল ইসলাম ও মোনায়েম খানসহ অনান্যরা।

উল্লেখ্য, অঞ্জনা খান মজলিশ ১৯৭৭ সালের ০৯ অক্টোবর ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সম্ভ্রান্ত “খান মজলিশ” পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রেজাউর রহমান খান মজলিশ (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) এবং মাতা শামীমা খান মজলিশ (গৃহিনী)। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন।

তিনি সাভার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯২ সালে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এস.এস.সি পাশ করেন ।

১৯৯৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ হতে স্টার মার্কসহ ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি পাস করেন একইসাথে উক্ত কলেজে মেধার স্বাক্ষর রাখার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের নিকট হতে উপচার্য পুরস্কার লাভ করেন।

পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০৩ সালে বি.সি.এস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন।

প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর থেকে তিনি অত্যন্ত সততা, সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বগুড়া ও চট্টগ্রাম জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমলী আদালত ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এ সময় তিনি জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন প্রশাসনে কাজ করার বাস্তব দক্ষতা অর্জন করেন।

ফটিকছড়ি উপজেলায় কর্মকালীন সময়ে তিনি নবগঠিত ফটিকছড়ি পৌরসভায় ১ম পৌর প্রশাসক ছিলেন। তার সময়ই ফটিকছড়ি পৌরসভার সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণসহ সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডে উপসচিব হিসেবে প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।

পরবর্তীতে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। অতঃপর উপসচিব হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি গত ০৩ জানুয়ার ২০২১ তারিখ থেকে ৩১ মে ২০২২ তারিখ পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তিনি ০১ জুন ২০২২ নেত্রকোণা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেছেন। বাংলাদেশের যে এলাকায় তিনি কাজ করেছেন সেই এলাকার জন-মানুষের মনে তিনি সততা ও উদার মানবিকবোধ সম্পন্ন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তিনি দেশে ও দেশের বাইরে (জাপান,চীন ও ভারত) প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত কাজে থাইল্যান্ড, চীন, জাপান, ভারত, তুরস্ক, ইন্দোনিশয়া ও সৌদিআরব ভ্রমন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিতা। তার স্বামী আবুল কাশেম মুহাম্মদ জহুরুল হক একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি দু’সন্তানের জননী। তার একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।