১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

print news -

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

তাফসীরুল কুরআন মাহফিল: প্রত্যেক মুসলমানকে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দেখানো সঠিক পথ অনুসরণ করে আমাদের কে ইসলামের দাওয়াত ও প্রচারে নিয়োজিত থাকতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে নিজ দায়িত্বে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই কোরআনের আলোয় সমাজ আলোকিত হবে। শুধু দুনিয়ার পিছনে ছুটলে চলবে না। দুনিয়াদারীর পাশাপাশি আখেরাতের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সকল সদস্যবৃন্দ।

প্রতিবারের ন্যায় আবারো আত্মশুদ্ধির আঙিনা বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদের উদ্যোগে ১৯ তম বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল।

আরোও পড়ুন: রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

আরোও পড়ুন: রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত

আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩খ্রি:,রোজ: সোমবার ও মঙ্গলবার বিকেল ২টায় সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারের তাওহীদি জনতা ও বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর উদ্যোগে ১৯ তম বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

তাফিসীরুল কোরআন মাহফিল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা মাসউদ আহমদ সাহেবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ এর সঞ্চালনায় সভায় সকলের মতামতের বিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত মাহফিলে দেশ বরেণ্য অনেক খ্যাতিমান মুফাসসিরগণ তশরিফ পেশ করবেন। মাহফিল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে মাহফিলে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা মাসউদ আহমদ ধর্মপ্রান মুসলমানদের কাছে মাহফিলের জন্য দুআ চেয়ে বলেন, সকলে দোয়া করবেন এই মাহফিল যেনো মুসলমানদের আত্মার খোরাক হতে পারে এবং দ্বীনের জন্য কবুল হয়।

কোরআন ও হাদিসে ওয়াজ মাহফিল : প্রেক্ষিত আমাদের সমাজ: ওয়াজ-মাহফিল যেহেতু একটি দ্বীনি বিষয়, তাই দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এক্ষেত্রেও রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনের অনুকরণ করা জরুরি। মানুষের ব্যক্তি জীবনের পরিশুদ্ধি ও আকিদা-বিশ্বাসের সংশোধনের ক্ষেত্রে ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম। ওয়াজ-মাহফিল নতুন কোন বিষয় নয়। যুগ যুগ ধরে তা নিজস্ব গতি ও নিয়মে চলে আসছে। ইদানিং নিয়ম-নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান যুগের ওয়াজ-মাহফিল, সভা-সম্মেলনগুলো নিছক একটি প্রথা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান পালনের রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে। সেকালের মাহফিলগুলো সাধারণত মাদরাসা কেন্দ্রিক অনুষ্ঠিত হতো। যেখানে মাদরাসা ছিল না, সেখানে এলাকার ধর্মপ্রাণ লোকদের উদ্যোগে এ ধরনের মাহফিলের আয়োজন করা হতো। একালে শুধু মাদরাসা নয়, প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জ-পাড়া-মহল্লা ও প্রতিটি রোডে রোডে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যুব সংঘ/সংস্থা/পরিষদ ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সেকালে মাদরাসার মাহফিল জনসাধারণে স্বতস্ফুর্ত আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হত। কোন কোন দ্বীনি মাদরাসার মাহফিল কয়েক দিনব্যাপী থাকতো। কোন কোন এলাকায় টানা কয়েকদিন তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠিত হতো।
দেশ-বিদেশের সমকালীন খ্যাতিসম্পন্ন ওলামায়ে কেরাম তাতে উপস্থিত থেকে কুরআন হাদিসের আলোকে সারগর্ভ নসিহত পেশ করতেন। মুসলমানদের ইমান-আকাইদ ও আমলী সংশোধন, আত্মিক পরিশুদ্ধি এবং যুগসচেতন হওয়ার আহ্বান করতেন। তৎকালীন ওলামা ও বুজুর্গানে দ্বীনদের কাছে ইখলাস ও লিল্লাহিয়াতের কোন ঘাটতি ছিল না। বর্তমানে সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগের আয়োজিত মাহফিলের ইতিবাচক ফায়েদা কিন্তু একেবারে কম নয় । মদ-জুয়া, যাত্রা, নর্তকী ও গানের কনসাটের বিপরীতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন সত্যিই খুব প্রশসংসার দাবি রাখে। তবে মাহফিলগুলো যাতে করে রেওয়াজ ও লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে না হয় সেদিকে অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে। বক্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। ইলম ও আমলওয়ালা ওলামা ও বুজুর্গানে কেরামগণকে মাহফিলে দাওয়াতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

প্রকাশিত হয়েছেঃ ১২:২০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
print news -

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

তাফসীরুল কুরআন মাহফিল: প্রত্যেক মুসলমানকে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দেখানো সঠিক পথ অনুসরণ করে আমাদের কে ইসলামের দাওয়াত ও প্রচারে নিয়োজিত থাকতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে নিজ দায়িত্বে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই কোরআনের আলোয় সমাজ আলোকিত হবে। শুধু দুনিয়ার পিছনে ছুটলে চলবে না। দুনিয়াদারীর পাশাপাশি আখেরাতের কল্যাণে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সকল সদস্যবৃন্দ।

প্রতিবারের ন্যায় আবারো আত্মশুদ্ধির আঙিনা বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদের উদ্যোগে ১৯ তম বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল।

আরোও পড়ুন: রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

আরোও পড়ুন: রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত

আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩খ্রি:,রোজ: সোমবার ও মঙ্গলবার বিকেল ২টায় সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারের তাওহীদি জনতা ও বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর উদ্যোগে ১৯ তম বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

তাফিসীরুল কোরআন মাহফিল সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা মাসউদ আহমদ সাহেবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ এর সঞ্চালনায় সভায় সকলের মতামতের বিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত মাহফিলে দেশ বরেণ্য অনেক খ্যাতিমান মুফাসসিরগণ তশরিফ পেশ করবেন। মাহফিল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে মাহফিলে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা মাসউদ আহমদ ধর্মপ্রান মুসলমানদের কাছে মাহফিলের জন্য দুআ চেয়ে বলেন, সকলে দোয়া করবেন এই মাহফিল যেনো মুসলমানদের আত্মার খোরাক হতে পারে এবং দ্বীনের জন্য কবুল হয়।

কোরআন ও হাদিসে ওয়াজ মাহফিল : প্রেক্ষিত আমাদের সমাজ: ওয়াজ-মাহফিল যেহেতু একটি দ্বীনি বিষয়, তাই দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের মতো এক্ষেত্রেও রাসূল (সা.) সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনের অনুকরণ করা জরুরি। মানুষের ব্যক্তি জীবনের পরিশুদ্ধি ও আকিদা-বিশ্বাসের সংশোধনের ক্ষেত্রে ওয়াজ মাহফিলের গুরুত্ব অপরিসীম। ওয়াজ-মাহফিল নতুন কোন বিষয় নয়। যুগ যুগ ধরে তা নিজস্ব গতি ও নিয়মে চলে আসছে। ইদানিং নিয়ম-নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান যুগের ওয়াজ-মাহফিল, সভা-সম্মেলনগুলো নিছক একটি প্রথা ও বার্ষিক অনুষ্ঠান পালনের রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেছে। সেকালের মাহফিলগুলো সাধারণত মাদরাসা কেন্দ্রিক অনুষ্ঠিত হতো। যেখানে মাদরাসা ছিল না, সেখানে এলাকার ধর্মপ্রাণ লোকদের উদ্যোগে এ ধরনের মাহফিলের আয়োজন করা হতো। একালে শুধু মাদরাসা নয়, প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জ-পাড়া-মহল্লা ও প্রতিটি রোডে রোডে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যুব সংঘ/সংস্থা/পরিষদ ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সেকালে মাদরাসার মাহফিল জনসাধারণে স্বতস্ফুর্ত আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হত। কোন কোন দ্বীনি মাদরাসার মাহফিল কয়েক দিনব্যাপী থাকতো। কোন কোন এলাকায় টানা কয়েকদিন তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠিত হতো।
দেশ-বিদেশের সমকালীন খ্যাতিসম্পন্ন ওলামায়ে কেরাম তাতে উপস্থিত থেকে কুরআন হাদিসের আলোকে সারগর্ভ নসিহত পেশ করতেন। মুসলমানদের ইমান-আকাইদ ও আমলী সংশোধন, আত্মিক পরিশুদ্ধি এবং যুগসচেতন হওয়ার আহ্বান করতেন। তৎকালীন ওলামা ও বুজুর্গানে দ্বীনদের কাছে ইখলাস ও লিল্লাহিয়াতের কোন ঘাটতি ছিল না। বর্তমানে সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগের আয়োজিত মাহফিলের ইতিবাচক ফায়েদা কিন্তু একেবারে কম নয় । মদ-জুয়া, যাত্রা, নর্তকী ও গানের কনসাটের বিপরীতে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন সত্যিই খুব প্রশসংসার দাবি রাখে। তবে মাহফিলগুলো যাতে করে রেওয়াজ ও লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে না হয় সেদিকে অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে। বক্তা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। ইলম ও আমলওয়ালা ওলামা ও বুজুর্গানে কেরামগণকে মাহফিলে দাওয়াতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।