১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে গ্যাস অগ্নিকাণ্ডে নিহ তে র সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে

গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৫

print news -

নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নস অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও দুইজন।

চারদি ন আগে ওই অগ্নি দুর্ঘট না য় পাঁচ জনের মৃ ত্যু হয়। আরও ২৪ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ন, যাদের মধ্যে ১৬ জনে র অবস্থা আশঙ্কা জনক, চিকিৎসক রা জানিয়েছে ন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর শংকর পাল জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় মৃত্যু হয় ২৫ বছর বয়সী মাহিদুল খানের।

তাদের দুজনকেই আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। আরিফুল ৭০ শতাংশ, মাহিদুল ৯৫ শতাংশ দগ্ধ।

আরিফুলের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে, বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছোট আরিফুল তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈর টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আর মাহিদুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বড়কোলা খাপাড়া গ্রামের ছাবেদ খানের ছেলে। তিনি একটি পোশাক কারখানার পাটের গোডাউনের শ্রমিক ছিলেন। তিনিও টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

ওই দিন আগুনে পুড়ে যায় মাহিদুলের স্ত্রী নার্গিস (২২)। ৯০ শতাংশ দগ্ধ নার্গিস এখনও চিকিৎসাধীন। তারা দুজনেই গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে কারখানা ও গুদামে কাজ করতেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের একটি মাত্র ছেলে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পরিবারের কেউ ভেজে কাপড় দিয়ে গরম সিলিন্ডার মুড়িয়ে বাইরে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় অনেকেই কৌতূহলবশত কী ঘটছে তা দেখতে এগিয়ে আসেন। কেউ বুঝতে পারেনি যে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।

এ সময় পাশের অন্য বাড়িতে চুলা জ্বালিয়ে রান্না করতে গেলে আগুন পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে সবাই দগ্ধ হয়।

ও ই ঘটনা র পর রাতেই ঢাকা র শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যা ন্ড প্লাস্টি ক সার্জা রি ইনস্টিটি উ টে গুরু ত র দ গ্ধ ৩২ জনকে নিয়ে আ সা হ য়।

এদের মধ্যে তৈয়বা নামে ৪ বছরের এক শিশু ও মুনসুর আলী আকন্দ নামে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি শনিবার মারা গেছেন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪৫ বছর বয়সী সুলেমান মোল্লা মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে ২৪ জন এখন গাজীপুরে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

সুত্র: বিডি নিউজ ২৪ ডট কম

ট্যাগঃ

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

গাজীপুরে গ্যাস অগ্নিকাণ্ডে নিহ তে র সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০২:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
print news -

নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নস অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও দুইজন।

চারদি ন আগে ওই অগ্নি দুর্ঘট না য় পাঁচ জনের মৃ ত্যু হয়। আরও ২৪ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ন, যাদের মধ্যে ১৬ জনে র অবস্থা আশঙ্কা জনক, চিকিৎসক রা জানিয়েছে ন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর শংকর পাল জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় মৃত্যু হয় ২৫ বছর বয়সী মাহিদুল খানের।

তাদের দুজনকেই আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। আরিফুল ৭০ শতাংশ, মাহিদুল ৯৫ শতাংশ দগ্ধ।

আরিফুলের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে, বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করতেন। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ছোট আরিফুল তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে নিয়ে কালিয়াকৈর টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আর মাহিদুল সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বড়কোলা খাপাড়া গ্রামের ছাবেদ খানের ছেলে। তিনি একটি পোশাক কারখানার পাটের গোডাউনের শ্রমিক ছিলেন। তিনিও টপস্টার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

ওই দিন আগুনে পুড়ে যায় মাহিদুলের স্ত্রী নার্গিস (২২)। ৯০ শতাংশ দগ্ধ নার্গিস এখনও চিকিৎসাধীন। তারা দুজনেই গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে কারখানা ও গুদামে কাজ করতেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের একটি মাত্র ছেলে।

বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পরিবারের কেউ ভেজে কাপড় দিয়ে গরম সিলিন্ডার মুড়িয়ে বাইরে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় অনেকেই কৌতূহলবশত কী ঘটছে তা দেখতে এগিয়ে আসেন। কেউ বুঝতে পারেনি যে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।

এ সময় পাশের অন্য বাড়িতে চুলা জ্বালিয়ে রান্না করতে গেলে আগুন পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে সবাই দগ্ধ হয়।

ও ই ঘটনা র পর রাতেই ঢাকা র শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যা ন্ড প্লাস্টি ক সার্জা রি ইনস্টিটি উ টে গুরু ত র দ গ্ধ ৩২ জনকে নিয়ে আ সা হ য়।

এদের মধ্যে তৈয়বা নামে ৪ বছরের এক শিশু ও মুনসুর আলী আকন্দ নামে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি শনিবার মারা গেছেন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪৫ বছর বয়সী সুলেমান মোল্লা মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে ২৪ জন এখন গাজীপুরে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

সুত্র: বিডি নিউজ ২৪ ডট কম