১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের বিয়ানীবাজারে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন- এমপি নাহিদ

print news -

 ১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট-০৬ বিয়ানী বাজার – গোলাপগঞ্জের সংসদ সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।সিলেটের বিয়ানীবাজারে

সিলেটের বিয়ানীবাজারে : তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হলো মাঠ পর্যায়ে বিনামূল্যে সকল মানুষের শতভাগ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানী বাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: মনিরুল হক খান, ১০নং মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন, বিয়ানী বাজার আদর্শ মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সুলতান কবির চুনু, স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল আলম, কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার তামান্না বেগম, পরিবার কল্যান সহকারী সেলিনা বেগম, সিএইচসিপি মাহবুবুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট  ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো: আকবর হোসাইন শুভ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সিলেটের বিয়ানীবাজারে

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই দেশব্যাপী প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০১ সালের মধ্যেই ১০ হাজার ৭ শত ২৩টি অবকাঠামো স্থাপনপূর্বক প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আবার কমিউনিটি  ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করে। বর্তমানে মোট ১৪ হাজার ১৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৪ হাজার ১০০ শত ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এটি সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বের একটি সফল কার্যক্রম, যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং স্থায়িত্বের লক্ষ্যে সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন’ পাস করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সারাদেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবাসহ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।কমিউনিটি ক্লিনিক

বর্তমান অর্থবছরে ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বাবদ বাৎসরিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২৪১ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সেবার পরিধি সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে ৫ শতাংশের পরিবর্তে বর্তমানে ৮ শতাংশ জমিতে চার কক্ষ বিশিষ্ট নতুন নকশায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে।

২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৭টি নতুন নকশার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন পাস হলেও আধ্যাবদি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের চাকুরী স্থায়ী হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ানীবাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : অসহায় সাধারন মানুষ

সিলেটের বিয়ানীবাজারে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন- এমপি নাহিদ

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৪:৪৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
print news -

 ১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট-০৬ বিয়ানী বাজার – গোলাপগঞ্জের সংসদ সদস্য, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।সিলেটের বিয়ানীবাজারে

সিলেটের বিয়ানীবাজারে : তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হলো মাঠ পর্যায়ে বিনামূল্যে সকল মানুষের শতভাগ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। তারই ধারাবাহিকতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানী বাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: মনিরুল হক খান, ১০নং মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন, বিয়ানী বাজার আদর্শ মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সুলতান কবির চুনু, স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল আলম, কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার তামান্না বেগম, পরিবার কল্যান সহকারী সেলিনা বেগম, সিএইচসিপি মাহবুবুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট  ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো: আকবর হোসাইন শুভ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সিলেটের বিয়ানীবাজারে

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই দেশব্যাপী প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০০১ সালের মধ্যেই ১০ হাজার ৭ শত ২৩টি অবকাঠামো স্থাপনপূর্বক প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার আবার কমিউনিটি  ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করে। বর্তমানে মোট ১৪ হাজার ১৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৪ হাজার ১০০ শত ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এটি সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বের একটি সফল কার্যক্রম, যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং স্থায়িত্বের লক্ষ্যে সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন’ পাস করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সারাদেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবাসহ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।কমিউনিটি ক্লিনিক

বর্তমান অর্থবছরে ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বাবদ বাৎসরিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২৪১ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সেবার পরিধি সম্প্রসারিত হওয়ার কারণে ৫ শতাংশের পরিবর্তে বর্তমানে ৮ শতাংশ জমিতে চার কক্ষ বিশিষ্ট নতুন নকশায় কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে।

২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৭টি নতুন নকশার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন পাস হলেও আধ্যাবদি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের চাকুরী স্থায়ী হয়নি।