০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় মারামারি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জামালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্নতা

print news -

নেত্রকোণা প্রতিনিধি,মোঃ মিছবাহ উদ্দিন খান আছাদঃ

নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ নেতা, বীমা কর্মকর্তা মাসুম হাসান জামালসহ মোট ৯জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জেলা সদরের ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম আকন্দ। মামলায় বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে মারামারি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মূল বিবাদি জামালের সাথে কথা বললে তিনি নিজেকে নির্দোষ ও ঘটানাটি মিথ্যা বলে দাবী করেন এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে অনুরোধ করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এজাহারের সাথে বাস্তবতার অনেক অসংগতি ধরা পরেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৩টা ৩৫মিনিটে ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের দূর্গাশ্রম গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা সংগঠিত হয় যার নেতৃত্ব দেয় মাসুম হাসান জামাল। এবং জামালের হাতে থাকা রামদার কুপে এবং ৮নং বিবাদি রাব্বির রডের আঘাতে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন মামলার দুই জখমী সাক্ষি সোহাগ মিয়া ও সাজ্জাদ মিয়া। কিন্তু ঐতারিখের নেত্রকোণা জেলা শহরের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সময় জামাল জেলা শহরের থানার মোড় ও তেরী বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

মামলার দুই নম্বর জখমী সাক্ষির সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বলেন, ঝগড়ার দিন মাথায় ঢিল লেগেছিল, কে বা কাহারা ঢিল দিয়েছে তা তিনি জানেন না, জানেন না মামলার ব্যাপারেও। তবে তারা দুজনই স্থানীয় পল্লী ডাক্তার শাহজাহান খানের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান সাজ্জাদ, এজাহারেও এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বাজারের অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার ও এক ক্রেতা জানান, চিকিৎসকের ঘরে সুস্থ্য অবস্থায় ঢুকেছিল সোহাগ ও সাজ্জাদ। কিন্তু তারা ডাক্তারের পিছনের কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের হয়ে মামলার বাদির মোটরসাইকেলে করে চলে যান।

কিন্তু এব্যাপারে পল্লী চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, তিনি শুধু মাত্র সোহাগকে মাথায় হালকা কাটার চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তিনি আরও বলেন রক্ত পরতে থাকায় তিনি বায়োডিন দিয়ে ওয়াশ করে দেন যা রক্তের মত দেখায়।

এব্যাপারে মামলার বিবাদী মাসুম হাসান জামাল বলেন, এই মামলা মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বের করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।

ঘটনাটি নিয়ে মামলার বাদী মো: রফিকুল ইসলাম আকন্দর সাথে কথা বললে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও ঘটনার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলায় একজন বাদী লাগে তাই বাদি হয়েছি। এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষকে চিকিৎসার কাগজপত্রাদি আদালতে জমা দেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ানীবাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম : অসহায় সাধারন মানুষ

নেত্রকোণায় মারামারি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জামালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্নতা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৪:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
print news -

নেত্রকোণা প্রতিনিধি,মোঃ মিছবাহ উদ্দিন খান আছাদঃ

নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ নেতা, বীমা কর্মকর্তা মাসুম হাসান জামালসহ মোট ৯জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জেলা সদরের ঠাকুরাকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম আকন্দ। মামলায় বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে মারামারি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মূল বিবাদি জামালের সাথে কথা বললে তিনি নিজেকে নির্দোষ ও ঘটানাটি মিথ্যা বলে দাবী করেন এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে অনুরোধ করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এজাহারের সাথে বাস্তবতার অনেক অসংগতি ধরা পরেছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৩টা ৩৫মিনিটে ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের দূর্গাশ্রম গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা সংগঠিত হয় যার নেতৃত্ব দেয় মাসুম হাসান জামাল। এবং জামালের হাতে থাকা রামদার কুপে এবং ৮নং বিবাদি রাব্বির রডের আঘাতে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন মামলার দুই জখমী সাক্ষি সোহাগ মিয়া ও সাজ্জাদ মিয়া। কিন্তু ঐতারিখের নেত্রকোণা জেলা শহরের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সময় জামাল জেলা শহরের থানার মোড় ও তেরী বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

মামলার দুই নম্বর জখমী সাক্ষির সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বলেন, ঝগড়ার দিন মাথায় ঢিল লেগেছিল, কে বা কাহারা ঢিল দিয়েছে তা তিনি জানেন না, জানেন না মামলার ব্যাপারেও। তবে তারা দুজনই স্থানীয় পল্লী ডাক্তার শাহজাহান খানের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান সাজ্জাদ, এজাহারেও এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বাজারের অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার ও এক ক্রেতা জানান, চিকিৎসকের ঘরে সুস্থ্য অবস্থায় ঢুকেছিল সোহাগ ও সাজ্জাদ। কিন্তু তারা ডাক্তারের পিছনের কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের হয়ে মামলার বাদির মোটরসাইকেলে করে চলে যান।

কিন্তু এব্যাপারে পল্লী চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, তিনি শুধু মাত্র সোহাগকে মাথায় হালকা কাটার চিকিৎসা দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তিনি আরও বলেন রক্ত পরতে থাকায় তিনি বায়োডিন দিয়ে ওয়াশ করে দেন যা রক্তের মত দেখায়।

এব্যাপারে মামলার বিবাদী মাসুম হাসান জামাল বলেন, এই মামলা মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বের করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান।

ঘটনাটি নিয়ে মামলার বাদী মো: রফিকুল ইসলাম আকন্দর সাথে কথা বললে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও ঘটনার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলায় একজন বাদী লাগে তাই বাদি হয়েছি। এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, বিজ্ঞ আদালত বাদী পক্ষকে চিকিৎসার কাগজপত্রাদি আদালতে জমা দেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এলাকাবাসীর।