১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজারে ৭ দফা দাবিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন

print news -

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে সরকারী দলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সারাদেশের ন্যায় ৭ দফা দাবিতে বিয়ানীবাজারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌব্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক ক্লাব প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিয়ানীবাজারে গণ অনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন কমলেন্দু দে, রবীন্দ্র চক্রবর্তী রাগব, বিবেকানন্দন দাস বিবেক, কেততি রঞ্জণ দাস, সন্ধি পদ ভট্টাচার্য্য, শশাংক দাস, নিরেন্দ্র দাস, বিষু রঞ্জণ দে, রাজীব দেবনাথ ,গোপীকা বিশ্বাস, প্রণোজিত দাস, পুলক দাস, লিটন দাস, রাজীব চক্রবর্তী, নগেন্দ্র দাস, রনজিৎ দাস, অজিত পুরকাস্ত, দীপন বিশ্বাস, আখি রানী দাস, শিখা রানী দাস, সন্তোষ রায়, তুষার ভট্টাচার্য্য, শংকর দাস, নগেন্দ্র দাস, গপিকা বিশ্বাশ, দুলাল ধর, অজিত পুরকায়স্থ, সুজয় দাস, গৌর কিশোর দাস ও সুধাংশু দে প্রমুখ।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঐক্য পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। এসব দাবি মেনে নেওয়ার জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সব কটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল পৃথক পৃথকভাবে তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে কোনো কোনো দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। আওয়ামী লীগ তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে জাতীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দাবি ছাড়া বাদবাকি অন্য সব দাবি মেনে নেয়। দলটি প্রতিশ্রুতি দেয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করবে। এর পাশাপাশি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করবে, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এই পর্যন্ত এসব দাবি পূরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
ঐক্য পরিষদ বলেছে, ধর্মীয়-জাতিগত এবং সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠনকে সমন্বিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৪ মার্চ ঢাকার শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে প্রায় আড়াই লাখ লোকের গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে পদযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার কালে একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলটির গতি রোধ করে। পরে সাত সংখ্যালঘু নেতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করেন।
ঐক্য পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরপর ৯০ দিন পার হলেও কোনো উদ্যোগ দেখা না যাওয়ায় কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে একই দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল জাতীয় শহীদ মিনার চত্বরে।
ঐক্য পরিষদ বলেছে, এসব দাবি নিয়ে সরকারের রহস্যজনক নীরবতায় বাধ্য হয়ে ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা গণ–অনশন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে, আগামীতে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষনা দেওয়া হবে গণ-অনশন কর্মসূচি থেকে। গণ-অনশনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: সভাপতি-লুৎফুর, সম্পাদক-জহুরুল

বিয়ানীবাজারে ৭ দফা দাবিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৩:৩৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
print news -

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে সরকারী দলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সারাদেশের ন্যায় ৭ দফা দাবিতে বিয়ানীবাজারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণ-অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌব্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক ক্লাব প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিয়ানীবাজারে গণ অনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন কমলেন্দু দে, রবীন্দ্র চক্রবর্তী রাগব, বিবেকানন্দন দাস বিবেক, কেততি রঞ্জণ দাস, সন্ধি পদ ভট্টাচার্য্য, শশাংক দাস, নিরেন্দ্র দাস, বিষু রঞ্জণ দে, রাজীব দেবনাথ ,গোপীকা বিশ্বাস, প্রণোজিত দাস, পুলক দাস, লিটন দাস, রাজীব চক্রবর্তী, নগেন্দ্র দাস, রনজিৎ দাস, অজিত পুরকাস্ত, দীপন বিশ্বাস, আখি রানী দাস, শিখা রানী দাস, সন্তোষ রায়, তুষার ভট্টাচার্য্য, শংকর দাস, নগেন্দ্র দাস, গপিকা বিশ্বাশ, দুলাল ধর, অজিত পুরকায়স্থ, সুজয় দাস, গৌর কিশোর দাস ও সুধাংশু দে প্রমুখ।
জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঐক্য পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে। এসব দাবি মেনে নেওয়ার জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সব কটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল পৃথক পৃথকভাবে তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে কোনো কোনো দাবি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। আওয়ামী লীগ তাদের ঘোষিত নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে জাতীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়ের দাবি ছাড়া বাদবাকি অন্য সব দাবি মেনে নেয়। দলটি প্রতিশ্রুতি দেয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করবে। এর পাশাপাশি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করবে, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এই পর্যন্ত এসব দাবি পূরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
ঐক্য পরিষদ বলেছে, ধর্মীয়-জাতিগত এবং সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সংগঠনকে সমন্বিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৪ মার্চ ঢাকার শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ থেকে প্রায় আড়াই লাখ লোকের গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে পদযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার কালে একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলটির গতি রোধ করে। পরে সাত সংখ্যালঘু নেতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করেন।
ঐক্য পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরপর ৯০ দিন পার হলেও কোনো উদ্যোগ দেখা না যাওয়ায় কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে একই দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানী ঢাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল জাতীয় শহীদ মিনার চত্বরে।
ঐক্য পরিষদ বলেছে, এসব দাবি নিয়ে সরকারের রহস্যজনক নীরবতায় বাধ্য হয়ে ঐক্য পরিষদ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা গণ–অনশন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে, আগামীতে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষনা দেওয়া হবে গণ-অনশন কর্মসূচি থেকে। গণ-অনশনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।