০১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় দিবস উদযাপন করলো বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থা

print news -

বিজয় দিবস উদযাপন ও বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন,বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন ১৬ই ডিসেম্বর।

এই মহান দিনটিকে সামনে রেখে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিয্যবাহী সংগঠন বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার উদ্দ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বিজয় দিবস
অতিথিবৃন্দের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান কালে

শুক্রবার (১৬ই ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বৈরাগীবাজার ডাবতলায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়। বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান জুবের,সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান ও শহীদ আহমদের যৌত পরিবেশনায় বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে এর সহ সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব বদরুজ্জামান ।

Panasonic Full HD LED TV (TH-42A410S) কিনতে ভিজিট করুন:

শুরুাতেই কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, সংস্থার সহ প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তাহসিন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, জাহিদ হাসান জুবের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আলাউদ্দিন, মেনেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান আজব আলী, ময়নুল হক, আলী হাসান, আমিনুল ইসলাম দুলাল, লাউতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, বিশিষ্ঠ কবি ও গীতিকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ উদ্দিন খান, আব্দুর মুমিত সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে এক মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এতে জনপ্রিয় শিল্পী আয়াজ বাঙ্গালী  সহ স্বনামধন্য শিল্পী বৃন্দ সংগীত পরিবেশন করেছেন।  অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে সকল অতিথিবৃন্দকে বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে উত্তরী প্রদান এবং দ্বীতিয়ার্ধে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

আরোও পড়ুন: বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

বিজয় দিবস: নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।

অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ‘৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলিদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সঙ্গে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ‘৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।

বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কীভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দেওয়ার পালা।

অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরণ্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকন্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরও দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেওয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধনযজ্ঞ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: সভাপতি-লুৎফুর, সম্পাদক-জহুরুল

বিজয় দিবস উদযাপন করলো বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৮:৩১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
print news -

বিজয় দিবস উদযাপন ও বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

বিজয় দিবস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন,বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন ১৬ই ডিসেম্বর।

এই মহান দিনটিকে সামনে রেখে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিয্যবাহী সংগঠন বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার উদ্দ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বিজয় দিবস
অতিথিবৃন্দের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান কালে

শুক্রবার (১৬ই ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বৈরাগীবাজার ডাবতলায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়। বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান জুবের,সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান ও শহীদ আহমদের যৌত পরিবেশনায় বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিয়ানীবাজার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে এর সহ সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব বদরুজ্জামান ।

Panasonic Full HD LED TV (TH-42A410S) কিনতে ভিজিট করুন:

শুরুাতেই কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, সংস্থার সহ প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বি তাহসিন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, জাহিদ হাসান জুবের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বৈরাগীবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আলাউদ্দিন, মেনেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান আজব আলী, ময়নুল হক, আলী হাসান, আমিনুল ইসলাম দুলাল, লাউতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, বিশিষ্ঠ কবি ও গীতিকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ উদ্দিন খান, আব্দুর মুমিত সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে এক মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এতে জনপ্রিয় শিল্পী আয়াজ বাঙ্গালী  সহ স্বনামধন্য শিল্পী বৃন্দ সংগীত পরিবেশন করেছেন।  অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে সকল অতিথিবৃন্দকে বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে উত্তরী প্রদান এবং দ্বীতিয়ার্ধে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

আরোও পড়ুন: বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার কমিটি

বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী

বিজয় দিবস: নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ উপলক্ষে প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়।

অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ‘৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলিদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সঙ্গে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ‘৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।

বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কীভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দেওয়ার পালা।

অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরণ্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকন্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরও দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেওয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধনযজ্ঞ।