০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম

print news -

ঢাকা: বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্বিতীয় দফা বন্যা প্লাবিত হয়েছে সিলেট। ৬ টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে আগামী কয়েক দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সিলেট

২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষয়ক্ষতি ও বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ফের বন্যা কবলিত সিলেট। এদিকে জেলায় ৬২৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্নক কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন নদীর পানি ৬ টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একই অবস্থা সুনামগঞ্জেরও, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে হাওর এলাকার পানি। সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসত বাড়িতে পানি উঠায় আশ্রয়কেন্দ্র উঠেছেন মানুষজন।

বুধবার (১৯ জুন) সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্ট কমে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক-সিলেট, সুনামগঞ্জ- তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ- দোয়ারাবাজার সড়কে পানি উঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরি জানান, জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আরও মানুষ বাড়তে পারে আশংকা করছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তলিয়ে গেছে সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেগুলো কার্যকর করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামে অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ সেন্টিমিটার উপর দিযে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীও রাজারহাট উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর- দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘরবাড়ি, গ্রামীন কাঁচা সড়ক ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেত।

জনপ্রিয় সংবাদ

 এম. সাইফুর রহমান : এক পরিশুদ্ধ রাজনীতিবিদ

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৭:২৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
print news -

ঢাকা: বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্বিতীয় দফা বন্যা প্লাবিত হয়েছে সিলেট। ৬ টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে আগামী কয়েক দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সিলেট

২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষয়ক্ষতি ও বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই ফের বন্যা কবলিত সিলেট। এদিকে জেলায় ৬২৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্নক কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন নদীর পানি ৬ টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একই অবস্থা সুনামগঞ্জেরও, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে হাওর এলাকার পানি। সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসত বাড়িতে পানি উঠায় আশ্রয়কেন্দ্র উঠেছেন মানুষজন।

বুধবার (১৯ জুন) সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্ট কমে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতক-সিলেট, সুনামগঞ্জ- তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ- দোয়ারাবাজার সড়কে পানি উঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরি জানান, জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আরও মানুষ বাড়তে পারে আশংকা করছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার সিলেটের সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তলিয়ে গেছে সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ প্রধান প্রধান পর্যটনকেন্দ্র।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেগুলো কার্যকর করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামে অভ্যন্তরে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ সেন্টিমিটার উপর দিযে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীও রাজারহাট উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর- দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের কিছু ঘরবাড়ি, গ্রামীন কাঁচা সড়ক ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেত।