০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছে সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র কল্যাণ  পরিষদ

print news -

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র কল্যাণ  পরিষদের  উপদেষ্টা মো. ইউসুফ আলী ও সভাপতি মোঃ জাকারিয়া আহমেদ জাকির , সাধারণত সস্পাদক, ধর্ম বিষয় সস্পাদক,  দপ্তর বিষয় সস্পাদক ও সহসাধারণ সস্পাদক। ৫৭০ সালের ১১ রবিউল আউয়াল এই দিনে মানব জাতির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)। এ দিনটি তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ দিন হিসেবে বিবেচিত। দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে নেতৃবৃন্দ মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে উপদেষ্টা  মো.ইউসুফ  আলী  এ দিবসের বাণীতে বলেন, ‘হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।’

সভাপতি মোঃ জাকারিয়া আহমেদ জাকির বাণীতে লেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।’

সাধারণত  সস্পাদক মেহরাজ চৌধুরী মিনহাজ  বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ’ দপ্তর বিষয় সস্পাদক  শিমুল আহমদ বাণীতে বলেন ,‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবমী (সা) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় তার জীবনাদর্শ আমাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথেয় পাথেয় হোক মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বাণীতে বলেন, ‘ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি।

ধর্ম  বিষয় সস্পাদক কামরুল হাসান বাণীতে বলেন, ‘সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী, যা যা করতে পারবে

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছে সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র কল্যাণ  পরিষদ

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৯:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
print news -

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র কল্যাণ  পরিষদের  উপদেষ্টা মো. ইউসুফ আলী ও সভাপতি মোঃ জাকারিয়া আহমেদ জাকির , সাধারণত সস্পাদক, ধর্ম বিষয় সস্পাদক,  দপ্তর বিষয় সস্পাদক ও সহসাধারণ সস্পাদক। ৫৭০ সালের ১১ রবিউল আউয়াল এই দিনে মানব জাতির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)। এ দিনটি তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ দিন হিসেবে বিবেচিত। দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে নেতৃবৃন্দ মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে উপদেষ্টা  মো.ইউসুফ  আলী  এ দিবসের বাণীতে বলেন, ‘হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।’

সভাপতি মোঃ জাকারিয়া আহমেদ জাকির বাণীতে লেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।’

সাধারণত  সস্পাদক মেহরাজ চৌধুরী মিনহাজ  বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বশান্তির অগ্রনায়ক রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানব ইতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর অনবদ্য ভূমিকার আরেকটি অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। বাহ্যিক পরাজয়মূলক হওয়া সত্ত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এ সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন। তাঁর অমিত সাহস, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা তখনকার মানুষকে যেমন বিমুগ্ধ করে, তেমনি অনাগত মানুষদের জন্যও শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ’ দপ্তর বিষয় সস্পাদক  শিমুল আহমদ বাণীতে বলেন ,‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবমী (সা) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় তার জীবনাদর্শ আমাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথেয় পাথেয় হোক মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

সহ সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বাণীতে বলেন, ‘ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি।

ধর্ম  বিষয় সস্পাদক কামরুল হাসান বাণীতে বলেন, ‘সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।