০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্কার এর দাবিতে আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী: পলক

print news -

কোটা সংস্কার এর দাবিতে চলমান আন্দোলনে এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তিত আছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

কোটা সংস্কার এর দাবিতে চলমান আন্দোলনে এই মুহূর্তে বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরাও আসলে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গতকাল বিকেলের পর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যত সহিংসতা হয়েছে, যতগুলো প্রাণহানি হয়েছে; তা খুবই উদ্বেগের। সবাইকে বলবো—সচেতন হোন, সহিংস হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

কোটা সংস্কারের বিষয়ে ছাত্র সমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে-প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অবশ্যই বিবেচনায় নেবেন। তাদের সহায়তা করার জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগে গেছে, আপিল করাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন। গত কয়েক দিনের ঘটনায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল, অরাজনৈতিক ছিল। সেখান থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা-গুজব ছড়ালো দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। যখন গুজবটা ছড়াল, তখন কিন্তু কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু আমরা দেখলাম এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম এবং কিছু রাষ্ট্রের মুখপাত্রও বিবৃতি দিলো। তারা এর মাধ্যমে গুজবকে স্বীকৃতি দিলো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ গুজবের প্রেক্ষিতে, উসকানির কারণে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গেলো। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে ৬ থেকে ৭ জন মানুষের জীবন চলে গেলো। তাদের জীবন চলে যাওয়ার পেছনে মিথ্যা ও গুজব রটনাকারীরা কি দায়ী নয়?

পলক বলেন, আমরা মুক্ত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতামত প্রকাশ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন রক্তাক্ত হয়েছে, সেটা যেভাবেই হোক; তা নিয়ে যখন কেউ মন্তব্য দিচ্ছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু অনেক গুজবও ছড়াচ্ছে। আমার অনুরোধ— সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো তথ্য দেখেই যেন তারা আবেগী সিদ্ধান্ত না নেন। কোনো উসকানিতে যেন সহিংসতায় নেমে না পড়েন।

সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলি।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

 এম. সাইফুর রহমান : এক পরিশুদ্ধ রাজনীতিবিদ

কোটা সংস্কার এর দাবিতে আন্দলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী: পলক

প্রকাশিত হয়েছেঃ ১০:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
print news -

কোটা সংস্কার এর দাবিতে চলমান আন্দোলনে এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তিত আছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

কোটা সংস্কার এর দাবিতে চলমান আন্দোলনে এই মুহূর্তে বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আমরাও আসলে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গতকাল বিকেলের পর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যত সহিংসতা হয়েছে, যতগুলো প্রাণহানি হয়েছে; তা খুবই উদ্বেগের। সবাইকে বলবো—সচেতন হোন, সহিংস হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

কোটা সংস্কারের বিষয়ে ছাত্র সমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে-প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অবশ্যই বিবেচনায় নেবেন। তাদের সহায়তা করার জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগে গেছে, আপিল করাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন। গত কয়েক দিনের ঘটনায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল, অরাজনৈতিক ছিল। সেখান থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা-গুজব ছড়ালো দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। যখন গুজবটা ছড়াল, তখন কিন্তু কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু আমরা দেখলাম এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম এবং কিছু রাষ্ট্রের মুখপাত্রও বিবৃতি দিলো। তারা এর মাধ্যমে গুজবকে স্বীকৃতি দিলো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ গুজবের প্রেক্ষিতে, উসকানির কারণে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে গেলো। বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে ৬ থেকে ৭ জন মানুষের জীবন চলে গেলো। তাদের জীবন চলে যাওয়ার পেছনে মিথ্যা ও গুজব রটনাকারীরা কি দায়ী নয়?

পলক বলেন, আমরা মুক্ত বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মতামত প্রকাশ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন রক্তাক্ত হয়েছে, সেটা যেভাবেই হোক; তা নিয়ে যখন কেউ মন্তব্য দিচ্ছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু অনেক গুজবও ছড়াচ্ছে। আমার অনুরোধ— সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ানো তথ্য দেখেই যেন তারা আবেগী সিদ্ধান্ত না নেন। কোনো উসকানিতে যেন সহিংসতায় নেমে না পড়েন।

সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি চার্লস হোয়াইটলি।