আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম।

আশ্রয়ন প্রকল্প বিয়ানীবাজার উপজেলার আশ্রয়ন সোসাইটির উদ্যোগে শনিবার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুল্লাপর কটুখালীপাড় আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী ত্রান সহয়াতা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৯ নং মুল্লপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মান্নান , পাতন গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আল মামুনুর রশীদ হিলারী, লন্ডন প্রবাসী জহির উদ্দিন, বিয়ানীবাজার উপজেলা আশ্রয়ন সোসাইটির সভাপতি এম.এ ওমর, কোষাধ্যক্ষ শহীদ আহমদ।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম বলেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে একক গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কেউ যাতে গৃহহীন না থাকে সেই লক্ষেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ও অগ্রগতিও তুলে ধরেন। পরে সংঘঠনের দায়ীত্বশীলরা প্রকল্পের নানান সমস্যা তুলে ধরে একটি মসজিদ কথা বলেন।

আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন কালে তিনি এখানকার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী, অসহায় ব্যক্তি, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সবাই ত্রান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে প্রায় ২ লাখ গৃহ জমিসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক গৃহ নির্মাণ কাজ চলমান এবং দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী এগুলো হস্তান্তর করবেন। প্রকল্পটি গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের পাশাপাশি দুই শতক জমির মালিকানা, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন সুবিধাসহ উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে।

বিয়ানীবাজারে আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন ইউএনও কাজী শামীম

আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার- এ প্রতিপাদ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪১টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫১টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১২০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ২৫টিসহ মোট ২৩৭টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ে ভাকুর্তার ৩৭টিসহ সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭১টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।