০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোন-ভাগ্নির সঙ্গে খেতে গিয়ে ফেরেননি প্রিয়তি

বোন-ভাগ্নির সঙ্গে খেতে গিয়ে ফেরেননি প্রিয়তি,

print news -

নিউজ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরকারি বিভাগে ইংরেজি (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। হরগঙ্গা কলেজ। জারিন তাসনিম খান প্রিয়তি (২০) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচসার ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকার অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খানের ছোট মেয়ে।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রিয়তির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

https://youtube.com/shorts/KYhP-OjI_zU?feature=share

জানা যায়, প্রিয়তির বড় বোন তাসনুভা খান সুহা মেয়েকে নিয়ে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কানাডা থেকে ঢাকায় আসেন। পরদিন প্রিয়তি তার পরিবারের সঙ্গে ইস্কাটনের বাসায় বোনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুহা তার মেয়ে সায়বা ও শাশুড়ি প্রিয়তিকে নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। আগুন লাগার পর রেস্তোরাঁটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং তিনজন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু প্রিয়তি বের হতে পারেনি। প্রিয়তির শরীর আগুনে অঙ্গার হয়ে যায়। পরে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা।

প্রিয়তির ছোট খালা লিজা আক্তার বলেন, সুহার কাছে যা শুনেছি, আগুন লাগার সময় সে তার বড় বোনের হাত ধরে কথা বলছিল। সুহা আগুনের পর হাত টেনে নেয়। দুজনের মধ্যে আগুনের গোলা চলে গেলে ভেতরে লুটিয়ে পড়েন প্রিয়তি। সুবা তাকে সোজা সামনে দেখছিল। তারপর তিনি তার মেয়েকে (সায়বা) নিয়ে বের হলেন। বাইরে থেকে মোবাইলে দু-তিনবার ফোন করে বলল, কোথায় তুমি? এ সময় প্রিয়তি বলেন, ধোঁয়াটে কিছু দেখছি না। এরপর তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রিয়তির মামা জাকারিয়া হাবিব বলেন, “অব্যবস্থাপনার কারণে আজ আমার ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর গেট অবরোধ করে লোকজনকে বের হতে দেওয়া হয়নি। গেট খুলে দিলে অন্তত আমার ভাগ্নি আজ জীবিত ফিরে আসত।” এমন অকাল মৃত্যু যাতে আর কারো না হয় সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শুক্রবার জুমার পর পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তমাকে দাফন করা হয়।

ট্যাগঃ

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

বোন-ভাগ্নির সঙ্গে খেতে গিয়ে ফেরেননি প্রিয়তি

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৬:০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
print news -

নিউজ ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সরকারি বিভাগে ইংরেজি (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। হরগঙ্গা কলেজ। জারিন তাসনিম খান প্রিয়তি (২০) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচসার ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকার অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খানের ছোট মেয়ে।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রিয়তির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

https://youtube.com/shorts/KYhP-OjI_zU?feature=share

জানা যায়, প্রিয়তির বড় বোন তাসনুভা খান সুহা মেয়েকে নিয়ে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কানাডা থেকে ঢাকায় আসেন। পরদিন প্রিয়তি তার পরিবারের সঙ্গে ইস্কাটনের বাসায় বোনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুহা তার মেয়ে সায়বা ও শাশুড়ি প্রিয়তিকে নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। আগুন লাগার পর রেস্তোরাঁটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং তিনজন বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু প্রিয়তি বের হতে পারেনি। প্রিয়তির শরীর আগুনে অঙ্গার হয়ে যায়। পরে ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা।

প্রিয়তির ছোট খালা লিজা আক্তার বলেন, সুহার কাছে যা শুনেছি, আগুন লাগার সময় সে তার বড় বোনের হাত ধরে কথা বলছিল। সুহা আগুনের পর হাত টেনে নেয়। দুজনের মধ্যে আগুনের গোলা চলে গেলে ভেতরে লুটিয়ে পড়েন প্রিয়তি। সুবা তাকে সোজা সামনে দেখছিল। তারপর তিনি তার মেয়েকে (সায়বা) নিয়ে বের হলেন। বাইরে থেকে মোবাইলে দু-তিনবার ফোন করে বলল, কোথায় তুমি? এ সময় প্রিয়তি বলেন, ধোঁয়াটে কিছু দেখছি না। এরপর তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রিয়তির মামা জাকারিয়া হাবিব বলেন, “অব্যবস্থাপনার কারণে আজ আমার ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর গেট অবরোধ করে লোকজনকে বের হতে দেওয়া হয়নি। গেট খুলে দিলে অন্তত আমার ভাগ্নি আজ জীবিত ফিরে আসত।” এমন অকাল মৃত্যু যাতে আর কারো না হয় সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শুক্রবার জুমার পর পারিবারিক কবরস্থানে প্রিয়তমাকে দাফন করা হয়।