১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি,

print news -

নিউজ ডেস্ক: আগুন লাগার পর আমরা দৌড়ে উপরে চলে যাই। লোকজন ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। আগুনের ধোঁয়ায় পুরো সাততলা ভবন অন্ধকার হয়ে যায়। অনেকের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সেই ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁচার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যায়। অনেকেই কাঁচ ভেঙে গ্রিলের ওপর পড়ে যায়। অনেকে লাফ দেয়।

শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে কথা বলছিলেন বেইলি রোডে একটি বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দুজন। তারা দুজনেই ওই ভবনের দুটি ভিন্ন রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।

নিচতলায় অবস্থিত মেজবানি খানা রেস্তোরাঁর কর্মচারী কামরুল হাসান বলেন, আমরা প্রথমে শব্দ শুনে বাইরে তাকাই, তারপর গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে বিল্ডিংয়ে। আমরা গেট থেকে বের হতে পারিনি। তারপর আমরা যারা রেস্তোরাঁয় ছিলাম তারা উপরে চলে গেলাম। কিন্তু সিঁড়িতে আটকে গেলাম ৫ তলা পর্যন্ত। অনেক মানুষ আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিল। লোকজনের কারণে উপরে যেতে পারিনি। ওই তলায় একটা রেস্টুরেন্ট আছে, আমরা কেউ কেউ সেখানে আশ্রয় নিই।

আগুনের ধোঁয়ায় ভবনের বেশির ভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট বন্ধ হয়ে যায়। সবাই এভাবে দৌড়াতে লাগলো। যা দেখলাম, এই ধোঁয়ায় অনেকেই হাঁটতে পারছেন না। এই ধোঁয়া থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। ওই তলায় রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে একটা ছোট ফাঁক ছিল, আমি লাফিয়ে নেমে পড়লাম। তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না।

কামরুল বলেন, ভবন থেকে নামার জন্য প্রয়োজনীয় সিঁড়ি নেই, আমি ১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া বিল্ডিং থেকে নামার আর কোনো উপায় দেখলাম না।

ভবনের তৃতীয় তলায় খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জুবায়ের বলেন, কাঁচ ঘেরা ভবনে বাতাস চলাচল করে না। ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরি করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বললেন নিচে আগুন লেগেছে। সবাই উঠে আসে। আমি বের হয়ে নিচে নেমে দেখি সবাই উপরে যাচ্ছে। নিচ থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে সিঁড়ি বেয়ে। দৌড়ে ছাদে গেলাম। সেখানে অনেক লোক দেখে আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নেই। তিনি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, ভবনের রেস্তোরাঁয় নিচতলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক-হাসনাত আবদুল্লাহ

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৪:৪৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
print news -

নিউজ ডেস্ক: আগুন লাগার পর আমরা দৌড়ে উপরে চলে যাই। লোকজন ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। আগুনের ধোঁয়ায় পুরো সাততলা ভবন অন্ধকার হয়ে যায়। অনেকের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সেই ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঁচার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যায়। অনেকেই কাঁচ ভেঙে গ্রিলের ওপর পড়ে যায়। অনেকে লাফ দেয়।

শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে কথা বলছিলেন বেইলি রোডে একটি বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দুজন। তারা দুজনেই ওই ভবনের দুটি ভিন্ন রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।

নিচতলায় অবস্থিত মেজবানি খানা রেস্তোরাঁর কর্মচারী কামরুল হাসান বলেন, আমরা প্রথমে শব্দ শুনে বাইরে তাকাই, তারপর গেটের সামনে আগুন দেখতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে বিল্ডিংয়ে। আমরা গেট থেকে বের হতে পারিনি। তারপর আমরা যারা রেস্তোরাঁয় ছিলাম তারা উপরে চলে গেলাম। কিন্তু সিঁড়িতে আটকে গেলাম ৫ তলা পর্যন্ত। অনেক মানুষ আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিল। লোকজনের কারণে উপরে যেতে পারিনি। ওই তলায় একটা রেস্টুরেন্ট আছে, আমরা কেউ কেউ সেখানে আশ্রয় নিই।

আগুনের ধোঁয়ায় ভবনের বেশির ভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট বন্ধ হয়ে যায়। সবাই এভাবে দৌড়াতে লাগলো। যা দেখলাম, এই ধোঁয়ায় অনেকেই হাঁটতে পারছেন না। এই ধোঁয়া থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। ওই তলায় রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে একটা ছোট ফাঁক ছিল, আমি লাফিয়ে নেমে পড়লাম। তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না।

কামরুল বলেন, ভবন থেকে নামার জন্য প্রয়োজনীয় সিঁড়ি নেই, আমি ১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। লিফট আর সিঁড়ি ছাড়া বিল্ডিং থেকে নামার আর কোনো উপায় দেখলাম না।

ভবনের তৃতীয় তলায় খানাস রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জুবায়ের বলেন, কাঁচ ঘেরা ভবনে বাতাস চলাচল করে না। ঘটনার সময় আমি খাবার তৈরি করছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার এসে বললেন নিচে আগুন লেগেছে। সবাই উঠে আসে। আমি বের হয়ে নিচে নেমে দেখি সবাই উপরে যাচ্ছে। নিচ থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে সিঁড়ি বেয়ে। দৌড়ে ছাদে গেলাম। সেখানে অনেক লোক দেখে আমিও ছাদ থেকে লাফ দেই। তারপর আর কিছু মনে নেই। তিনি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, ভবনের রেস্তোরাঁয় নিচতলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়।