বিয়ানীবাজার উপজেলা দক্ষিণ শিবিরের কমিটি গঠন সম্পন্ন
বিয়ানীবাজারে সংঘবদ্ধ হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র শিবির । রাজনৈতিকভাবে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে ভিন্ন পথে এগুচ্ছে দলটি। বর্তমান প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে আওয়ামী দুর্গে হানা দিচ্ছে জামায়াত। তাদের সে পরিকল্পনা প্রাথমিক লক্ষ্যও এরই মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছে দলের দায়িত্বশীলরা- এমন আভাস পাওয়া গেলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে। প্রাথমিক পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ভিত্তিক দুর্গে তাদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি কয়েকটি জেলা, উপজেলাকে সংগঠিত করছে যেন তারা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীতা দিতে পারে । এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন বাংলাদেশ প্রতিটি জেলা উপজেলায়। থেমে নেই, বিয়ানীবাজারের জামাত শিবির এ প্রচারণার ক্ষেত্রে, তিলপারা, লাউতা, মুড়িয়া, মাথিউরা, কুড়ারবাজার ইউনিয়নে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা।
জামায়াতের সম্ভাব্য এসব তৎপরতার মধ্যে আওয়ামী লীগের দূর্গকে রুকতে এরই মধ্যেই বিয়ানীবাজার ছাত্রশিবিরে নতুন কমিটি গঠন করেছে বলে জানাগেছে। নব গঠিত এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন,” মুনিবুর রহমান পাবেল”, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হয়েছেন শামসুল হুদা চৌধুরী,স্কুল ও কার্যক্রম সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হয়েছেন আহবাব হোসেন মুরাদ,প্রচার সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হয়েছেন মাহবুব হাসান দুলাল।
বিয়ানীবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কৌশলী তৎপরতা বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে সবারই জানা। তাদের নতুন কৌশলী রাজনীতির মাঠে নিষ্ক্রিয় থেকে, থানা, ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা। একটি তথ্য থেকে এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জামায়াতের আর কর্মপরিকল্পনা।
রাজনীতিতে সক্রিয় নয়।
এছাড়া ছাত্র শিবিরের কমিটি করার মতো ছাত্র পাওয়ার কথা নয়। সেরকম কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এমনটি হলে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি ভাবতে হবে।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন বলেন, জামায়াত কিংবা শিবির মৌনভাবে সমর্থন করেন এমন গুটি কয়েক লোকজন আছেন। তবে তারা সক্রিয় রাজনীতি করেছেন সে রকম কোন তথ্য আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত নেই।তবে, জানা যায়নি তাদের পরবর্তী সিলেটের কোন থানায় নতুন কমিটি গঠন করা হবে।











