১১-২০ তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম এর প্রস্তাব
সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২৮ হাজার, সর্বনিম্ন ৩২ হাজার টাকা
১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম ” এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি. রোজ-শুক্রবার, বিকাল ৩৪:০০ ঘটিকায় “১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম” এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব-এ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ১১-২০ ফোরামের সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি- মোহাম্মদ আলী, রফিকুল ইসলাম মামুন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাধারন সম্পাদক- আরিফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি), রেভা পারভীন অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহ- অর্থ সম্পাদক-মোঃ শাহআলম, আব্দুল হালিম, মহিলা সম্পাদিকা-খাদিজা খানম, মাহমুদা কনিকা দপ্তর সম্পাদক-গাজী কালাম, ঢাকা মহানগর আহবায়ক-মোঃ ছারোয়ার হোসেন তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক- মোঃ মনির হোসেন, মোঃ কেফায়েত হোসেন সোহাগ, মোঃ নুরুল ইসলাম সদস্য সচিব মাহবুব হক তালুকদার, সদস্য নয়া মিয়া ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মৌসুমি প্রধান, সাধারন সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক মাহমুদ, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি-হালিম ভূইয়া সম্পাদক আব্দুর রব লাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ দেলোয়ার চাকা জেলা সম্পাদক মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ, আবজাল হোসেন, ঝর্না আক্তার, তাহমিনা আক্তার, লুনা কর্মকারসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগ, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন দপ্তর ও জাতীয় ভিত্তিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নবম পে কমিশন গঠন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন-মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কথা দিয়ে কথা রেখেছেন, তিনি আমাদেরকে লিখিতভাবে দাবি-দাওয়া উত্থাপন করতে বলার পরে তার নিরিখে নবম পে কমিশন গঠন করেছেন, এই পে কমিশনের কাছে আমাদের দাবি হচ্ছে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত একটি পে স্কেল। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তাবনা আমরা মাননীয় সরকার প্রধান ও পে কমিশনের কাছে আপনাদের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই, বিদ্যমান বাজার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবতার নিরিখে ২০১৫ সালের বৈষম্যযুক্ত পে স্কেলের চরম বৈষম্য দূরীকরণ ও গত ১০ বসরে ২ টি পে-স্কেল বঞ্চিত হওয়ার বিবেচনায় ৬ সদস্যের পরিবারের জীবন যাপনের ব্যয় হিসেবে কর্মচারীদের মতামতের ভিত্তিতে নিম্ন বর্ণিত একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন-
১:৪ হিসাবে সর্বনিম্ন ৩২০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২৮০০০ টাকা বেতন ধরে ১৩ টি গ্রেডে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করেন। (কপি সংযুক্ত)
উলেখ্য, বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর জন্য দৈনিক শুধুমাত্র খাদ্য ও পথ্য বাবদ ১৭৫/-টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যদি একজন সর্বনিম্ন বেতনভুক্ত সরকারি কর্মচারীর পরিবারে মোট ৬ জন সদস্য থাকেন, তবে তাদের শুধুমাত্র খাদ্য বাবদ মাসিক ন্যূনতম ব্যয় হওয়া উচিত: ১৭৫ টাকা (প্রতিজন/প্রতিদিন)×৬ জন×৩০ দিন=৩১,৫০০/- টাকা
> মাসিক বাড়ি ভাড়াভাতার হার (১১ থেকে ২০ গ্রেডের সকল কর্মচারীদের জন্য) ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য মূল বেতনের শতকরা ৮০%, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন এবং সাভার ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা এলাকার জন্য মূল বেতনের শতকরা ৭০%, অন্যান্য এলাকার জন্য মূল বেতনের শতকরা ৬০% মাসিক অন্যান্য ভাতাঃ চিকিৎসা ভাতা ৬০০০ টাকা, শিক্ষা ভাতা (সন্তান প্রতি) ৩০০০ টাকা, ধোলাই ভাতা ৫০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ঢাকা শহরে ৩০০০ এবং অন্যান্য এলাকায় ২০০০ টাকা, ইউটিলিটি ভাতা ২০০০ টাকা, টিফিন ভাতা ২২০০ টাকা (দৈনিক ১০০ টাকা হারে), বৈশাখী ভাতা ৫০% হারে, পাহাড়ি/দুর্গম/পর্যটন/উপকুলীয় অঞ্চলে ৪০% ভাতা এবং ঝুঁকি ভাতা ২০০০ টাকা (ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য) করার প্রস্তাব করছি।
> পেনশন বিদ্যমান ৯০% এর পরিবর্তে ১০০% এবং আনুতোষিকের হার ২৩০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি করছি।
> পূর্বের ন্যায় ৩ টা টাইমস্কেল ও ২ টি সিলেকশন গ্রেড পুনঃবহাল।
> সকল স্বায়ত্তশাসিত/রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানে পেনশন সুবিধা ও পেনশনারদের ন্যায় গ্রাচ্যুইটি চালু এবং গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের দাবি করছি।
> সকল প্রকার ব্লক পদ বাতিল করে পদোন্নতির বিধান চালু অথবা গ্রেড পরিবর্তন করার দাবি করছি।
> প্রস্তাবিত ০৯ থেকে ১৩ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য খাদ্য পন্যের ক্ষেত্রে রেশন পদ্ধতি চালু দাবি করছি।
> সকল ক্ষেত্রে এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রবর্তন করতে হবে।
➤ প্রস্তাবিত ০৯ থেকে ১৩ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫% এর পরিবর্তে ১০% করার প্রস্তাব করছি।
> শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ৩ বছরের পরিবর্তে প্রতি ২ বছর এ প্রদানের দাবি করছি।
> প্রস্তাবিত ০৯ থেকে ১৩ গ্রেডের সকল কর্মচারীদের সাজ পোশাক ভাতা দিতে হবে।
➤ প্রস্তাবিত ০৯ থেকে ১৩ টাইম দিতে হবে। গ্রেডের কর্মচারীদের (অফিস বন্ধের সময়) ডিউটি/অতিরিক্ত কাজ করালে ওভার
মাহমুদুল হাসান আরো বলেন, স্বাধীনতার পর সকল পে স্কেলেই শতকরা হারে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে যাহার কারনে উচ্চ ও নিন্ম গ্রেডের কর্মচারিদের মধ্যে টাকার অংকে বেতন বৈষম্য বেড়ে এখন পাহাড় সমান হয়েছে। তাই শতকরা হারে বিবেচনা না করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্য মুক্ত নবম পে স্কেলের বাস্তবায়ন করার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব লুৎফুর রহমান বলেন সরকারি কর্মচারীরা বিগত ১০ বছর ধরে পে স্কেল বঞ্চিত এই সময় বিবেচনা করলে কর্মচারীদের দুইটি পে স্কেল পাওয়ার কথা, কর্মচারীরা খুবই ঋণগ্রস্ত অবস্থায় দীনহীন জীবন যাপন করছে, সরকারের কাছে আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৈষম্য মুক্ত নবম পে স্কেলের বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। তিনি আরো বলেন সহযোগী শক্তি তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, পেটে ভাত না থাকলে শরীর ও মন দিয়ে দেশের সেবা করা সম্ভব নয়, আর যেন কর্মচারীদের রাস্তায় নামতে না হয়। তিনি সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বার্তা প্রেরক,
(মোঃ আব্দুর রাজ্জাক)
সাংগঠনিক সম্পাদক
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ, ১১-২০ ফোরাম
মোবাইল নং-০১৭১৯-৯১৩৬৯৪











