লক্ষ্মীপুরে আলোর দিশারী ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুরের মেধাবী তরুণ আলেমদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম আলোর দিশারী ফাউন্ডেশন লক্ষ্মীপুর এর উদ্যেগে জেলার ৩৯টি মাদরাসার প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, মূল্যবান বই ও সার্টিফিকেট তুলে দেন ।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় লক্ষ্মীপুর আল-মুঈন ইসলামী একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুফতি মুহাম্মদ আরাফাত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহ নূরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম আমীর জিহাদী।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেফাক মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন—
“যারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন, তাদের মনে রাখতে হবে এটি একটি বড় দায়িত্ব। সমাজ সংস্কারে তোমরাই নববী আদর্শে গড়ে ওঠা স্বপ্নবাজ কাফেলা। গতানুগতিক আলেম নয়, বরং কর্মঠ, উদ্যমী ও বিশেষ ব্যক্তি হওয়ার লক্ষ্য রাখতে হবে।”
মাওলানা লিয়াকত আলী, সহকারী সম্পাদক, দৈনিক নয়া দিগন্ত বলেন—
“দেশ গঠনে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মেধাবী তরুণ আলেম প্রয়োজন। মেধা, দরদ ও ফিকির—এই তিন গুণ অর্জন করতে হবে। লেখালেখিকেও দাওয়াতের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।”
মাওলানা আজিজুল হক ইসলাসাবাদী, যুগ্ম মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বলেন—
“আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু পড়াশোনা নয়, বরং তা সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সৎ, সাহসী ও যোগ্য আলেম গড়ে তুলতে হবে।”
দার্শনিক কবি মাওলানা মুসা আল হাফিজ তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“ইলম ছাড়া দুনিয়ার শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। রাসূল ﷺ ইলমে দ্বীনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সমাজ সংস্কারে আলেমদের ভূমিকা অপরিসীম। একজন আলেমের পদস্খলনে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। কাজেই গুনাহমুক্ত জীবন গঠন করে ইলমে দক্ষ হতে হবে। বিজাতীয় সংস্কৃতির বিষয়ে সচেতন থেকে সমাজকে সতর্ক করতে হবে।”
পরিচালক মুফতি মুহাম্মদ আরাফাত সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন—
“আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে একটি সুন্দর লক্ষ্মীপুর গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এজন্য পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে হবে।”











