বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীরকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

মোঃ সুমন খান পার্বত্য অঞ্চল প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৩:১২ পিএম
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীরকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ-উল আযহাতে ও দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহাপরিচালকের পক্ষ হতে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা, দলনেত্রী, আনসার কমান্ডার ও হিল ভিডিপিসহ ৯টি উপজেলার মোট ৩৬৬৫ জন সদস্য/সদস্যাদের মাঝে বাহিনীর সম্মাঈদ-উল আযহাতে ও দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহাপরিচালকের পক্ষ হতে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা, দলনেত্রী, আনসার কমান্ডার ও হিল ভিডিপিসহ ৯টি উপজেলার মোট ৩৬৬৫ জন সদস্য/সদস্যাদের মাঝে বাহিনীর সম্মাঈদ-উল আযহাতে ও দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহাপরিচালকের পক্ষ হতে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা, দলনেত্রী, আনসার কমান্ডার ও হিল ভিডিপিসহ ৯টি উপজেলার মোট ৩৬৬৫ জন সদস্য/সদস্যাদের মাঝে বাহিনীর সম্মা

এবার খাগড়াছড়িতে জেলাতে ঈদ-উল ফিতরের পর এবার ঈদ-উল আযহাতে ও দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মহাপরিচালকের পক্ষ হতে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা, দলনেত্রী, আনসার কমান্ডার ও হিল ভিডিপিসহ ৯টি উপজেলার মোট ৩৬৬৫ জন সদস্য/সদস্যাদের মাঝে বাহিনীর সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়ের ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১ কেজি পোলাও চাল, ৪ প্যাকেট সেমাই, (২ প্যাকেট সাধারন, ২ প্যাকেট লাচ্ছা), ২০০ গ্রাম গুড়া দুধ, আধা কেজি সুজি, ২ প্যাকেট নুডলস, ১ কেজি চিনি, ১ লিটার সয়াবিন তেল।
উল্লেখ্য যে বিগত ঈদ-উল ফিতর এবং বৈসাবীতে সদস্যদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয়।

বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উপলক্ষে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠান জেলার টাউনহল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়,
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ সাইফুর রহমান, বিভিএম (বার) পিএএমএস, উপমহাপরিচালক বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য রেঞ্জ চট্টগ্রাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন
জনাব মোঃ আমমার হোসেন, বিভিএম, পরিচালক কুমিল্লাটিলা আনসার ব্যাটালিয়ন (৫ বিএন) খাগড়াছড়ি ।
সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ আরিফুর রহমান, পিপিএম, জেলা কমান্ড্যান্ট, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন
জনাব রোকেয়া পারভীন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, সদর, খাগড়াছড়ি ।
উপজেলা প্রশিক্ষকবৃন্দ।

উপহার সামগ্রী বিতরন শেষে প্রধান অতিথি বলেন, এই উপহার প্রাপ্তি ভাতাভোগী ভিডিপি সদস্যদেরকে দেশ সেবায় অনুপ্রানিত করবে এবং নিজেদের দায়িত্বের আরো উৎসাহ উদ্দীপনা যোগাবে। মহাপরিচালকের ভিশনকে সামনে রেখে নিজ নিজ এলাকায় অধিক সতর্কতা ও সচেতনতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন এটা কেবল বস্তুগত উপহার নয় এর মাঝে নিহিত আছে সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়ের ভাতাভোগী সদস্যদের প্রতি তথা বাহিনীর প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা ভালবাসা ও আন্তরিকতা। তিনি যে সকল ক্ষেত্রে বাহিনীকে আরো নিবেদিত করতে চান তারই বাস্তব উদাহরন এই ঈদ উপহার।
অনুষ্ঠানে স্বভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা কমান্ড্যান্ট, জনাব মো: আরিফুর রহমান, পিপিএম বলেন, বর্তমান মহাপরিচালক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যানমূলক পদক্ষেপ গ্রহন করে আসছেন। সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সংস্কার সাধনের মাধ্যমে সকল সদস্যদের দেশের গণমানুষের প্রত্যাশা পূরনে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে আসছেন। তিনি আরো বলেন ভাতাভোগী সদস্যদের মহাপরিচালক মহোদয়ের ঈদ উপহার প্রাপ্তি আমাদের অনুপ্রানিত করেছে।

বক্তারা আরো বলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা শান্তি ,শৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দূর্যোগে সর্বদা প্রস্তুত। বিশেষ করে প্রান্তিক পর্যায়ে ভিডিপি সদস্যরা নিবেদিত প্রাণ। ইতোমধ্যে পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ধস তথা বিভিন্ন দূর্যোগে সাফল্যের সাথে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছে।

ঈদ উপহার অনুষ্ঠানে ভাতাভোগী ভিডিপি সদস্যদের মাঝে উৎসবমূখর পরিবেশ তৈরি হয়। মহাপরিচালক মহোদয়ের ঈদ উপহার পেয়ে ভাতাভোগী ভিডিপি সদস্যরা আনন্দিত হন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ঈদ উপহার পেয়ে ভিডিপি সদস্যরা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন । ভিডিপি সদস্যরা বলেন এই উপহার দেশ সেবায় আমাদের আরো বেশি উদ্দীপনা যোগাবে এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে গর্ববোধ করছি। আমরা মহাপরিচালক মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি

শাহবাগে শিক্ষকদের পুলিশের বাধা, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
শাহবাগে শিক্ষকদের পুলিশের বাধা, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রা করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে সকালে দশম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো-

১️। সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান,

২️। চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা,

৩️। শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।

অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৭ পিএম
অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

১০ম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবিতে রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের ৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

বিকালে দাবি আদায়ে শাহবাগে আন্দোলনরতরা পথযাত্রা করলে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।

একইসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে গরম পানিও ছোড়া হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক রক্তাক্ত হয়েছেন। দু’জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।”

সকাল থেকেই দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। পরবর্তীতে বিকেলের দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে এলে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ওই সময় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।

শিক্ষকদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। যদিও পুলিশের দাবি, মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হয়।

পদযাত্রায় বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, “মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ওই সময় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।”

সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি হলো-

১) ১০ম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের বেতন দেয়া।

২) শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

৩) চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতারক চক্রের হুমকি

সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫০ পিএম
সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ও বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৩ নভেম্বর পুঠিয়া থানায় এবং মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ৬ নভেম্বর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় দুটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

হুমকি ও অপপ্রচারের শিকার ওই সাংবাদিকের নাম রকিবুল হাসান রকি (২৪)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক ‘সময়ের আলো’ ও স্থানীয় দৈনিক ‘সানশাইন’ পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, গত ২৫ অক্টোবর তিনি জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো ও স্থানীয় দৈনিক সানশাইন পত্রিকায় “হঠাৎ ধনী রিকশা চালক আবুল” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া সমাজের মোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের সম্পদের উৎস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আবুল প্রতারণার মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকার মৃত ছোলায়মান আলীর ছেলে মোল্লা সাইফ উল মোবারকের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত আবুল হোসেন ও ভুক্তভোগী মোল্লা সাইফ উল মোবারক উভয় পক্ষের মধ্যে গত ৫ নভেম্বর স্থানীয় বিএনপি নেতা হান্নানের মুরগির দোকানে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকায় আপস-মীমাংসা হয় বলে জানা গেছে।

তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই অভিযুক্ত পক্ষ সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ছাড়া, দুই পক্ষের আপসনামায় মনগড়া তথ্য সংযোজন করে সাংবাদিকের নাম জড়িয়ে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতারক আবুল হোসেন ও মোল্লা সাইফ উল মোবারকের এ ঘটনার বিস্তর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দুজনের এ লেনদেনের পিছনে বড় কোনো অপরাধ লুকিয়ে আছে।

সাংবাদিকের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই আবুল হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে তারা সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকিকে সরাসরি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানা উপায়ে হুমকি প্রদান করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকি বলেন, “সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমি নিয়মিত হুমকি পাচ্ছি। আমি ও আবুল একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় বাড়ির আশপাশে অপরিচিত লোকজন নিয়ে আবুল প্রায়ই ঘোরাঘুরি করছে। এতে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি গত ৩ নভেম্বর পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই সংবাদটি করেছি- এতে কারও ব্যক্তিগত ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর যেভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, একটি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলে রাজশাহী অফিসে কর্মরত ক্যামেরাপার্সন জানান, নগরীর তালাইমার এলাকার মৃত ছোলায়মান আলীর ছেলে মোল্লা সাইফ উল মোবারক তাঁর আত্মীয়। তাঁর সাথে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পুঠিয়ার আবুল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় ওই ক্যামেরাপার্সনের দেওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন ঘটনার প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকি বিষয়টি অনুসন্ধান করে সংবাদ প্রকাশ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবুল ও মোল্লা সাইফ উল মোবারক উভয় পক্ষ আপস-মীমাংসায় বসেন এবং লিখিত মীমাংসাপত্রে তারা বিষয়টিকে ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে উল্লেখ করেন।

এর আগে, সাংবাদিককের আত্মীয় পরিচয়দানকারী ব্যক্তি অভিযোগ করেন, দুটি হত্যা মামলায় ভয় দেখিয়ে আবুল তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিলেন। ওই ক্যামেরাপার্সন এ প্রতারণা চক্রের সদস্য কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার। এছাড়াও প্রতারক আবুল সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওই ভিডিও ফুটেজে অসংলগ্ন কথা বার্তা বলেছে। তার কথায় পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে তিনি মিথ্যা বলছেন। এখানে ওই ক্যামেরাপারসন ১৪ লাখ টাকা আপোষ মিমাংসায় গিয়ে প্রমাণ করেন তিনি পূর্ব থেকে এদের সাথে জড়িত।
এ ঘটনায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিককে ফাঁসানোর বৃথা চেষ্টা করে লাভ নাই। সব হুমকি ধামকি প্রতিহত করা হবে। তবে প্রকাশিত সংবাদটিসহ ভুক্তভোগী মোল্লা সাইফ উল মোবারকসহ ওই ক্যামেরাপার্সনের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আবুলকে কেন অর্ধ কোটি টাকা মোল্লা সাইফ দিলো? পরে কেন উভয় পক্ষ ১৪ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা হলো? এ টাকা কিসের লেনদেন, এসব অ-মিমাংসীত প্রশ্নের উত্তর খোঁজা প্রয়োজন। সেই সাথে তাদের উভয়ের আয়ের উৎস খোঁজার জন্য দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এঘটনার বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, অভিযোগসহ বিষয়গুলো পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।