শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত- বিএনপি
এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি )। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা, চাকরির স্থায়ীকরণ ও জাতীয়করণের বিষয়টি বিএনপি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় তারেক রহমান বলেন, “সম্মানিত শিক্ষকদের সমাবেশে অনেকের বক্তব্যে চাকরি জাতীয়করণের বিষয়টি এসেছে। কেউ কেউ আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কথাও বলেছেন। দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে অবশ্যই একমত।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিল, শিক্ষকদের বেশিরভাগ দাবিই সে সময় পূরণ করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং শিক্ষকদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত না হলে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
তারেক রহমান জানান, জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো ও চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে। তার ভাষায়, “রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী এই বিষয়গুলো ইনশাআল্লাহ ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে।”
একই দিনে এক লিখিত বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত আর্থিক সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা এবং তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার কিংবা নাগরিক উন্নয়নে যত উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, শিক্ষকদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না।”
বিবৃতিতে তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলনকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা যদি পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসন্ন নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, তাহলে বিএনপি কোনো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না।”
বিএনপি নেতাদের এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়ি ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর শহিদ মিনারে টানা সাত দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।











