ময়মনসিংহ বি আর টি এর সহকারী গৌতমের সেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতি ফাঁস
ময়মনসিংহ বি আর টি এর একজন অফিস সহকারী গৌতম সরকারের সেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ্য ঘুষবানিজ্য সহ বিভিন্ন কুটকৌশলের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানী ও অবৈধ্য ভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার ভয়ানক চিত্র উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে–।
জানা যায় গৌতম সরকারের বাবা অর্ধাহারে অনাহারে ময়মনসিংহ গোল্ পুকুর পাড়স্থ মুক্তিযোদ্ধা একটি ক্লাবের নাইটগার্ড হিসেবে চাকুরী সুবাদে ছেলেদের নিয়ে থাকতেন ময়মনসিংহ । সেখান থেকে আওয়ামীলীগ দলীয় এম পি নাজিমউদ্দীনের সাথে পরিচয় সুবাদে তার বাসায় আসা যাওয়া করতেন এম পি নাজিম উদ্দীন। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি গৌতম পরিবারের। ময়মনসিংহ গোলপুকুরপারের এনিমি সম্পত্তির একটি বাড়ী এম পি নাজিমুদ্দিনের অবৈধ ক্ষমতায় দখল সুত্রে গৌতম ও তাদের পরিবার সেখানে উঠে পড়ে অদ্যাবধি সেই বাড়ীটি তাদের দখলে আছে–, গৌতম ছাত্রলীগের রাজনীতির সুবাদে আধিপত্য বিস্তার ও এম পি নাজিমউদ্দীন এর হস্তক্ষেপে ৩ ভাই মুক্তিযুদ্ধার কোঠায় সরকারী চাকুরীতে প্রবেশ করেই দূরর্নীতে জড়িয়ে পড়ে, ওর আরও দুই ভাই ময়মনসিংহ জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ে ৪র্থশ্রেনীর সরকারি করর্মচারী, গৌতমের চাকুরী ১২ বছরে ময়মনসিংহ বি আর টি এতে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত-।
গত ২৩ ইং সালে সে বিভিন্ন উপায়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের শীলমোহর নকল সাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বি আর টি এর লাইসেন্স, গাড়ীর ফিটনেস, রুটপারমিট সহ যাবতীয় কাজ করে কোটি কোটি টাকা আয় করে, এবং পরে ডি এস বির সিল মোহর জালিয়াতি ধরা পড়লে এম পি নাজিমউদ্দীন এর হস্তক্ষেপে তৎকালিন বি আর টি এর ডি ডির মাধ্যমে বগুড়া বি আর টি এতেবদলী করা হয় – সেই সময় গৌতম নিজের চাকুরী বাচাতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিভিন্ন দপতরে উৎকোচ দিয়ে রক্ষা পায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সে ময়মনসিংহ ফিরে আসে–।যেহেতু তৎকালিন এম পি নাজিমউদ্দীন ও তার বড় ছেলে যুবলীগ নেতা রাজিবের অনুগ্রহে এই গৌতম বি আর টি এতে আধিপত্য বিস্তার করে সেচ্ছাচারিতা আরম্ভ করেন। বি আর টি এর ফিটনেস, নবায়ন,মালিকানা বদলী,এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর লিখিত পরীক্ষার দায় দায়িত্ব তিনি নিজে বহন করেন, পরীক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত মোবাইলে ফোন করে জিজ্ঞাসা করে নেন ” সে কার মাধ্যম–, যদি দালালের মাধ্যম হয় তবে ভালো, নইলে অকেৃতকার্য?
জানা যায় একটি গাড়ীর মালিকানা বদলী সরকার ফি ৩৬৬৫/ টাকা হলেও তিনি নেন ১২০০০/১৩০০০ টাকা, একটি হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স ৪৭৫২/ সরকারি ফি হলেও তিনি প্রতিটি কাজের জন্য নেন ১১০০০/ টাকা, সি এন জি কাগজ আটকিয়ে রাখেন মাসের পর মাস, এ ব্যপারে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী আমাদের জানান যেখানে সি এন জির নাম্বার আনতে সরকারি জমা ১৩০০০/ টাকা সেখানে গৌতমকে দিতে হয় ৩৫০০০/ হাজার টাকা, না হলে বছর ধরে কাগজ আটক করে রাখেন, এখন ও তার কাছে প্রায় সহস্রাধিক সি এন জির কাগজ আটক আছে বলে জানা যায়।
গৌতম বি আর টি এর একজন অফিস সহকারী হওয়া সত্বেও মালিকানা বদল, রূটপারমিট, গাড়ীর ফিটনেস সহ, গাড়ীর যাবতীয় পরিদর্শনের কাজও করেন বলে অত্র অফিস থেকে জানা যায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অফিসের এক কর্মচারী জানান – পুুর্বের সময়কার সেই আচরন এখনও গৌতম চালিয়ে যাচ্ছেন, অফিসের আর এক কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন গৌতম টাকা পয়সা মোবাইল বিকাশে লেন দেন করেন, প্রতিমাসে ৫/৭ লক্ষ টাকা তার মোবাইলে লেনদেন হয়, যা কিনা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। সরেজমিনে দেখা যায় একটি মাইক্রোবাসের পরিদর্শন করছেন গৌতম , এ ব্যপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন। নিজের পৈত্রিক বাড়ী তারাকান্দা উপজেলা ও শশুর বাড়ী হালুয়াঘাট থানায় হওয়াতে, গৌতম নিজের ও স্ত্রীর৷ নামে অনেক জমি ক্রয় করেছেন, এই দুই উপজেলায়,। পোষ্ট অফিস সহ একাধিক ব্যংকে ৫০০০/ হাজার থেকে ১০০০০/ টাকা এফ ডি আর আছে তার এবং স্ত্রীর। গৌতমের উথ্যানের মুল কারিগড় ফ্যাসিবাদের এম পি নাজিমউদ্দীন একজন লম্পট চরিত্রের মানুষ বটে, এ ব্যাপারে লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন গনমাধ্যমে নারী কেলেংকারী সহ উঠে এসেছে ভয়ানক সব কথা, এই পরিত্যাক্ত বাড়ীতেও নাজিমুদ্দিন জলসা ঘড়ের বাতি জালাতেন, এবং এর সাথে গৌতমের পরিবার জড়িত। সেই সুবাদে গৌতম বি আর টি এ অধিপত্যে বিস্তারে সুযোগ নেয়। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বি আর টি এর যান্ত্রিক পরিদর্শক ইনেসপেক্টর জহির বাবরকে গৌতম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনই জানান আমি অপ্ল কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ এসেছি, গৌতম সম্পর্কে আজ জানলাম, যদি সে দূনীতিতে জড়িত থাকে অবশ্যই তার বিচার হবে।
ময়মনসিংহ বি আর টি এর ভয়ানক এক দূর্নীতিবাজ অফিস সহ গৌতম, সেবাগ্রহীতা থেকে শুরু করে অফিসের কর্মচারী সবাই এ ব্যাপারে একমত পোষন করেন – ছাত্রলীগের রাজনীতি ও এম পি নাজিমউদ্দীনের ছায়াতলে দীর্ঘ প্রায় একযুগ বি আর টিএ কে শোষন করে গড়েছেন নামে বেনামে অগাধ ধনদৌলত। গৌতমের যাবতীয় অপকর্মে সহাযতাকারী অত্র অফিসের অন্যতম কর্মচারী বিধান রাম গৌর। তিনি সকল প্রকার অন্যায় কাজে অফিসের পক্ষে সাপোর্ট দেন বলে জানা যায়। ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাধারন জনগন চায় এই অসৎ ও ঘুষবানিজ্যকারী গৌতমের বিরুদ্ধে দূদক তদন্ত সাপেক্ষ কঠোর বিচারের মুখোমুখি করা হউক, এবং যাবতীয় সম্পত্তি সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হউক











