বাগমারায় বেপরোয়া আমির ও সোহাগ চোরা বাহিনী, নিরব প্রশাসন, অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ
বাগমারয় বেপরোয়া আমির ও সোহাগ চোরা বাহিনী নিরব প্রশাসন, অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট। কে এই আন্তজেলা গরু চোর, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও অপহরণ কারী আমির ও সোহাগ। এদের খুটির জোরই বা কোথায়? এদের নামে বাগমারা থানায় আন্তজেলা চোর চক্রের লিষ্টে প্রথমে নাম থাকার পরও প্রকাশ্যে ছিনতাই চাঁদাবাজি অপহরণ ও চুরি চালিয়ে চাচ্ছে এতে প্রশাসনের ভূমিকাই বা কি? প্রশাসন নিরব কেন? বাগমারার ১২ নং ঝিকরা ইউপির পিরুলিসেন পাড়া গ্রামের মসজিদের পুকুরের মাছ প্রকাশ্য লুট করে আমির ও সোহাগ বাহিনী এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন? এদের মদদদাতাই বা কে?
পরিচয়- ১। আমির হোসেন @ আমির চোরা, পিতা- লেদাই প্রাং, ২। সোহাগ হোসেন @ সোহাগ চোরা, পিতা- আমির হোসেন @ আমির চোরা, সাং- মধ্যঝিনা, থানা- বাগমারা, জেলা- রাজশাহী।
পেশা আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান, অপহরণ কারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী।
অনুসন্ধান ১! অবৈধ অর্থের যোগানদাতা, অর্থের যোগান দাতা ক্যাসিনো ফিরোজ ও সর্বহারা শহীদ ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ভবানীগন্জ বাজারে ছাএ-জনতার উপর হামলা করে, গণঅভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিয়ে ঢাকাতে আত্মত্মগোপন করে কিছু দিন পরে স্থানীয় আমির ও সোহাগ চোরা চক্রকে টাকা দিয়ে এলাকায় আসে সর্বহারা শহিদ ও ক্যাসিনো ফিরোজ।
এরপরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় আবার গা ঢাকা দেয় সর্বহারার লিডার শহীদ ও ক্যাসিনো ফিরোজ । কিছুদিন পরে এলাকায় এসে আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের সহিত টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে গত রোজার ঈদে। ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজকে নিয়ে আসেন এলাকায় এমনকি বডিগার্ড হিসেবেও কাজ করে এই চোর ও ক্যাডার চক্র।
অনুসন্ধান ২! রাজশাহী বাগমারা উপজেলার ১২ নং ঝিকরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা তারেক জিয়া প্রজন্মদলের অন্যতম সদস্যপদে থাকা এবং বাগমারা তথা আন্তজেলা চোর চক্রের সক্রিয় অন্যতম সদস্য আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের ক্ষমতার দাপটে এখনো বহাল রয়েছেন এই ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ ও সর্বহারার লিডার শহীদ চক্র।
অনুসন্ধানে ৩! এই আমির চক্র ২০০৪ সালের ঘটনা দেখিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগের সুনজরে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, এড. নাদিম মোস্তফা সহ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় দেড়শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এই আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান আমির চোরা বাহিনী। যাহার মামলা নং ১। বাগমারা থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ১৭/০৮/২০০৯ ইং, জি আর নং ১৫১/২০০৯ বাগমারা ২। বাগমারা থানার মামলা নং ১৬, তারিখ ১৭/০৮/২০০৯, জি আর নং ১৫২/২০০৯ বাগমারা। সেই সময় মামলা করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীর নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। কিন্তু গত ৫ই আগষ্টের পর পরই সে তারেক জিয়া প্রজন্মদলের অন্যতম সদস্য ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক এটা কেমনে কি?
অনুসন্ধানে ৪! গভীর অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সদস্য আমিরের বিরুদ্ধে বাগমারা তথা রাজশাহীর আন্তজেলা চোর চক্রের গরু চোরের তালিকায় ১ নং নাম আমির চোরা ও ২ নং সোহাগ চোরা। এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাই, মানুষ খুন, জমি দখল অপহরণ সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই সন্ত্রাসী চক্রের জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ রাজশাহীর বাগমারাবাসী নিরব প্রশাসন।
অনুসন্ধান ৫! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামীগের ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ অনলাইন প্রতারণামুলক এপস ‘এমটিএফই এর মাধ্যমে বাগমারার কালীগন্জ বাজার সহ পুরো রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার যুব সমাজের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন। উল্টো বিপদে পড়তে হয়েছে অভিযোগ কারীকেই। সে সময় আওয়ালীগের ছত্র ছায়াই থাকায় প্রাণ ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এই চক্রের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজী, হত্যা সহ গরু চুরি, বাইক চুরি, অপহরণ সহ এক ডজনের উপরে মামলা রয়েছে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় । এমনকি কিছু মামলা টাকার বিনিময়ে বাদীকে ম্যানেজ করে মিমাংসা করেছে বলেও প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়া ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে প্রান নাশের হুমকি দেয় এই চক্র। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই প্রতারণার স্বীকার ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজের কাছে প্রতারিত হওয়া টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।
অনুসন্ধান ৬! বর্তমানে এই আমির ও সোহাগ চোরা চক্রটি ঝিকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার, অটো-টেম্পু স্ট্যান্ড, অবৈধ টোল, অবৈধ পুকুর খনন সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে এবং ৫ আগষ্টের দিন থেকে কালীগঞ্জ বাজারে শতকরা ৯৫% দোকান থেকে চাঁদা নিয়েছে চাঁদা না দিলে জ্বালিয়ে দিয়েছে দোকান এবং সাধারণ মানুষের বাড়ী। এছাড়া পুকুরে, দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে মোটা অংকের চাঁদা নিয়েছে বলে গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়।
অনুসন্ধান ৭! ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবেই খুব পরিচিত এই আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান আমির, সোহাগ চোরা চক্র। এই চক্রটির বিরুদ্ধে সহজে মুখ খুলতে চান না এলাকাবাসী। কেননা এদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলেই নেমে আসে তার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন অপহরণ দুর্ভোগ। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই অভিযোগকারীর উপরে হামলা করা হয় কিংবা কখনো কখনো মিথ্যা ধর্ষন মামলা পর্যন্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকেও শ্লীলতাহানি করেন এই চক্র, বর্তমানে এদের বিভিন্ন অপকর্মের পেছনে রয়েছে ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ ও সর্বহারা শহিদ চক্রের হাত এমন কি অবৈধ অর্থের জোগান ও দেন এই চক্র, স্থানীয় এলাকার শিক্ষক সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকেও ইতিপূর্বে বিভিন্ন ভাবে মারধর ও হয়রানির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের কারনে মান সম্মানের ভয়ে কেই প্রাকাশ্য মুখ খুলছে না।
তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এই চক্রের সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের সখ্যতার প্রমাণ রয়েছে খোদ ফেসবুকে। যদিও বর্তমানে ফেসবুক থেকে এই চক্রটি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ছবি হাইড করে দিয়েছে তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ছবিগুলোকে বের করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন সুশিল সমাজ











