বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

বাগমারায় বেপরোয়া আমির ও সোহাগ চোরা বাহিনী, নিরব প্রশাসন, অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

রাজশাহী ব্যুারো প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৭:৫৭ পিএম
বাগমারায় বেপরোয়া আমির ও সোহাগ চোরা বাহিনী, নিরব প্রশাসন, অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

বাগমারয় বেপরোয়া আমির ও সোহাগ চোরা বাহিনী নিরব প্রশাসন, অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ, বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট। কে এই আন্তজেলা গরু চোর, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও অপহরণ কারী আমির ও সোহাগ। এদের খুটির জোরই বা কোথায়? এদের নামে বাগমারা থানায় আন্তজেলা চোর চক্রের লিষ্টে প্রথমে নাম থাকার পরও প্রকাশ্যে ছিনতাই চাঁদাবাজি অপহরণ ও চুরি চালিয়ে চাচ্ছে এতে প্রশাসনের ভূমিকাই বা কি? প্রশাসন নিরব কেন? বাগমারার ১২ নং ঝিকরা ইউপির পিরুলিসেন পাড়া গ্রামের মসজিদের পুকুরের মাছ প্রকাশ্য লুট করে আমির ও সোহাগ বাহিনী এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন? এদের মদদদাতাই বা কে?

পরিচয়- ১। আমির হোসেন @ আমির চোরা, পিতা- লেদাই প্রাং, ২। সোহাগ হোসেন @ সোহাগ চোরা, পিতা- আমির হোসেন @ আমির চোরা, সাং- মধ্যঝিনা, থানা- বাগমারা, জেলা- রাজশাহী।
পেশা আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান, অপহরণ কারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী।

অনুসন্ধান ১! অবৈধ অর্থের যোগানদাতা, অর্থের যোগান দাতা ক্যাসিনো ফিরোজ ও সর্বহারা শহীদ ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ভবানীগন্জ বাজারে ছাএ-জনতার উপর হামলা করে, গণঅভ্যুত্থানের পর গা ঢাকা দিয়ে ঢাকাতে আত্মত্মগোপন করে কিছু দিন পরে স্থানীয় আমির ও সোহাগ চোরা চক্রকে টাকা দিয়ে এলাকায় আসে সর্বহারা শহিদ ও ক্যাসিনো ফিরোজ।

এরপরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় আবার গা ঢাকা দেয় সর্বহারার লিডার শহীদ ও ক্যাসিনো ফিরোজ । কিছুদিন পরে এলাকায় এসে আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের সহিত টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে গত রোজার ঈদে। ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজকে নিয়ে আসেন এলাকায় এমনকি বডিগার্ড হিসেবেও কাজ করে এই চোর ও ক্যাডার চক্র।

অনুসন্ধান ২! রাজশাহী বাগমারা উপজেলার ১২ নং ঝিকরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা তারেক জিয়া প্রজন্মদলের অন্যতম সদস্যপদে থাকা এবং বাগমারা তথা আন্তজেলা চোর চক্রের সক্রিয় অন্যতম সদস্য আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের ক্ষমতার দাপটে এখনো বহাল রয়েছেন এই ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ ও সর্বহারার লিডার শহীদ চক্র।

অনুসন্ধানে ৩! এই আমির চক্র ২০০৪ সালের ঘটনা দেখিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের আমলে আওয়ামীলীগের সুনজরে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, এড. নাদিম মোস্তফা সহ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রায় দেড়শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল এই আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান আমির চোরা বাহিনী। যাহার মামলা নং ১। বাগমারা থানার মামলা নং ১৫, তারিখ ১৭/০৮/২০০৯ ইং, জি আর নং ১৫১/২০০৯ বাগমারা ২। বাগমারা থানার মামলা নং ১৬, তারিখ ১৭/০৮/২০০৯, জি আর নং ১৫২/২০০৯ বাগমারা। সেই সময় মামলা করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীর নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। কিন্তু গত ৫ই আগষ্টের পর পরই সে তারেক জিয়া প্রজন্মদলের অন্যতম সদস্য ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক এটা কেমনে কি?

অনুসন্ধানে ৪! গভীর অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সদস্য আমিরের বিরুদ্ধে বাগমারা তথা রাজশাহীর আন্তজেলা চোর চক্রের গরু চোরের তালিকায় ১ নং নাম আমির চোরা ও ২ নং সোহাগ চোরা। এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাই, মানুষ খুন, জমি দখল অপহরণ সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই সন্ত্রাসী চক্রের জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ রাজশাহীর বাগমারাবাসী নিরব প্রশাসন।

অনুসন্ধান ৫! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামীগের ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ অনলাইন প্রতারণামুলক এপস ‘এমটিএফই এর মাধ্যমে বাগমারার কালীগন্জ বাজার সহ পুরো রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার যুব সমাজের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন। উল্টো বিপদে পড়তে হয়েছে অভিযোগ কারীকেই। সে সময় আওয়ালীগের ছত্র ছায়াই থাকায় প্রাণ ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এই চক্রের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজী, হত্যা সহ গরু চুরি, বাইক চুরি, অপহরণ সহ এক ডজনের উপরে মামলা রয়েছে রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় । এমনকি কিছু মামলা টাকার বিনিময়ে বাদীকে ম্যানেজ করে মিমাংসা করেছে বলেও প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়া ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে প্রান নাশের হুমকি দেয় এই চক্র। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই প্রতারণার স্বীকার ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজের কাছে প্রতারিত হওয়া টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়।

অনুসন্ধান ৬! বর্তমানে এই আমির ও সোহাগ চোরা চক্রটি ঝিকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার, অটো-টেম্পু স্ট্যান্ড, অবৈধ টোল, অবৈধ পুকুর খনন সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে এবং ৫ আগষ্টের দিন থেকে কালীগঞ্জ বাজারে শতকরা ৯৫% দোকান থেকে চাঁদা নিয়েছে চাঁদা না দিলে জ্বালিয়ে দিয়েছে দোকান এবং সাধারণ মানুষের বাড়ী। এছাড়া পুকুরে, দিঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে মোটা অংকের চাঁদা নিয়েছে বলে গোপন অনুসন্ধানে জানা যায়।

অনুসন্ধান ৭! ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবেই খুব পরিচিত এই আন্তজেলা চোর চক্রের প্রধান আমির, সোহাগ চোরা চক্র। এই চক্রটির বিরুদ্ধে সহজে মুখ খুলতে চান না এলাকাবাসী। কেননা এদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলেই নেমে আসে তার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন অপহরণ দুর্ভোগ। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই অভিযোগকারীর উপরে হামলা করা হয় কিংবা কখনো কখনো মিথ্যা ধর্ষন মামলা পর্যন্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকেও শ্লীলতাহানি করেন এই চক্র, বর্তমানে এদের বিভিন্ন অপকর্মের পেছনে রয়েছে ক্যাসিনো সম্রাট ফিরোজ ও সর্বহারা শহিদ চক্রের হাত এমন কি অবৈধ অর্থের জোগান ও দেন এই চক্র, স্থানীয় এলাকার শিক্ষক সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকেও ইতিপূর্বে বিভিন্ন ভাবে মারধর ও হয়রানির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু আমির ও সোহাগ চোরা চক্রের কারনে মান সম্মানের ভয়ে কেই প্রাকাশ্য মুখ খুলছে না।

তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এই চক্রের সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের সখ্যতার প্রমাণ রয়েছে খোদ ফেসবুকে। যদিও বর্তমানে ফেসবুক থেকে এই চক্রটি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ছবি হাইড করে দিয়েছে তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ছবিগুলোকে বের করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন সুশিল সমাজ

শাহবাগে শিক্ষকদের পুলিশের বাধা, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৪০ পিএম
শাহবাগে শিক্ষকদের পুলিশের বাধা, জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

প্রাথমিক শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখী পদযাত্রা করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে সকালে দশম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক সেখানে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন অংশসহ চারটি সংগঠন এ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।

সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ। এ ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো-

১️। সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান,

২️। চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা,

৩️। শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।

অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৭ পিএম
অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

১০ম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবিতে রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষকদের ৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।

বিকালে দাবি আদায়ে শাহবাগে আন্দোলনরতরা পথযাত্রা করলে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ওই সময় পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।

একইসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে গরম পানিও ছোড়া হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক রক্তাক্ত হয়েছেন। দু’জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।”

সকাল থেকেই দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। পরবর্তীতে বিকেলের দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে এলে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ওই সময় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।

শিক্ষকদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। যদিও পুলিশের দাবি, মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয়া হয়।

পদযাত্রায় বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, “মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহবাগে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ওই সময় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।”

সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি হলো-

১) ১০ম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের বেতন দেয়া।

২) শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

৩) চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতারক চক্রের হুমকি

সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৫০ পিএম
সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ও বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৩ নভেম্বর পুঠিয়া থানায় এবং মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ৬ নভেম্বর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় দুটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

হুমকি ও অপপ্রচারের শিকার ওই সাংবাদিকের নাম রকিবুল হাসান রকি (২৪)। তিনি পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক ‘সময়ের আলো’ ও স্থানীয় দৈনিক ‘সানশাইন’ পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, গত ২৫ অক্টোবর তিনি জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো ও স্থানীয় দৈনিক সানশাইন পত্রিকায় “হঠাৎ ধনী রিকশা চালক আবুল” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে পুঠিয়া উপজেলার পালোপাড়া সমাজের মোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের সম্পদের উৎস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আবুল প্রতারণার মাধ্যমে রাজশাহী নগরীর তালাইমারী এলাকার মৃত ছোলায়মান আলীর ছেলে মোল্লা সাইফ উল মোবারকের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত আবুল হোসেন ও ভুক্তভোগী মোল্লা সাইফ উল মোবারক উভয় পক্ষের মধ্যে গত ৫ নভেম্বর স্থানীয় বিএনপি নেতা হান্নানের মুরগির দোকানে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকায় আপস-মীমাংসা হয় বলে জানা গেছে।

তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই অভিযুক্ত পক্ষ সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এ ছাড়া, দুই পক্ষের আপসনামায় মনগড়া তথ্য সংযোজন করে সাংবাদিকের নাম জড়িয়ে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতারক আবুল হোসেন ও মোল্লা সাইফ উল মোবারকের এ ঘটনার বিস্তর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। দুজনের এ লেনদেনের পিছনে বড় কোনো অপরাধ লুকিয়ে আছে।

সাংবাদিকের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই আবুল হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর থেকে তারা সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকিকে সরাসরি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানা উপায়ে হুমকি প্রদান করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকি বলেন, “সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমি নিয়মিত হুমকি পাচ্ছি। আমি ও আবুল একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় বাড়ির আশপাশে অপরিচিত লোকজন নিয়ে আবুল প্রায়ই ঘোরাঘুরি করছে। এতে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় আমি গত ৩ নভেম্বর পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই সংবাদটি করেছি- এতে কারও ব্যক্তিগত ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর যেভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, একটি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলে রাজশাহী অফিসে কর্মরত ক্যামেরাপার্সন জানান, নগরীর তালাইমার এলাকার মৃত ছোলায়মান আলীর ছেলে মোল্লা সাইফ উল মোবারক তাঁর আত্মীয়। তাঁর সাথে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পুঠিয়ার আবুল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় ওই ক্যামেরাপার্সনের দেওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন ঘটনার প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিক রকিবুল হাসান রকি বিষয়টি অনুসন্ধান করে সংবাদ প্রকাশ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবুল ও মোল্লা সাইফ উল মোবারক উভয় পক্ষ আপস-মীমাংসায় বসেন এবং লিখিত মীমাংসাপত্রে তারা বিষয়টিকে ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে উল্লেখ করেন।

এর আগে, সাংবাদিককের আত্মীয় পরিচয়দানকারী ব্যক্তি অভিযোগ করেন, দুটি হত্যা মামলায় ভয় দেখিয়ে আবুল তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিলেন। ওই ক্যামেরাপার্সন এ প্রতারণা চক্রের সদস্য কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার। এছাড়াও প্রতারক আবুল সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওই ভিডিও ফুটেজে অসংলগ্ন কথা বার্তা বলেছে। তার কথায় পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে তিনি মিথ্যা বলছেন। এখানে ওই ক্যামেরাপারসন ১৪ লাখ টাকা আপোষ মিমাংসায় গিয়ে প্রমাণ করেন তিনি পূর্ব থেকে এদের সাথে জড়িত।
এ ঘটনায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিককে ফাঁসানোর বৃথা চেষ্টা করে লাভ নাই। সব হুমকি ধামকি প্রতিহত করা হবে। তবে প্রকাশিত সংবাদটিসহ ভুক্তভোগী মোল্লা সাইফ উল মোবারকসহ ওই ক্যামেরাপার্সনের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আবুলকে কেন অর্ধ কোটি টাকা মোল্লা সাইফ দিলো? পরে কেন উভয় পক্ষ ১৪ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা হলো? এ টাকা কিসের লেনদেন, এসব অ-মিমাংসীত প্রশ্নের উত্তর খোঁজা প্রয়োজন। সেই সাথে তাদের উভয়ের আয়ের উৎস খোঁজার জন্য দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এঘটনার বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, অভিযোগসহ বিষয়গুলো পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে

error: এই ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট কপি করা যাবে না।