চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেছে একদল তরুণ। অভিযোগ উঠেছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সংগঠন পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা এটি করেছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা চলছে। নেটিজেনদের মধ্যে চলছে তুমুল সমালোচনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএমসেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শুভেচ্ছা জেএমসেন হলে শুভেচ্ছা জানাতে যান। জামায়াতের একদল নেতাকর্মীও সেখানে যান। এই সময় তাদের সঙ্গে থাকা একদল নেতাকর্মী মঞ্চে উঠে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। সঙ্গীতটির গীতিকার চৌধুরী আবদুল হালিম। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠী কিংবা শিবিরের কেউ আজকে জেএমসেন হলে যায়নি। পাঞ্জেরী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক আমার সঙ্গে আছেন। তিনিও বলছেন তাদের কেউ সেখানে যায়নি। বিষয়টি আমরা ফেসবুক লাইভে গিয়ে জানাবো।’
জামায়াতে ইসলামীর কেউ সেখানে গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যাওয়ার তো কথা নয়। আমাদের তো সেখানে গিয়ে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করার প্রশ্নই উঠে না।’
জানতে চাইলে জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখন বাসায় আছি। জামায়াত ইসলামীর কেউ জেএমসেন হলে গেছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী বলেন, ‘যারা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন তারাও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন। পূজা উদযাপন পরিষদের অনুমতি নিয়ে তারা সেখানে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৈচৈ হচ্ছে। কিন্তু এখানে কোনো সমস্যা নেই। তবুও আমরা এ বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছি। তারা অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেনকে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
[youtube-feed feed=1]