০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের হবিগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা

print news -

সিলেট অফিস:: হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকালে ল্যাবে দুই তরুণের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। এর জের ধরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।

সাইফুল ইসলাম (২৮) মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা। থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ল্যাবে দুই ব্যক্তির সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় সাইফুলের। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাঁদের শান্ত করেন ও পরিস্থিতি সামাল দেন। কিছুক্ষণ পর বেলা আড়াইটার দিকে সাইফুল ব্যক্তিগত কাজে শহরের খাজা গার্ডেনে (বিপণিবিতান) যান।

সেখান থেকে কাজ শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই তরুণ শহরের প্রধান সড়কের পাশে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে মাথায় চোট পান সাইফুল। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী তরুণেরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পরে আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় সাইফুলকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পাশাপাশি পুলিশ খাজা গার্ডেনের সিসি ক্যামেরা থেকে ঘটনার ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে সাইফুল হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়োগ পান। তাঁর সহকর্মী ইমতিয়াজ তুহিন বলেন, চাকরির কারণে সাইফুল শহরের অনন্তপুর আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী বলেন, সংগ্রহ করা সিসিটিভির ভিডিও থেকে অপরাধী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেছে। শিগগিরই তাঁদের আটক করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

ট্যাগঃ

তৃতীয় ধাপের ভো ট ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে, ১১২টি উপজেলায়

সিলেটের হবিগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৪:১৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
print news -

সিলেট অফিস:: হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকালে ল্যাবে দুই তরুণের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। এর জের ধরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।

সাইফুল ইসলাম (২৮) মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা। থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ল্যাবে দুই ব্যক্তির সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় সাইফুলের। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাঁদের শান্ত করেন ও পরিস্থিতি সামাল দেন। কিছুক্ষণ পর বেলা আড়াইটার দিকে সাইফুল ব্যক্তিগত কাজে শহরের খাজা গার্ডেনে (বিপণিবিতান) যান।

সেখান থেকে কাজ শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই তরুণ শহরের প্রধান সড়কের পাশে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে মাথায় চোট পান সাইফুল। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী তরুণেরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পরে আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় সাইফুলকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পাশাপাশি পুলিশ খাজা গার্ডেনের সিসি ক্যামেরা থেকে ঘটনার ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে সাইফুল হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়োগ পান। তাঁর সহকর্মী ইমতিয়াজ তুহিন বলেন, চাকরির কারণে সাইফুল শহরের অনন্তপুর আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী বলেন, সংগ্রহ করা সিসিটিভির ভিডিও থেকে অপরাধী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেছে। শিগগিরই তাঁদের আটক করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।