মোঃ মিছবাহ উদ্দিন খান, বিশেষ প্রতিনিধি নেত্রকোণাঃ
দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন আলালকে নিয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রচার করায়, উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করলেন, মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন আলাল।
জানা যায়, গত ১০ই মার্চ, বেসরকারী টেলিভিশন সময় টিভির অনলাইন পোর্টাল সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “সোমেশ্বরীর বালুতে সাংবাদিক কে পুঁতে ফেলার হুমকি মেয়রের, এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তিব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেই সংবাদের প্রতিবাদে আজ রবিবার ১৩ ই মার্চ দুপুরে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দূর্গাপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন দূর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন আলাল।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আলাউদ্দিন আলাল জেলা ও উপজেলার সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতে বলেন, আমি দুর্গাপুরের একটি অভিজাত মুসলিম ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক আমার পিতা আলী হোসেন শহীদ হন। আমার রাজনৈতিক শিক্ষা পরিবার থেকেই।
জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার পরিবারের সব কিছু খোঁজ খবর নিয়েই আমাকে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে যোগ্য মনে করে দলীয় মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। উনার সম্মান রেখে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ে সাংবাদিক রিফাত আহমেদ রাসেল দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরীবাজার ঘাট এলাকায় বালুর ট্রাক প্রতি ৫শত টাকা করে চাঁদা দাবী করে। এই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয় তার প্রতি।
রাসেলের বাবা রফিকুল ইসলাম আমার ২ নং বালু ঘাটের অংশীদার এবং আমার প্রতিবেশী। তার ছোট ভাই সোহেল দীর্ঘদিন ধরে আমার নিজস্ব ফার্মে চাকুরী করেন। এ সুবাদে রাসেল আমার প্রতিবেশী ভাতিজা হওয়ায় তাকে আমার বাসায় খবর দিয়ে এনে ধমক ও বকা-ঝকা করে দেই। প্রতি ট্রাক থেকে ৫শত টাকা চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি বালু ব্যাবসায়ীদের সাথে মীমাংসা করে দেই।
কিন্তু আমার প্রতিপক্ষের ইন্ধনে ওই মীমাংসার সময়ে আমার আলোচনা ও বকা-ঝকা’র বিষয়টি মুঠোফোনে অডিও রেকর্ড ধারণ করে সাংবাদিক রিফাত আহমেদ রাসেল। বর্তমান সে আমার প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে ওই ধারণ কৃত রেকর্ডটি আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন কারার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে। এমনকি এই রেকর্ড দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে আমার প্রতিপক্ষ। আমাকে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রের আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো জানান, আমি দুর্গাপুরের একজন ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায় অর্জিত টাকা থেকে আমি আমার এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অসহায় মানুষের অসুস্থ এবং বিয়েতে, অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সাধ্যমত সহযোগিতা করাসহ করোনাকালীন প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেন।
বর্তমানেও এইসব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
এদিকে এসব বিষয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেয়র আলাউদ্দীন আলাল অত্যন্ত ভালো মানুষ। উনার বিরুদ্ধে যা রটানো হচ্ছে তা মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। তারা আরো বলেন, রাসেলের সঙ্গে যা হয়েছে তা একান্তই পারিবারিক শাসন হিসেবে নেয়ায় ভালো। এটা নিয়ে একশ্রেণির মানুষ গুলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে, এগুলোর জন্য আমরাও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে দূর্গাপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলার সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।