কামরান আহমদ : লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পাঁচ মাসের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা যায় যে , ১৮ অক্টোবর ব্রিটেন থেকে রেকর্ড সংখ্যক নাইজেরিয়ান এবং ঘানার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইংল্যান্ডের গ্যাটউইক এয়ারপোর্ট থেকে একটি সিংগেল ফ্লাইটে ৪৪ অভিবাসীকে তাদের দেশে পাঠানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগে থেকেই অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই ফ্লাইট সেই পদক্ষেপের অংশ। সাধারণ নির্বাচনের পর ১৮ অক্টোবরে এটিই একক কোনও ফ্লাইটে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ফেরত পাঠানোর ঘটনা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে লেবার পার্টির সরকার ব্রাজিলের প্রায় ২০০ জন এবং ভিয়েতনাম ও তিমুর-লেস্টের প্রায় ২০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে গত পাঁচ মাসে ৩ হাজার ৬০০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং রোমানিয়ার মতো দেশেও অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, ১৮ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত ২০২০ সাল থেকে নাইজেরিয়া এবং ঘানায় মাত্র চারটি ফ্লাইট গেছে। এসব ফ্লাইটে সম্মিলিতভাবে মাত্র ৫০ জন অভিবাসীকে পাঠানো হয়েছে। অথচ লেবার ক্ষমতায় আসার পর ১৮ অক্টোবরের সর্বশেষ একটি ফ্লাইটেই ৪৪ জনকে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দ্য গার্ডিয়ান ফেরত পাঠানোর আগে চারজন নাইজেরিয়ানের সাথে কথা বলে। তাদের একজন সুইসাইড করার চেষ্টা চালিয়েছেন। আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে ব্রিটেনে থাকার পরেও তার এসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তৃতীয়জন বলেছেন, তাকে ছোটবেলায় এক্সপ্লোয়টেশন করা হয় এবং তার শরীরে নির্যাতনের দাগ রয়েছে।
এমনকী, হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের শিকার হয়েও তার এসাইলামের দাবিও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
চতুর্থ আরেকজন বলেছেন, এসাইলাম আবেদন বাতিল হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একজন আইনজীবীর সন্ধান করেন। কিন্তু তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কোনও আইনজীবীকে খুঁজে পাননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি অর্জন করেছি। যেসব অভিবাসীর যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার নাই তাদেরকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে কঠোরভাবে এই আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত পাঁচ মাসে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
[youtube-feed feed=1]