০১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাঃ মনোনয়ন পেতে আ. লীগ প্রচারণায়, নিরব বিএনপি

print news -

নিউজ ডেস্ক ঃ

সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সরব হয়ে ওঠেছেন। এতদিন জেলা পরিষদ নিয়ে কারো আগ্রহ না থাকলেও তফশিল ঘোষণার পর অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা শুরু করেছেন।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে হিসেব-নিকেশ চললেও নীরব বিএনপি। আপাতত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন নিয়েই ভাবনা তাদের। তাই গেলবারের মতো এবারও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘ওয়াকওভার’ দিতে যাচ্ছে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলনরত বিএনপি।
কেউ হতে চান সংসদ সদস্য, আবার কেউ মেয়র। এই দুই পদেই এতদিন চোখ ছিল সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু তফশিল ঘোষণার পর থেকে ‘মতের’ পরিবর্তন ঘটেছে অনেকের। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই চোখ ফেলেছেন স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না- এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ফাঁকা মাঠে গোল দিতে তাদের মাঝে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কোনোভাবে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারলেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিশ্চিত- এমনটাই মনে করছেন তারা। তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই কেন্দ্রে নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন লবিং।
এখন পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
এর মধ্যে মাসুক উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহী নন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরপর টানা দুই নির্বাচনে আসনটি মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত থাকেন তিনি। এবারও তিনি আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে সংসদ সদস্য করেছিলেন। তিনি আমাকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাকে যেখানে রাখতে চাইবেন সেখানেই থাকবো।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।
সিলেটের রাজনীতিতে ‘ক্লিন ম্যান’খ্যাত নাসির খান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন পদে নির্বাচন করার আগ্রহ ব্যক্ত করায় তার অনুসারীদের মাঝে বেশ উৎসাহ পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম লোকমুখে উচ্চারিত হলেও এখনো তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার দল অংশ নেবে না। দলের কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন। এরপর দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীন দল।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ১৫ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাঃ মনোনয়ন পেতে আ. লীগ প্রচারণায়, নিরব বিএনপি

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৯:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
print news -

নিউজ ডেস্ক ঃ

সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সরব হয়ে ওঠেছেন। এতদিন জেলা পরিষদ নিয়ে কারো আগ্রহ না থাকলেও তফশিল ঘোষণার পর অনেকেই দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা শুরু করেছেন।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগে হিসেব-নিকেশ চললেও নীরব বিএনপি। আপাতত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলন নিয়েই ভাবনা তাদের। তাই গেলবারের মতো এবারও জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘ওয়াকওভার’ দিতে যাচ্ছে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলনরত বিএনপি।
কেউ হতে চান সংসদ সদস্য, আবার কেউ মেয়র। এই দুই পদেই এতদিন চোখ ছিল সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু তফশিল ঘোষণার পর থেকে ‘মতের’ পরিবর্তন ঘটেছে অনেকের। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই চোখ ফেলেছেন স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না- এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ফাঁকা মাঠে গোল দিতে তাদের মাঝে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কোনোভাবে দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারলেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিশ্চিত- এমনটাই মনে করছেন তারা। তাই দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই কেন্দ্রে নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন লবিং।
এখন পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
এর মধ্যে মাসুক উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আগ্রহী নন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরপর টানা দুই নির্বাচনে আসনটি মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত থাকেন তিনি। এবারও তিনি আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাকে সংসদ সদস্য করেছিলেন। তিনি আমাকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি আমাকে যেখানে রাখতে চাইবেন সেখানেই থাকবো।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।
সিলেটের রাজনীতিতে ‘ক্লিন ম্যান’খ্যাত নাসির খান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন পদে নির্বাচন করার আগ্রহ ব্যক্ত করায় তার অনুসারীদের মাঝে বেশ উৎসাহ পরিলক্ষিত করা যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম লোকমুখে উচ্চারিত হলেও এখনো তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার দল অংশ নেবে না। দলের কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন। এরপর দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীন দল।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল ১৫ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।