• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ

অনলাইন ডেস্ক
সারদীয়া দুর্গাপাজা
print news -

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজা সামনে রেখে ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। খর ও মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি দেওয়া প্রায় শেষ করে এনেছেন প্রতিমা কারিগরেরা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গোপালগঞ্জ শাখা সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোপালগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ২৭৭টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সদর উপজেলায় ৩৪০টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলায় ৩১৫টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ২৯৮টি, কাশিয়ানী উপজেলায় ২৩০টি এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৯৪টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। মন্দিরগুলোতে খড় ও মাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়ে উঠছে প্রতিমা। এখন চলছে দো-আঁশ মাটির কাজ। এরপর রং তুলির টানে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শিল্পীরা। দুর্গার প্রতিমার পাশাপাশি কারিগরশিল্পীরা বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং দেবতা কার্তিক ও গণেশসহ নানা দেব-দেবীর মূর্তি তৈরি করছেন।

এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে আলোচনা সভা করেছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। সভায় আলোকসজ্জা থেকে বিরত, প্রতিটি মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

জেলা শহরের সাহাপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের আয়োজক হারান সাহা ও শ্রী শ্রী গণেশ পাগল সেবাশ্রমের আয়োজক সুজয় বিশ্বাস জানান, সরকার ও পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা তারা পেয়েছেন। বাইরে আলোকসজ্জা করায় মানা থাকলেও মন্দিরের ভেতরে আলোকসজ্জা করা হবে। দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপশি মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করবে।

প্রতিমাশিল্পী সরজিত সেন, গোপালগঞ্জ সদরের রূপাহাতি গ্রামের সজীব মন্ডল, সৌমিত্র বিশ্বাস জানান, এ বছর তারা ৪ থেকে ১০টি প্রতিমা তৈরি করছেন। চাহিদার তুলায় মজুরি কম। বাপ-দাদার আদি পেশা টিকিয়ে রাখতে কাজ করছেন তারা।

আরও পড়ুন

  • এক্সক্লুসিভ এর আরও খবর

[youtube-feed feed=1]