• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০২৪

যৌবন ও তারুণ্য অটুট থাকবে যে খাবারে

অনলাইন ডেস্ক
103911youth -
print news -

যৌবন ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট। জেনে নিন এমন খাবার সম্পর্কে-

ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার যা শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। এটি প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে সমৃদ্ধ। ডিমের প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:
১. প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস

ডিম সম্পূর্ণ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীরের পেশি গঠন, কোষ মেরামত এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

ডিমে কোলিন নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কের উন্নতিতে সহায়ক এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ডিম দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দেয়, ফলে এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. হাড় ও দাঁতের মজবুতিতে সহায়ক

ডিমে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড় ও দাঁতের মজবুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে

ডিমে লুটিন ও জেক্সানথিন থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ছানির ঝুঁকি কমায়।

৬. হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো

ডিমে থাকা এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. রক্তস্বল্পতা দূর করে

ডিমে থাকা আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।

৮. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন এ, এবং বায়োটিন ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং চুল মজবুত ও স্বাস্থ্যকর রাখে।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ডিমে থাকা ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।

১০. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী

ডিমে থাকা কোলিন ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক এবং গর্ভাবস্থার জটিলতা কমায়।
১১. কর্মক্ষমতা বাড়ায়

ডিমে থাকা প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়, যা দৈনন্দিন কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু সতর্কতা:

ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ডিমের কুসুম কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

উপসংহার

ডিম একটি সহজলভ্য, পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

কাঠ বাদাম, বা আমন্ড, একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর বাদাম যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। কাঠ বাদামের প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:
১. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে

কাঠ বাদামে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায়।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

কাঠ বাদাম ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরার অনুভূতি দেয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন ওজন বাড়াতেও সহায়ক হতে পারে।
৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে

কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়ক।

এটি শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে এবং বয়স্কদের মস্তিষ্কের সুরক্ষায় কার্যকর।

৪. হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী

কাঠ বাদামে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড় ও দাঁতের মজবুতি নিশ্চিত করে।

এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।

এটি ত্বক শুষ্ক হওয়া রোধ করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

কাঠ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

৭. হজমশক্তি বাড়ায়

কাঠ বাদামে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৮. শক্তি বাড়ায়

কাঠ বাদামে প্রোটিন, ফ্যাট, এবং শর্করা থাকার কারণে এটি দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়।

এটি শারীরিক ক্লান্তি কমায় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কাঠ বাদামে থাকা জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়।

১০. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

কাঠ বাদামে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

উপসংহার

কাঠ বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যা দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত হয়। তবে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ।

কিসমিস, অর্থাৎ শুকনো আঙ্গুর, একটি পুষ্টিকর খাবার যা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বহুমুখী উপকারী। কিসমিস খাওয়ার প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:

১. হজমশক্তি উন্নত করে

কিসমিসে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
২. শক্তি বৃদ্ধি করে

কিসমিস প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) সমৃদ্ধ, যা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এটি শারীরিক পরিশ্রমের পর শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক।

৩. রক্তস্বল্পতা দূর করে

কিসমিসে আয়রন, কপার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স রয়েছে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।

৫. হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কিসমিসে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৭. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।
৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

ওজন বাড়াতে চাইলে: এটি উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় কিসমিস ও দুধ একসঙ্গে খেলে দ্রুত ওজন বাড়ানো যায়।

ওজন কমাতে চাইলে: পরিমিত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৯. মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

কিসমিসে ওলানোলিক অ্যাসিড রয়েছে, যা দাঁতের ক্ষয় ও ক্যাভিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও কার্যকর।

১০. মানসিক চাপ কমায়

কিসমিসে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

১১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

কিসমিসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

উপসংহার

কিসমিস একটি প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। এটি দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করলে শরীরের সার্বিক কার্যকারিতা উন্নত হয়।

খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং শক্তি বৃদ্ধি কারক ফল। এটি প্রাচীনকাল থেকেই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খেজুর খাওয়ার প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:

১. শক্তি প্রদান করে

খেজুরে প্রচুর প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এটি ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
২. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

খেজুরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, যা হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

খেজুরে থাকা পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং এটি হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
৪. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে

খেজুরে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।

৫. হাড় ও দাঁতের মজবুতিতে সাহায্য করে

খেজুরে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

৬. গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে শক্তি বাড়ে এবং প্রসবকালীন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি জরায়ুর পেশি শক্তিশালী করে।

৭. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

৮. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

খেজুরে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা মানসিক চাপ কমাতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৯. ত্বকের জন্য উপকারী

খেজুরে থাকা ভিটামিন সি ও ডি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।

১০. ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাসে সহায়ক

ওজন বাড়াতে চাইলে খেজুর দুধ বা বাদামের সঙ্গে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে চাইলে এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যায়, কারণ এটি দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১১. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত উপকারীতা

যদিও খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তবে এটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত হওয়ায় নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন।

১২. দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

উপসংহার

খেজুর নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি স্বাভাবিক খাদ্য তালিকায় যোগ করলে শক্তি, রোগ প্রতিরোধ এবং সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

কলা একটি পুষ্টিকর ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর প্রধান উপকারিতাগুলো হলো:

১. শক্তি প্রদান করে

কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ) এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এজন্য এটি খেলোয়াড়দের বা পরিশ্রমী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত।

২. হজমে সহায়ক

কলায় থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৩. হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো

কলায় প্রচুর পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে

কলায় থাকা ভিটামিন বি৬ স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে, যা মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং বিষণ্ণতা কমায়।

৬. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে

কলায় থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক।

৭. ত্বকের জন্য উপকারী

কলার ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।

৮. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

একদিকে এটি কম ক্যালোরিযুক্ত, অন্যদিকে পেট ভরার অনুভূতি দেয়। ফলে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৯. অ্যাসিডিটি কমায়

কলায় প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড রয়েছে, যা পেটের এসিডিটির সমস্যা কমায়।

১০. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

[youtube-feed feed=1]